পদ কাকে বলে কত প্রকার কী কী
পদ কাকে বলে কত প্রকার কী কী

পদ কাকে বলে কত প্রকার কী কী

পদ কাকে বলে, কত প্রকার ও কী কী তার বিশদ আলোচনা। সহজ ভাষায় বাংলা ব্যাকরণের পদ ও তার প্রকারভেদ সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা।

পদ কাকে বলে কত প্রকার ও কী কী

বাংলা ব্যাকরণে একটি বাক্যের যে কোনো অংশকে পদ বলা হয়। পদ এমন একক যা বাক্যে পূর্ণ অর্থ প্রকাশ করে। পদকে সাধারণত চার প্রকারে ভাগ করা হয়:

  • বিশেষ্য পদ: যা কোনো ব্যক্তি, বস্তু, বা জিনিসের নাম বোঝায়। যেমন: মানুষ, বই, গাছ।
  • বিশেষণ পদ: যা বিশেষ্য পদকে বর্ণনা বা গুণাগুণ প্রকাশ করে। যেমন: বড়, লাল, মিষ্টি।
  • সর্বনাম পদ: যা বিশেষ্য পদের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যেমন: সে, আমি, তুমি।
  • ক্রিয়া পদ: যা কাজ, অবস্থা, বা ক্রিয়াকে নির্দেশ করে। যেমন: পড়া, খেলা, থাকা।

বিশেষ্য পদ

সংজ্ঞাবাক্যে ব্যবহৃত যেসব পদ দ্বারা কোনো ব্যক্তি, বস্তু, জাতি, সমষ্টি, স্থান ভাব, কর্ম বা গুণের নাম বোঝানো হয় তাদের বিশেষ্য পদ বলে ।
প্রকারভেদ বিশেষ্য পদ ছয় প্রকার
নামবাচক বিশেষ্য# যে পদ দ্বারা কোনো ব্যক্তি, ভৌগোলিক স্থান বা সংজ্ঞা এবং গ্রন্থ বিশেষের নাম বিজ্ঞাপিত হয়, তাকে নাম বা সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য পদ বলে।
উদাহরণ:
ব্যক্তির নাম : ফিরোজ, আলপনা, রাসেল । ভৌগোলিক স্থানের নাম : বগুড়া, ঢাকা, মক্কা । ভৌগোলিক সংজ্ঞা : আরব সাগর, হিমালয়, পদ্মা । গ্রন্থের নাম : অগ্নিবীণা, গোরা, দেবদাস ইত্যাদি ।
জাতিবাচক বিশেষ্যযে পদ দ্বারা একই জাতীয় বস্তু বা প্রাণীর নাম বোঝায়, তাকে জাতিবাচক বিশেষ্য বলে ।
উদাহরণ: মানুষ, পাখি, পর্বত, ইংরেজি, হিন্দু, মুসলমান ইত্যাদি ।
বস্তুবাচক বা দ্রব্যবাচক বিশেষ্যযে পদ দ্বারা কোনো উপাদানবাচক পদার্থের নাম বোঝায়, তাকে বস্তুবাচক বা দ্রব্যবাচক বিশেষ্য বলে। অন্যভাবে বলা যায়, বস্তু-বাচক বিশেষ্যে বস্তুর সংখ্যা বা পরিমাণ নির্ণয় করা হয় ।
উদাহরণ: বই, কলম, পানি, লবণ, থালা, চিনি, মাটি, চাল, কাঠ ইত্যাদি ।
সমষ্টিবাচক বিশেষ্যযে পদে বেশ কিছু সংখ্যক ব্যক্তি বা প্রাণীর সমষ্টি বোঝায়, তাকে সমষ্টিবাচক বিশেষ্য বলে । যেমন : দল, মিছিল, ঝাঁক, সমাজ, পঞ্চায়েত, সভা, সমিতি, জনতা ইত্যাদি ।
ভাববাচক বিশেষ্যযে বিশেষ্য দ্বারা কোনো ক্রিয়ার ভাব বা কাজের ভাব প্রকাশিত হয়, তাকে ভাববাচক বিশেষ্য বলে। যেমন : ভোজন (খাওয়ার কাজ), শয়ন (শোয়ার কাজ), দর্শন (দেখার কাজ), এরূপ-ধরন, করণ, চলন, শোনা, গমন ইত্যাদি ।
গুণবাচক বিশেষ্যযে বিশেষ্য দ্বারা কোনো বস্তুর দোষ বা গুণের নাম বোঝায় তাকে গুণবাচক বিশেষ্য বলে । যেমন : তিক্ত দ্রব্যের দোষ বা গুণ- তিক্ততা, তরুণের গুণ- তারুণ্য ইত্যাদি । এরূপ : সৌরভ, যৌবন, সুখ, দুঃখ, মধুরতা ইত্যাদি ।
পদ কাকে বলে কত প্রকার ও কী কী

বিশেষণ পদ কাকে বলে

বিশেষণ পদের সংজ্ঞা: বৈশিষ্ট্য, ধর্ম ইত্যাদি প্রকাশ করে, তাকে বিশেষণ পদ বলে । যে পদ বিশেষ্য, সর্বনাম ও ক্রিয়াপদের দোষ, গুণ, অবস্থা, সংখ্যা, পরিমাণ, যেমন: চলন্ত গাড়ি- বিশেষ্যের বিশেষণ, দ্রুত চল— ক্রিয়া বিশেষণ ।

বিশেষণ পদ প্রধানত দুই প্রকার । যথা: নাম বিশেষণ ও ভাব বিশেষণ ।

পদ কাকে বলে কত প্রকার ও কী কী
পদ কাকে বলে কত প্রকার ও কী কী

নাম বিশেষণ : যে বিশেষণ পদ কোনো বিশেষ্য বা সর্বনাম পদকে বিশেষিত করে, তাকে নাম বিশেষণ বলে । যেমন:

বিশেষ্যের বিশেষণ : সুস্থ সবল দেহকে কে না ভালোবাসে ।

সর্বনামের বিশেষণ : সে জ্ঞানী ও চরিত্রবান ।

নাম বিশেষণ এর প্রকারভেদঃ

রূপবাচক বিশেষণঃ সবুজ মাঠ, নীল আকাশ, লাল জামা ইত্যাদি ।

গুণবাচক বিশেষণঃ ঠান্ডা হাওয়া, চৌকস লোক, দক্ষ শিক্ষক ইত্যাদি।

অবস্থাবাচক বিশেষণঃ তাজা মাছ, মরা মানুষ, খোঁড়া পা ইত্যাদি ।

সংখ্যাবাচক বিশেষণঃ একশ টাকা, হাজার লোক, দশ দশা ইত্যাদি।

ক্রমবাচক বিশেষণঃ প্রথমা কন্যা, নবম শ্রেণি, উনিশ পৃষ্ঠা ইত্যাদি।

উপাদানবাচক বিশেষণঃ পাথুরে মূর্তি, বেলে মাটি, মেটে কলসী ইত্যাদি ।

প্রশ্নবাচক বিশেষণঃ কিসের আংটি, কেমন অবস্থা, কত দূর পথ?

অংশবাচক বিশেষণঃ অর্ধেক পথ, অর্ধেক সম্পত্তি, অর্ধেক মাটি, চার আনা ভাগ ইত্যাদি ।

পরিমাণবাচক বিশেষণঃ দুই কেজি চাল, এক কিলোমিটার রাস্তা ইত্যাদি ।

নির্দিষ্টতাজ্ঞাপক বিশেষণঃ ১৬ ডিসেম্বর, এই ছেলে, পঁচিশে মার্চ ইত্যাদি ।

ভাব বিশেষণঃ যে পদ বিশেষ্য ও সর্বনাম ভিন্ন অন্য পদকে বিশেষিত করে তাকে ভাব বিশেষণ বলে ।

ভাব বিশেষণ ৪ প্রকার যথাঃ

১। ক্রিয়া বিশেষণঃ যে পদ ক্রিয়া সংঘটনের ভাব, কাল ও রূপ নির্দেশ করে, তাকে ক্রিয়া বিশেষণ বলে । যেমন : ধীরে ধীরে বায়ু বয় । ভালো খেলে এক ঘণ্টা বসে থাক ।

২। বিশেষণীয় বিশেষণঃ যে পদ নাম বিশেষণ অথবা ক্রিয়া বিশেষণকে বিশেষিত করে তাকে বিশেষণীয়। বিশেষণ বলে । যেমন : রকেট অতি দ্রুত চলে। সামান্য একটু দুধ দাও। অতিশয় মন্দ কথা ।

৩। অব্যয়ের বিশেষণঃ যে ভাব বিশেষণ অব্যয় পদ বা অব্যয় পদের অর্থকে বিশেষিত করে তাকে অব্যয়ের বিশেষণ বলে । যেমন : ধিক তারে, শত ধিক নির্লজ্জ যে জন । হাজার বাহবা তাকে ।

৪। বাক্যের বিশেষণঃ কোনো বিশেষণ পদ যখন কখনো কখনো একটি সম্পূর্ণ বাক্যকে বিশেষিত করে, তখন তাকে বাক্যের বিশেষণ বলা হয় । যেমন : দুর্ভাগ্যক্রমে দেশ আবার নানা সমস্যাজালে আবদ্ধ হয়ে পড়েছে । বাস্তবিকই আজ আমাদের কঠিন পরিশ্রমের প্রয়োজন ।

বিশেষণের অতিশায়ন

বিশেষণ পদ যখন দুই বা ততোধিক বিশেষ্য পদের মধ্যে গুণ, অবস্থান, পরিমাণ প্রভৃতি বিষয়ের তুলনায় একের উৎকর্ষ বা অপকর্ষ বুঝিয়ে থাকে, তখন তাকে বিশেষণের অতিশায়ন বলে ।

বিশেষণের অতিশায়ন এর বৈশিষ্ট্য

বাংলা শব্দের অতিশায়ন :

১. দুয়ের মধ্যে অতিশায়নে হইতে, হতে, চেয়ে, চাইতে, অপেক্ষা, থেকে ইত্যাদি শব্দ ব্যবহৃত হয় । যেমন: বাঘের চেয়ে সিংহ বলবান ।

২. কখনো কখনো ষষ্ঠী বিভক্তিযুক্ত শব্দে ষষ্ঠী বিভক্তি হতে, চেয়ে, থেকে প্রভৃতি শব্দের কার্য সাধন করে । যেমন: এ মাটি সোনার বাড়া ।

৩. দুটি বস্তুর মধ্যে অতিশায়নে জোর দিতে হলে মূল বিশেষণের আগে অনেক, অধিক, বেশি, অল্প, কম অধিকতর প্রভৃতি বিশেষণীয় বিশেষণ যোগ করতে হয় । যেমন: ঘিয়ের চেয়ে দুধ বেশি উপকারী ।

৪. অনেকের মধ্যে একের উৎকর্ষ বা অপকর্ষ বোঝাতে মূল বিশেষণের কোনো পরিবর্তন হয় না । মূল বিশেষণের পূর্বে সবচাইতে, সবচেয়ে, সব থেকে, সর্বাপেক্ষা, সর্বাধিক প্রভৃতি শব্দ ব্যবহার করা হয়ে থাকে । যেমন: ছাত্রদের মধ্যে নবকুমার সবচেয়ে বিচক্ষণ ।

তৎসম শব্দের অতিশায়ন:

১. দুয়ের মধ্যে ‘তর’ এবং বহুর মধ্যে ‘তম’ প্রত্যয় যুক্ত হয়ে থাকে । যেমন:

• দ্রুত-দ্রুততর-দ্রুততম • গুরু-গুরুতর-গুরুতম

২. দুয়ের মধ্যে তুলনায় ‘ঈয়স্’ প্রত্যয় এবং বহুর মধ্যে তুলনায় ‘ইষ্ঠ’ প্রত্যয় যুক্ত হয় । যেমন:

• শ্রেয়-শ্রেয়ান-শ্রেষ্ঠ • লঘু-লঘীয়ান-লঘিষ্ঠ

৩. ‘ঈয়স্’ প্রত্যয়ান্ত কোনো কোনো শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ রূপ বাংলায় প্রচলিত আছে । যেমন: ভূয়সী প্রশংসা ।

বিশেষ্যবিশেষণবিশেষ্যবিশেষণবিশেষ্যবিশেষণ
অগ্নিআগ্নেয়অণুআণবিক অনুরাগ অনুরক্ত
আদরআদুরেঅধুনাআধুনিক আশ্রয় আশ্রিত
আবিষ্কারআবিষ্কৃত আয়ু আয়ুষ্কাল অধ্যায়ন আধীত
আত্মাআত্নিক অরণ্যঅরণ্যক অনুবাদঅনুদিত
উল্লাসউল্লাসিত অভ্যাসঅভ্যাস্থ ঋণ ঋণী
পদ কাকে বলে কত প্রকার ও কী কী

সর্বনাম পদ কাকে বলে?

বিশেষ্যের পরিবর্তে যে শব্দ ব্যবহৃত হয়, তাকে সর্বনাম পদ বলে ।

সর্বনাম পদ এর প্রকারভেদ

ব্যক্তিবাচক বা পুরুষবাচকআমি, আমরা, তুমি, তোমরা, সে, তারা, তিনি, ও, ওরা ইত্যাদি ।
আত্মবাচকস্বয়ং, নিজে, আপনি ইত্যাদি ।
দূরত্ববাচক ঐ, ঐসব, সব ইত্যাদি ।
সামীপ্যবাচকএ, এই, ইনি, ইহারা ইত্যাদি ।
প্রশ্নবাচককি, কী, কে, কাহার, কার ইত্যাদি ।
ব্যতিহারিকনিজে নিজে, আপনা-আপনি, পরস্পর ইত্যাদি ।
সংযোগজ্ঞাপকযে, যিনি, যাঁরা, যাহারা ইত্যাদি ।
অনির্দিষ্টতাজ্ঞাপককেউ, কোথাও, কোনো, কিছু ইত্যাদি ।
সাকল্যবাচক সব, সর্ব, সকল, সমুদয়, তাবৎ ইত্যাদি ।
অন্যাদিবাচকঅন্য, পর, অপর ইত্যাদি ।
পদ কাকে বলে

অব্যয় পদ কাকে বলে?

ব্যয় অর্থ পরিবর্তন, যার ব্যয় বা পরিবর্তন হয় না, অর্থাৎ যা অপরিবর্তনীয় তাই অব্যয় । অন্যভাবে বলা যায়, যে পদ সর্বদা অপরিবর্তনীয় থেকে কখনো বাক্যের শোভা বর্ধন করে, কখনো একাধিক পদের বাক্যাংশের বা বাক্যের সংযোগ বা বিয়োগ সম্বন্ধ ঘটায় তাকে অব্যয় পদ বলে ।

  • অব্যয় শব্দের সঙ্গে কোনো বিভক্তি চিহ্ন যুক্ত হয় না ।
  • অব্যয় শব্দের একবচন বা বহুবচন হয় না ।
  • অব্যয় শব্দের স্ত্রী ও পুরুষবাচকতা নির্ণয় করা যায় না ।
  • ‘না’ শব্দটি অব্যয় ।

অব্যয় পদ প্রধানত চার প্রকার :

অব্যয় পদ কাকে বলে
অব্যয় পদ কাকে বলে

সমুচ্চয়ী অব্যয়ঃ যে অব্যয়ের সাহায্যে সংযোজন, বিয়োজন, সিদ্ধান্ত ইত্যাদি জ্ঞাপিত হয়, তাকে সমুচ্চয়ী অব্যয় বলে । এটি আবার কয়েক প্রকারের । যথা:

i. সংযোজক অব্যয় : ও, আর, এবং, তাই, সুতরাং প্রভৃতি । যেমন: সে, তুমি ও আমি বেড়াতে যাবো ।

ii. বিয়োজক অব্যয় : কিন্তু, অথবা, নতুবা, বা প্রভৃতি। যেমন: লেখাপড়া কর, নতুবা ফেল করবে । মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন ।

iii. সংকোচক অব্যয় : অথচ, কিন্তু, বরং, তথাপি । যেমন: লোকটি দরিদ্র কিন্তু সৎ।

অনন্বয়ী অব্যয়ঃ যে অব্যয় পদের সঙ্গে বাক্যের অন্য কোনো পদের অন্বয় নেই তাকে অনন্বয়ী অব্যয় বলে । অন্তর্ভাব প্রকাশক, সম্বোধনবাচক, বাক্যালংকার এবং সম্মতি বা অসম্মতিবাচক অব্যয় এই শ্রেণিতে পড়ে ।

উচ্ছ্বাস প্রকাশে: মরি মরি! কী সুন্দর প্রভাতের রূপ!

স্বীকৃতি বা অস্বীকৃতি জ্ঞাপনে : হ্যাঁ, আমি যাব । না, যাব না । আমি আজ আলবত যাব । তাকেও আসতে বলেছি ।

যন্ত্রণা প্রকাশে : উঃ! পায়ে বড় লেগেছে ।

ঘৃণা বা বিরক্তি প্রকাশে : ভিক্ষুকটা যে পিছনে লেগেই রয়েছে, বিপদ!

সম্বোধনে : ওগো, আজ তোরা যাসনে ঘরের বাহিরে ।

সম্মতি প্রকাশে : নিশ্চয়ই পারব ।

সম্ভাবনায় : সংশয়ে সংকল্প সদা টলে, পাছে লোকে কিছু বলে ।

বাক্যালংকার অব্যয় : হায়রে ভাগ্য, হায়রে লজ্জা, কোথায় সভা, কোথায় সজ্জা।

অনুকার/ ধ্বন্যাত্মক অব্যয়

যে সকল অব্যয় অব্যক্ত রব, শব্দ বা ধ্বনির অনুকরণে গঠিত হয়, সেগুলোকে ‘অনুকার’ বা ‘ধ্বন্যাত্মক অব্যয়’ বলে। এ জাতীয় | ধ্বন্যাত্মক শব্দের দুবার প্রয়োগের নাম ‘ধ্বন্যাত্মক দ্বিরুক্তি’ ‘ধ্বন্যাত্মক দ্বিরুক্তি’ দ্বারা বহুত্ব, আধিক্য ইত্যাদি বোঝায় । যেমন :

  • বজ্রের ধ্বনি- কড় কড়
  • স্রোতের ধ্বনি- কল কল
  • শুষ্ক পাতার শব্দ- মর মর
  • গাছ ভেঙ্গে পড়ার শব্দ- মড়মড়
  • বাতাসের গতি- শন শন
  • নূপুরের আওয়াজ- রুম ঝুম
  • মেঘের গর্জন- গুড় গুড়
  • সিংহের গর্জন- গর গর
  • কোকিলের রব- কুহু কুহু
  • • কুকুরের ধ্বনি- ঘেউ ঘেউ
  • চুড়ির শব্দ— টুং টাং
  • ঘোড়ার ডাক— চিহি চিঁহি

পদান্বয়ী/ অনুসর্গ

যে সকল অব্যয় শব্দ বিশেষ্য ও সর্বনাম পদের বিভক্তির ন্যায় বসে কারকবাচকতা প্রকাশ করে, তাদের অনুসর্গ অব্যয় বলে । যেমন : দ্বারা, দিয়ে, হতে, চেয়ে । ওকে দিয়ে এ কাজ হবে না ।

বাংলা ভাষায় ৩ প্রকার অব্যয় শব্দ রয়েছে

অব্যয়

বাংলা অব্যয় শব্দঃ আর, আবার, ও, হ্যাঁ, না ইত্যাদি ।

তৎসম অব্যয় শব্দঃ যদি, যথা, তথা, সদা, সুতরাং, আপাতত ইত্যাদি ।

বিদেশি অব্যয় শব্দঃ আলবত, বহুত, শাবাশ, খুব, খাসা ইত্যাদি ।

অব্যয়ের গঠন : অব্যয় নানাভাবে গঠিত হতে পারে

দুটি অব্যয় শব্দযোগেনতুবা, অতএব, অথবা, কদাপি ইত্যাদি ।
আনন্দ বা দুঃখ প্রকাশক একই শব্দের দুবার প্রয়োগে ছি ছি, বেশ বেশ, ধিক ধিক ইত্যাদি ।
দুটি ভিন্ন শব্দযোগেযেহেতু, সেহেতু, নইলে, তাহলে ইত্যাদি ।
অনুকার শব্দযোগেকন কন, শন শন, ভন ভন, ঘেউ ঘেউ ইত্যাদি
পদ কাকে বলে

উপরোক্ত আলোচনায় মূলত পদ কাকে বলে কত প্রকার কিকি আলোচনা করা হয়েছে। একই সাথে প্রত্যেক প্রকারের বিশ্লেষণ করা হয়েছে। আশা করছি উল্লিখিত আলোচনায় পাঠকগণ অনেক উপকৃত হবেন।

আমাদের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ভিজিট করুন “স্বপ্নের বিসিএস

About Alauddin

I am a motivated and curious individual who thrives on learning and growth. With a passion for exploring diverse subjects, I am constantly seeking new knowledge and experiences. From delving into the intricacies of technology trends to delving into the pages of classic literature, I am an avid learner with a wide range of interests. I find joy in connecting with others, sharing insights, and collaborating on projects by Sopner BCS. My enthusiasm for personal development and helping others reach their potential drives me to engage in meaningful conversations and contribute positively to the world around me.

Check Also

বিপরীতার্থক শব্দ; সর্বশেষ সংশোধিত ২০২৩

কোনো শব্দের বিপরীত অর্থবোধক শব্দকে সে শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ বলে। যেমন : আলো-আঁধার, উঁচু-নিচু । • তৎসম শব্দের বিপরীতার্থক তৎসম এবং তদ্ভব শব্দের বিপরীতার্থক তদ্ভব শব্দই হওয়া উচিত । বিপরীত শব্দ বিভিন্ন উপায়ে গঠিত হতে পারে । যেমন : ভিন্ন শব্দযোগে : উত্তম-অধম, আগা-গোড়া ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *