নাটক সাহিত্যতত্ত্বের একটি পারিভাষিক শব্দ। কোনো দ্বন্দ্বমূলক আখ্যান যদি চরিত্রসমূহের সংলাপের মাধ্যমে মূর্ত হয়ে উঠে তাহলে তাকে নাটক বলে। নাটকে কাহিনী থাকে তবে কাহিনীর চেয়ে মুখ্য হয়ে ওঠে চরিত্রসমূহের দ্বন্দ্ব। কাহিনী, চরিত্র, ঘটনাসমাবেশ ও সংলাপ হলো নাটকের মূল অঙ্গ। আজকের এই আলোচনায় বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক নাটক কোনটি, বাংলা নাটকের ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
নাটক কী ও বাংলা নাটকের ইতিহাস?
উ. রঙ্গমঞ্চে মানুষের সুখ-দুঃখকে স্বাভাবিক অভিনয়ের মাধ্যমে প্রকাশ করাকে নাটক বলে। নাটক সংলাপ ও অভিনয়ের মাধ্যমে মঞ্চে প্রদর্শিত হয়ে থাকে। এর অপর নাম ‘দৃশ্যকাব্য’। গদ্যরীতির উৎকর্ষের পরে নাটকের যাত্রা।
প্র. নাটক কত প্রকার ও কী কী?
উ. বাংলা নাটককে প্রধানত দু’ভাগে ভাগ করা যায়। যথা: ১. রসগ্রস্থান:
ক. ট্রাজেডি (কৃষ্ণকুমারী)
গ. মেলোড্রামা (প্রফু
খ. কমেডি (চক্ষুদান)
ঘ. ফার্স/গ্রহসন (একেই কি বলে সভ্যতা)
২. রূপপ্রধান :
ক. গীতিনাট্য (বাল্মীকি প্রতিভা)
খ. নৃত্যনাট্য (নটীর পূজা)
প্র. বাংলা সাহিত্যের প্রথম নাটক কোনটি?
উ. বাংলা সাহিত্যের প্রথম নাটক হলো “কৃত্তিবাস ওরফে কালিকা পুরাণ” বা “কালিকাপুরাণ”। এটি ১৮৬৭ সালে রচিত হয়েছিল এবং লেখক ছিলেন রামনারায়ণ তর্করত্ন। নাটকটি পুরাণের কাহিনী ভিত্তিক ছিল এবং এটিই বাংলার প্রথম প্রকাশিত নাটক হিসেবে স্বীকৃত।
বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক নাটক কোনটি?
বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক নাটক হিসেবে ধরা হয় মাইকেল মধুসূদন দত্তের লেখা “শর্মিষ্ঠা” (Sharmishtha)। এটি ১৮৫৯ সালে রচিত হয় এবং বাংলা সাহিত্যে নাট্যধারার একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়।
“শর্মিষ্ঠা” ছিল মাইকেল মধুসূদন দত্তের প্রথম রচনা এবং এটি বাংলা সাহিত্যে নাটকের একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছিল। এই নাটকটি ঐতিহাসিক ও পৌরাণিক চরিত্রের উপর ভিত্তি করে রচিত, যা নাটকের ভাষা ও বিষয়বস্তুতে নতুনত্ব আনে।
বাংলা সাহিত্যের প্রথম ঐতিহাসিক নাটক কোনটি?
বাংলা সাহিত্যের প্রথম ঐতিহাসিক নাটক হলো “সিরাজউদ্দৌলা”। নাটকটি ১৮৬০ সালে রচিত হয় এবং এর রচয়িতা ছিলেন নাট্যকার গিরিশচন্দ্র ঘোষ।
“সিরাজউদ্দৌলা” নাটকটি বাংলার নবাব সিরাজউদ্দৌলার জীবন ও পলাশীর যুদ্ধের উপর ভিত্তি করে রচিত। এটি বাংলা নাট্যধারায় ঐতিহাসিক নাটকের সূচনা করে এবং পরবর্তী কালে বাংলা নাটকের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
প্র. কলকাতার লালবাজারে ‘গ্রে-হাউজ’ এ প্রথম রঙ্গমঞ্চ তৈরি হয় কবে?
উ. ১৭৫৩ খ্রিষ্টাব্দ।
প্র. বাংলা নাটক প্রথম অভিনীত হয় কবে?
উ. ১৭৯৫ খ্রিষ্টাব্দ। হেরাসিম লেবেডেফ নামে রুশদেশীয় এক ব্যক্তি প্রথম The Disguise ও Love is the best Doctor নামে দুটি নাটক বাংলায় অনুবাদ করে এদেশীয় পাত্র-পাত্রীর দ্বারা অভিনয় করান।
প্র. বাংলা নাটক প্রথম মঞ্চে অভিনীত হয় কবে?
উ. ১৮৩১ খ্রিষ্টাব্দ।
প্র. প্রথম বাংলা মৌলিক নাটক কোনটি?
উ. তারাচরণ শিকদার রচিত ‘ভদ্রার্জুন’ (১৮৫২)। এ নাটকের মূল বিষয় অর্জুন কর্তৃক সুভদ্রা হরণের কাহিনী। মহাভারত থেকে কাহিনী সংগ্রহ করা হলেও বাঙালি সমাজের বাস্তব পরিবেশ এতে অঙ্কিত হয়েছে। এটি বাঙালি কর্তৃক রচিত প্রথম কমেডি নাটক।
প্র. বাংলা ভাষার প্রথম সার্থক ও আধুনিক নাটক কোনটি?
উ. মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ‘শর্মিষ্ঠা’ (১৮৫৯)। এটি রচিত হয়েছে পুরাণের কাহিনী অবলম্বনে।
প্র. বাংলা ভাষার প্রথম সার্থক ট্রাজেডি নাটক কোনটি?
উ. মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ‘কৃষ্ণকুমারী’ (১৮৬১)। উইলিয়াম টডের ‘রাজস্থান’ নামক গ্রন্থ থেকে মধুসূদন এ নাটকের কাহিনী সংগ্রহ করেন। চরিত্র: কৃষ্ণকুমারী, মদনিকা, ভীমসিং, বিলাসবতী ।
প্র. বাংলা ভাষার প্রথম সার্থক কমেডি নাটক কোনটি?
উ. মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ‘পদ্মাবতী’ (১৮৬০)। এ নাটকের ২য় অঙ্কের ২য় গর্ভাঙ্কে প্রথম অমিত্রাক্ষর ছন্দ প্রয়োগ করেন। এটি গ্রিক পুরাণের Apple of Discord অবলম্বনে রচিত
প্র. বাংলা ভাষার মুসলমান রচিত প্রথম নাটক কোনটি?
উ. মীর মশাররফ হোসেন রচিত ‘বসন্ত কুমারী’ (১৮৭৩)। বৃদ্ধ রাজা বীরেন্দ্র সিংহের যুবতী স্ত্রী রেবর্তী সপত্নী পুত্র নরেন্দ্র সিংহকে প্রেম নিবেদন করে প্রত্যাখাত হয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করে। পরিণামে সমগ্র রাজ পরিবারটি ধ্বংস হয়ে যায়, এটিই এ নাটকের মূল বিষয়।
প্র. বাংলা ভাষায় মুসলমান চরিত্র অবলম্বনে প্রথম নাটক কোনটি?
উ. মীর মশাররফ হোসেন রচিত ‘জমীদার দর্পণ’ (১৮৭৩)। অত্যাচারী ও চরিত্রহীন জমিদার হায়ওয়ান আলীর অত্যাচার এবং অধীনস্ত প্রজা আবু মোল্লার গর্ভবতী স্ত্রী নূরন্নেহারকে ধর্ষণ ও হত্যার কাহিনী এর মূল বিষয়।
প্র. বাংলা নাট্যসাহিত্যে প্রথম ট্রাজেডি রচনার প্রচেষ্টা কোনটি?
উ. যোগেন্দ্রচন্দ্র রচিত ‘কীর্তিবিলাস’ (১৮৫২)। সপত্নীপুত্রের প্রতি বিমাতার অত্যাচারের কাহিনী অবলম্বনে এটি রচিত। বিভিন্ন চরিত্রের মৃত্যুর মাধ্যমে ট্রাজেডির রূপায়ণ এ নাটকের বৈশিষ্ট্য।
প্র. ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রথম নাটক কোনটি?
উ. দীনবন্ধু মিত্র রচিত ‘নীলদর্পণ’ (১৮৬০)। এতে মেহেরপুরের কৃষকদের ওপর নীলকরদের নির্মম নির্যাতনের চিত্র ফুটে উঠেছে। নাটকটি প্রথম মঞ্চায়ন হয় ঢাকায়। এ নাটকের অভিনয় দেখতে এসে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মঞ্চের অভিনেতাদের লক্ষ্য করে জুতা ছুড়ে মেরেছিলেন। মাইকেল মধুসূদন A Native ছদ্মনামে ইংরেজিতে The Indigo Planting Mirror নামে অনুবাদ করেন। চরিত্র: নবীন মাধব, তোরাপ।
প্র. বাংলা ভাষার প্রথম সাংকেতিক নাটক কোনটি?
উ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘শারদোৎসব’ (১৯০৮)। প্র. ট্রাজেডি, কমেডি ও ফার্সের মূল পার্থক্য কোথায়? উ. জীবনানুভূতির গভীরতায়।
বাংলা সাহিত্যের আধুনিক যুগের বিখ্যাত নাটক
নাট্যকার | নাটকের নাম |
তারাচরণ শিকদার | ‘ভদ্রার্জুন’ (১৮৫২): এটি বাঙালি কর্তৃক বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম নাটক । |
যোগেন্দ্রচন্দ্র গুপ্ত | ‘কীর্তিবিলাস’ (১৮৫২): বাংলা নাট্যসাহিত্যে প্রথম ট্রাজেডি নাটক । |
রামনারায়ণ তর্করত্ন | ‘কুলীনকুল সর্বস্ব’ (১৮৫৪): এটি কৌলিন্য প্রথা অবলম্বনে রচিত। ‘বেণী সংহার’, ‘যেমন কর্ম তেমন ফল’ (প্রহসন), ‘উভয়সঙ্কট’ (প্রহসন) |
মাইকেল মধুসূদন | ‘শর্মিষ্ঠা’, ‘পদ্মাবতী’, ‘কৃষ্ণকুমারী’, ‘মায়াকানন’ । |
গিরিশচন্দ্র ঘোষ | ‘প্রফুল্ল’ (১৮৮৯): লেখকের প্রথম ও শ্রেষ্ঠ বিয়োগান্তক নাটক। ‘সীতার বনবাস’, ‘সীতাহরণ’, সিরাজদ্দৌলা। |
দীনবন্ধু মিত্র | ‘নীলদর্পণ’: এটি ঢাকার বাংলা প্রেস থেকে প্রকাশিত প্রথম গ্রন্থ। ‘কমলে কামিনী’, ‘জামাই বারিক’, ‘নবীন তপস্বিনী’, ‘লীলাবতী’। |
দ্বিজেন্দ্রলাল রায় | ঐতিহাসিক নাটক: ‘সাজাহান’, ‘নুরজাহান’, ‘প্রতাপসিংহ’, ‘দুর্গাদাস’, ‘মেবারপতন’, ‘তারাবাঈ’, ‘তাপসী” । রোমান্টিক ও পৌরাণিক নাটক: ‘সিংহলবিজয়’, ‘সীতা’, ‘ভীষ্ম’, ‘সোহরাব-রুস্তম’, ‘চন্দ্রগুপ্ত’। কাব্যনাট্য: ‘পাষাণী’ সামাজিক নাটক: ‘পরপারে’, ‘বঙ্গনারী’, ‘কল্কি অবতার’, ‘বিরহ’, ‘প্রায়শ্চিত্ত’, ‘আনন্দ বিদায়’। |
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | ‘বাল্মীকি প্রতিভা’: প্রথম প্রকাশিত নাটক । অধিকাংশের মতে, ‘রুদ্রচণ্ড’। রূপক ও সাংকেতিক নাটক: ‘ডাকঘর’, ‘কালের যাত্রা’, ‘তাসের দেশ’, ‘প্রকৃতির প্রতিশোধ’, ‘রাজা ও রানী’, ‘রাজা’, ‘অচলায়তন’, ‘রক্তকরবী’ । নৃত্যনাট্য: ‘চিত্রাঙ্গদা’, ‘চণ্ডালিকা’, ‘নটীর পূজা’, ‘শ্যামা’ কাব্যনাট্য: ‘প্রকৃতির প্রতিশোধ’, ‘মায়ার খেলা’, ‘বিদায় অভিশাপ’। অন্যান্য নাটক: ‘বিসর্জন’, ‘চিরকুমার সভা’, ‘বৈকুণ্ঠের খাতা’, ‘বসন্ত’। |
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় | ‘ষোড়শী’, ‘বিজয়া’, ‘রমা’। |
কাজী নজরুল ইসলাম | ‘ঝিলিমিলি’: এটি ৩টি নাটকের সংকলন এবং প্রথম নাট্যগ্রন্থ। ‘আলেয়া’, ‘মধুমালা’, ‘পুতুলের বিয়ে’। |
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ | ‘উজানে মৃত্যু’, ‘বহিপীর’, ‘তরঙ্গভঙ্গ’, ‘সুড়ঙ্গ’। |
মুনীর চৌধুরী | ‘রক্তাক্ত প্রান্তর’: এটি তাঁর রচিত প্রথম নাটক। ‘কবর’: ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পটভূমিতে রচিত। ‘মানুষ’,‘দণ্ডকারণ্য’, ‘নষ্ট ছেলে’, ‘চিঠি’, ‘পলাশী ব্যারাক ও অন্যান্য’। |
অমৃতলাল বসু | ‘বিবাহ বিভ্রাট’, ‘চোরের উপর বাটপারি’, ‘ডিসমিস’, ‘কৃপণের ধন’ (সবগুলোই প্রহসন) । |
সিকান্দার আবু জাফর | ‘সিরাজ-উদ্-দৌলা’, ‘মহাকবি আলাওল’। |
মামুনুর রশীদ | ‘গিনিপিগ’, ‘ওরা কদম আলী’, ‘ইবলিশ’। |
জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর | ‘পুরুবিক্রম নাটক’, ‘কিঞ্চিত জলযোগ’ (প্রহসন)। |
আব্দুল্লাহ আল মামুন | ‘সুবচন নির্বাসনে’, ‘কোকিলারা’। |
জিয়া হায়দার | এলেবেলে |
ক্ষীরোদপ্রসাদ | ‘আলিবাবা’, ‘রঘুবীর’। |
হানিফ সংকেত | শোধ-বোধ |
মমতাজ উদ্দিন আহমেদ | স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতা। |
প্রবন্ধ
ব্যক্তির চিন্তা যখন সুসংহত গদ্য কাঠামো পায় এবং বিভিন্ন যুক্তি দ্বারা তা প্রতিষ্ঠিত হয় তাকে প্রবন্ধ বলে। প্রবন্ধের সূচনা হয় উনিশ শতকের মাঝামাঝিতে। বাংলা প্রবন্ধ সাহিত্যের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ।
প্র. প্রবন্ধ কী ?
উ, কোনো বিষয়ের ওপর বুদ্ধিভিত্তিক আলোচনাই প্রবন্ধ ৷
প্র. বাংলা প্রবন্ধধারার প্রবর্তক কে?
উ. রাজা রামমোহন রায়।
প্র. কথ্যরীতিতে প্রথম প্রবন্ধ রচয়িতা কে?
উ. প্যারীচাঁদ মিত্র।
প্র. প্রথম সমাজসংস্কারমূলক প্রবন্ধ রচয়িতা কে?
উ. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
প্র. বাংলা প্রবন্ধ সাহিত্যে প্রথম জীবনচরিত কোনটি?
উ. রামরাম বসুর ‘রাজা প্রতাপাদিত্য চরিত্র’ (১৮০১)। এটি বাঙালির লেখা, বাংলা অক্ষরে প্রথম মুদ্রিত গ্রন্থ।
বাংলা সাহিত্যের আধুনিক যুগের বিখ্যাত প্রাবন্ধিক ও প্রবন্ধ
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ঃ ‘কমলাকান্তের দপ্তর’, ‘সাম্য’, ‘লোকরহস্য’, ‘কৃষ্ণচরিত’, ‘বিজ্ঞানরহস্য’, ‘মুচিরাম গুড়ের জীবনচরিত’
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঃ ‘বিবিধপ্রসঙ্গ’ (১৮৮৩): প্রথম প্রকাশিত প্রবন্ধগ্রন্থ। ‘কালান্তর’, ‘পঞ্চভূত’, ‘বিচিত্রপ্রবন্ধ’, ‘সাহিত্য’, ‘মানুষের ধর্ম’, ‘সভ্যতার সংকট”
কাজী নজরুল ইসলামঃ ‘তুর্কমহিলার ঘোমটা খোলা’ (১৯১৯): প্রথম প্রকাশিত প্রবন্ধ । ‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’, ‘যুগবাণী’, ‘রুদ্রমঙ্গল’, ‘দুর্দিনের যাত্রী’
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ঃ ‘নারীর মূল্য’, ‘তরুণের বিদ্রোহ’ ।
মুহম্মদ আবদুল হাইঃ “ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব’, ‘সাহিত্য ও সংস্কৃতি’, ‘ভাষা ও সাহিত্য’
ড. মুহম্মদ এনামুল হকঃ ‘আরাকান রাজসভায় বাংলা সাহিত্য’: এটি আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ সহযোগে রচিত। ‘মনীষা মঞ্জুষা’
আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদঃ ‘পদ্মাবতী’, ‘সত্যনারায়ণের পুঁথি’, ‘গোরক্ষ বিজয়’
আব্দুল্লাহ আল মুতীঃ সাগরের রহস্যপুরী’, ‘এসো বিজ্ঞানের রাজ্যে’, ‘রহস্যের শেষ নেই’, ‘আবিষ্কারের নেশায়’।
বদরুদ্দীন উমরঃ ‘সংস্কৃতির সংকট’, ‘সাম্প্রদায়িকতা’, ‘সাংস্কৃতিক সাম্প্রদায়িকতা’।
মোহাম্মদ বরকতুল্লাহঃ ‘নয়া জাতির স্রষ্টা হজরত মোহম্মদ’, ‘পারস্য প্রতিভা’
ড. আহমদ শরীফঃ ‘বিচিত চিন্তা’, ‘সাহিত্য সংস্কৃতি চিন্তা’, ‘স্বদেশ অন্বেষা’, ‘যুগ যন্ত্রণা’, ‘কালিক ভাবনা’, ‘বাঙালি ও বাংলা সাহিত্য’, ‘স্বদেশ চিন্তা’, ‘বিশ শতকের বাঙালি’, ‘সংস্কৃতি’।
বিনয় ঘোষঃ ‘বিদ্যাসাগর ও বাঙালি সমাজ’, ‘শিল্প সংস্কৃতি ও সমাজ’, ‘কালপেঁচার নকশা’, ‘পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি’, ‘সাময়িকপত্রে বাংলার সমাজচিত্র’, ‘কলকাতা শহরের ইতিবৃত্ত’, ‘নববাবু চরিত্র’ ।
কালী প্রসন্ন ঘোষঃ ‘প্রভাত চিন্তা’, ‘নিভৃত চিন্তা’, ‘নিশীথ চিন্তা’ ।
গোপাল হালদারঃ ‘সংস্কৃতির রূপান্তর’, ‘বাঙালির সংস্কৃতির রূপ ।
আবদুস সাত্তারঃ ‘অরণ্য জনপদে’, ‘অরণ্য সংস্কৃতি’
মোতাহের হোসেন চৌধুরীঃ ‘সংস্কৃতি কথা’, ‘সভ্যতা’।
আখতারুজ্জামান ইলিয়াসঃ ‘সংস্কৃতির ভাঙ্গা সেতু’
গুলবদন বেগমঃ ‘হুমায়ুন নামা’
জগদীশচন্দ্র বসুঃ ‘অব্যক্ত’
ড. আনিসুজ্জামানঃ “স্বরূপের সন্ধানে’
আকবর আলী খানঃ ‘পরার্থপরতার অর্থনীতি’
Visit our official YouTube Channel “Sopner BCS“
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস বিষয়ক গ্ৰন্থ
রামগতি ন্যায়রত্নঃ ‘বাঙ্গালা ভাষা ও বাঙ্গালা সাহিত্য বিষয়ক প্রস্তাব’ (১৮৭৩): বাংলা সাহিত্যে ইতিহাস বিষয়ক প্রাচীনতম গ্রন্থ।
ড. দীনেশচন্দ্র সেনঃ ‘বঙ্গভাষা ও সাহিত্য’ (১৮৯৬): বাংলা সাহিত্যের প্রথম উল্লেখযোগ্য ইতিহাস গ্রন্থ । “বাঙ্গালা সাহিত্যের কথা’, ‘বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস’
ড. সুকুমার সেনঃ বাঙ্গালা সাহিত্যের কথা, বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস।
ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ঃ ‘বাংলা ভাষার উদ্ভব ও বিকাশ’
মুহম্মদ আবদুল হাই ও সৈয়দ আলী আহসানঃ ‘বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত’
ড. অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ঃ ‘বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত’
গোপাল হালদারঃ ‘বাংলা সাহিত্যের রূপরেখা’
ড. ওয়াকিল আহমেদঃ ‘বাংলা সাহিত্যের পুরাবৃত্ত’
নাজিরুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সুফিয়ান ভূদেব চৌধুরীঃ ‘বাংলা সাহিত্যের নতুন ইতিহাস’ : মুসলমান রচিত প্রথম বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস গ্রন্থ ‘বাংলা সাহিত্যের ইতিকথা’
আধুনিক বাংলা সাহিত্যে ভ্রমণকাহিনী বিষয়ক গ্রন্থঃ
রচয়িতা | ভ্রমণকাহিনী |
রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর | ‘য়ুরোপ প্রবাসীর পত্র’, ‘জাপান যাত্রী’, ‘জাভা যাত্রীর পত্র’, ‘রাশিয়ার চিঠি |
জসিমউদদীন | ‘চলে মুসাফির’, ‘হলদে পরীর দেশ’, ‘যে দেশে মানুষ বড়া |
জহুরুল হক | ‘সাত সাঁতার’: এটি আমেরিকার ভ্রমণকাহিনী |
ফজল শামসুজ্জামান | ‘অন্য পৃথিবী’: এটি অস্ট্রেলিয়ার ভ্রমণকাহিনী |
ইব্রাহিম খাঁ | ‘ইস্তাম্বুল যাত্রীর পত্র’, ‘নয়া চীনে এক চক্কর’ |
সৈয়দ মুজতবা আলী | ‘দেশে-বিদেশে’, ‘জলে ডাঙায়’ |
অন্যদাশঙ্কর | ‘পথে প্রবাসে’ |
আ.ন.ম. বজলুর রশীদ | ‘দ্বিতীয় পৃথিবীতে’, ‘পথ ও পৃথিবী’ |
ইসমাইল হোসেন সিরাজী | ‘তুরস্ক ভ্রমণ’ |
ড. মুহাম্মদ এনামুল হক | ‘বুলগেরিয়া ভ্রমণ’ |
এস ওয়াজেদ আলী | ‘মোটরযোগে রাঁচী সফর’ |
বিনয়কৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় | ‘দৃষ্টিপাত’ |
নির্মলেন্দু গুণ | গীনসবার্গের তীরে’, ‘ভলগার তীরে’ |
খন্দকার মোহাম্মদ ইলিয়াস | ‘ভাসানী যখন ইউরোপে |
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় | অভিযাত্রিক |
রাহুল সাংকৃত্যায়ন | ‘ভল্গা থেকে গঙ্গা’ |
শহীদুল্লা কায়সার | পেশোয়ার থেকে তাসখন্দ |
সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় | ‘পালামৌ’ |
সানাউল হক | ‘বন্দর থেকে বন্দরে’ |
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় | ‘মস্কোতে কয়েক দিন |
মুহম্মদ আবদুল হাই | ‘বিলেতে সাড়ে সাতশ দিন’ ‘অভিযাত্রিক’ |
বাংলা কাব্য ও কবিতা
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রাচীনতম শাখা কাব্য। সপ্তদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে বাংলা কাব্যের সূচনা ঘটে। বাংলা সাহিত্যের সর্বাধিক সমৃদ্ধ ধারা গীতিকবিতা। উনিশ শতকের গীতিকাব্য ধারার অন্যতম কবি বিহারীলাল চক্রবর্তী। বাংলা গীতিকবিতার পূর্ণবিকাশ ঘটে রবীন্দ্রনাথের হাতে।
প্র. আধুনিক যুগের বাংলা সাহিত্যের প্রথম কাব্য কোনটি?
উ. রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পদ্মিনী উপাখ্যান’ (১৮৫৮)।
প্র. আধুনিক বাংলা গীতিকাব্যের প্রথম ও প্রধান কবি কে?
উ. বিহারীলাল চক্রবর্তী।
প্র. বাংলা কাব্যে আধুনিক যুগের প্রবর্তক কে?
উ. মাইকেল মধুসূদন দত্ত ।
প্র. বাংলা সাহিত্যে প্রথম বিদ্রোহী প্রধান কাব্য কোনটি?
উ. ‘অগ্নিবীণা’ (১৯২২)।
প্র. বাংলা সাহিত্যের প্রথম জীবনীকাব্য কোনটি?
উ. ‘শ্রী চৈতন্যভাগবত’।
প্র. বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম ধারা কোনটি ?
উ. কবিতা। কবিতা দুই প্রকার । যথা:
১. তন্ময় কবিতা,
২. মন্ময় কবিতা।
প্র. Ode কী?
উ. Ode অর্থ গাথা বা গান বা স্তোত্র বা প্রাচীন গ্রিক কবিতা যা গ্রিক সাহিত্য হতে উদ্ভূত। প্রাচীনকালে গ্রীসে রঙ্গমঞ্চে কোরাসে বিভিন্ন সুরে নানা অঙ্গভঙ্গি দ্বারা সংগীত ও নাচের মাধ্যমে যে গান গাওয়া হতো তাকে Ode বলা হতো। বর্তমানকালে প্রশস্তিমূলক গীতিকবিতায় কোন গম্ভীর বিষয়বস্তু বা উপাদানের মাধ্যমে কবির মনের অনুভূতির ভাবমূর্তির প্রকাশকে স্তোত্র কবিতা নামে আখ্যায়িত করা হয় ।
প্র. বাংলা সাহিত্যে আধুনিক যুগের প্রথম কবি কে?
উ. ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত ।
প্র. বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা কবি কে?
উ. চন্দ্রাবতী। মধ্যযুগের কবি চন্দ্রাবতী ছিলেন কিশোরগঞ্জ অঞ্চলের এবং তাঁর পিতার নাম দ্বিজ বংশীদাস ।
প্র. আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা কবি কে?
উ. স্বর্ণকুমারী দেবী।
প্র. বাংলা কবিতার ছন্দের জাদুকর কে?
উ. সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত।
প্র. বাংলা কবিতায় মুক্তক ছন্দের প্রবর্তক কে?
উ. কাজী নজরুল ইসলাম ।
প্র. বাংলা সাহিত্যের ছান্দসিক কবি কে?
উ. আবদুল কাদির
প্র. প্রথম ইংরেজি কবিতা বাংলায় অনুবাদ করেন কে?
উ. টি.এস এলিয়টের ইংরেজি কবিতা প্রথম বাংলায় অনুবাদ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এর মাধ্যমে বাঙালি কবিদের আধুনিক কবিতার সাথে পরিচয় ঘটে।
প্র. ত্রিশের দশকের কবি কারা? / বাংলা ভাষায় যাঁরা আধুনিক কবিতা সৃষ্টি করেছিলেন, তাদের মধ্যে পাঁচজন প্রধান। এই পাঁচজন কবির নাম লিখুন। [৩৮তম বিসিএস লিখিত]
উ. বাংলা সাহিত্যে আধুনিক কবিতার স্রষ্টাদের আধুনিক কবি এবং ‘পঞ্চপাণ্ডব’ বলে। জীবনানন্দ দাশ, বিষ্ণু দে, বুদ্ধদেব বসু, সুধীন্দ্রনাথ দত্ত এবং অমিয় চক্রবর্তীকে ‘পঞ্চপাণ্ডব এবং ত্রিশের দশকের কবি বলে। শামসুর রাহমান, সমর সেনকে বলা হয় অতি আধুনিক কবি।
প্র. বাংলা কাব্যে প্রথম প্রচুর পরিমাণ আরবি ও ফারসি শব্দ ব্যবহার করেন কে?
উ. মোহিতলাল মজুমদার এবং পরবর্তীতে কাজী নজরুল ইসলাম
রবিন্দ্রনাথা ঠাকুর রচিত বিখ্যাত কাব্য ও কবিতাসমূহঃ ‘কবি-কাহিনী’ (১৮৭৮): প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ, যা অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত। ‘বনফুল’, ‘কড়ি ও কোমল’, ‘সোনার তরী’, ‘চিত্রা’, ‘ক্ষণিকা’, ‘নৈবেদ্য’, ‘খেয়া’, ‘গীতাঞ্জলি’, ‘বলাকা’, ‘পূরবী’, ‘শেষলেখা’, ‘মানসী’, ‘চৈতালি’, ‘কল্পনা’, ‘পত্রপূট’, ‘সেঁজুতি’, ‘আকাশ প্রদীপ’, ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলি’, ‘পুনশ্চ’।
মহাকাব্য কাকে বলে & বিখ্যাত মহাকাব্য সমূহ
সাধারণত বীর রসাত্মক আখ্যানকাব্যকে মহাকাব্য বলে। স্বৰ্গ, মর্ত্য ও পাতাল পরিব্যাপ্ত লৌকিক-অলৌকিক-পৌরাণিক বিশালায়তন আখ্যানকে মহাকাব্য বলে। মহাকাব্যের প্রধান পাত্র- পাত্রী সর্বদা দেবতা নতুবা উচ্চ বর্ণের অভিজাত ক্ষমতাবান মানুষেরা হয়ে থাকেন। মহাকাব্যের ভাষা সর্বদা ধ্রুপদী, গুরুগম্ভীর এবং রসগুরু রুচিসম্পন্ন হয়ে থাকে। বেশিরভাগ মহাকাব্যেই অলৌকিকতার প্রাধান্য লক্ষ করা যায় ।
প্র. মহাকাব্য কাকে বলে?
উ. পাশ্চাত্য আদর্শানুসারে মহাকাব্য হচ্ছে বীরত্বব্যঞ্জক কাহিনী।
প্র. বাংলা সাহিত্যের প্রথম ও শ্রেষ্ঠ মহাকাব্য কোনটি?
উ. মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ‘মেঘনাদবধ কাব্য (১৮৬১)। এটি রামায়ণের কাহিনী অবলম্বনে বীর রসের অমিত্রাক্ষর ছন্দে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য প্রভাবের সংমিশ্রণে রচিত সর্বপ্রথম, সর্বশ্রেষ্ঠ ও সার্থক মহাকাব্য। চরিত্র: রাবণ, মেঘনাদ, লক্ষ্মণ, রাম, প্রমীলা, বিভীষণ, সীতা।
প্র. পাশ্চাত্য মহাকাব্য কয়ভাবে বিভক্ত?
উ. দুই ভাগে। যথা:
১. জাত মহাকাব্য: এ মহাকাব্য কোন বিশেষ কবির রচনা নয়, এতে থাকে বহু অজানা কবির অসংখ্য রচনা যা পরবর্তীতে কেউ একত্রিত করে অখণ্ড রূপ দেন। জাত মহাকাব্য চারটি। যথা: ক. মহাভারত, খ. রামায়ণ, গ. ইলিয়াড, ঘ. ওডিসি।
২. সাহিত্যিক বা অনুকৃত মহাকাব্য: পুরান ইতিহাস থেকে কাহিনী নিয়ে একজন কবি তাঁর সাহিত্যিক প্রতিভার গুণে নতুন রূপ দেয়াকে সাহিত্যিক বা অনুকৃত মহাকাব্য বলে। যেমন: মিলটনের ‘প্যারাডাইস লস্ট’ ।
রচয়িতা | বিখ্যাত মহাকাব্য |
বাল্মীকি | ‘রামায়ণ’: এটি সংস্কৃত ভাষায় রচিত। এর প্রথম বাংলা অনুবাদক কৃত্তিবাস এবং প্রথম মহিলা অনুবাদক চন্দ্রাবতী। |
বেদব্যাস | ‘মহাভারত’: এটি সংস্কৃত ভাষায় রচিত। এর প্রথম বাংলা অনুবাদক কবীন্দ্র পরমেশ্বর। তিনি এর নাম দেন ‘পরাগলী মহাভারত’। শ্রেষ্ঠ অনুবাদক কাশীরাম দাস । |
ফেরদৌসী(ইরান/পারস্যের) | ‘শাহনামা’ (৯৭৭-১০১০): এটি ফারসি ভাষায় রচিত মহাকাব্য যা বাংলায় অনুবাদ করেন মোজাম্মেল হক । ‘রৈবতক’, ‘কুরুক্ষেত্র’, ‘প্রভাস’: এ তিনটিকে একত্রে ত্রয়ীমহাকাব্য বলে । |
নবীনচন্দ্র সেন | রৈবতক, কুরুক্ষেত্র, প্রভাসঃ এই তিনটি কে একত্রে ত্রয়ীমহাকাব্য বলে। |
সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী | ‘স্পেন বিজয় কাব্য’: স্পেনের সম্রাট রডরিকের সাথে মুসলিম বীর তারেকের সংগ্রাম কাহিনী । |
হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় | ‘বৃত্রসংহার’ (১ম খণ্ড: ১৮৭৫, ২য় খণ্ড: ১৮৭৭) |
হোমার (গ্রিক কবি) | ‘ইলিয়াড’, ‘ওডিসি’ |
ভার্জিল | ‘ইনিড’ (৩০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) |
জন মিল্টন | ‘প্যারাডাইস লস্ট’ |
হামিদ আলী | ‘কাশেমবধ কাব্য’ |
যোগীন্দ্রনাথ বসু | ‘পৃথ্বীরাজ’, ‘শিবাজী’ |
আনন্দচন্দ্র মিত্র | ‘হেলেনা কাব্য’ |
বাংলা সাহিত্যের বিখ্যাত মহাকাব্যগুলো বাঙালি সংস্কৃতি ও ইতিহাসের গভীর শিকড়ের প্রতিফলন। “মেঘনাদবধ কাব্য” মাইকেল মধুসূদন দত্তের অনবদ্য সৃষ্টি, যা বাংলার মহাকাব্যের ঐতিহ্যে নতুন মাত্রা যোগ করে। এছাড়া “পদ্মাবতী” ও “আনন্দমঠ” কাব্যগুলো বাংলার জাতীয়তাবোধ ও সংস্কৃতির প্রতিচ্ছবি হিসেবে বিবেচিত হয়। মহাকাব্যগুলো কেবলমাত্র সাহিত্য নয়, বাঙালি মানসিকতার গঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এই মহাকাব্যগুলোর মাধ্যমে বাংলা সাহিত্য বিশ্বসাহিত্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়ে ওঠে এবং বাঙালির আত্মপরিচয়ের এক অমূল্য অংশ হয়ে দাঁড়ায়, যা আজও প্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বপূর্ণ।
One comment
Pingback: ভাষা আন্দোলনভিত্তিক রচনা - Sopner BCS