46 BCS Preparation (৪৬তম বিসিএস) পরীক্ষার জন্য বা অন্য যে কোনো সরকারি চাকুরির আপনি যদি প্রস্তুতি নেন তাহলে এই আর্টিকেল টি শুধু আপনার জন্যই। প্রশ্নপত্রে সাধারণ জ্ঞান খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। বর্তমানের রাজনৈতিক, অর্থনীতি, সামাজিক ও আন্তর্জাতিক ঘটনার সম্মিলিত জ্ঞানে উজ্জীবিত থাকা গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া, বিজ্ঞান, সাহিত্য, ও ক্রিকেট সম্মিলিত বিস্তৃত জ্ঞানও অত্যন্ত প্রয়োজন। এই সমস্ত বিষয়ে নির্দিষ্ট প্রস্তুতি নেয়া ছাত্র-ছাত্রীদের সফলতা অর্জনে সাহায্য করতে পারে।
বাংলাদেশের প্রাণিজ সম্পদ (46 BCS Preparation)
- গবাদি পশুর জাত উন্নয়নে পাক-ভারত উপমহাদেশে প্রথম অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন → ব্রিটিশ নাগরিক লর্ড লিন লিথগো
- বাংলাদেশের গবাদি পশুতে প্রথম ভ্রূণ বদল করা হয় → ৫ মে ১৯৯৫ সালে
- ‘বাংলাদেশ গবাদি পশু গবেষণা ইনস্টিটিউট’ অবস্থিত → ঢাকার সাভারে
- কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামার অবস্থিত → ঢাকার সাভারে দুগ্ধজাত সামগ্রীর জন্য বিখ্যাত লাহিড়ীমোহন হাট অবস্থিত → পাবনায়
- ‘বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র’ (সরকারি) অবস্থিত → করমজল, সুন্দরবন
- উন্নত জাতের গাভী → হরিয়ানা, সিন্দী, ফ্রিসিয়ান, জারসি, শাহীওয়াল, আয়ের শায়ের ইত্যাদি
- সবচেয়ে বেশি দুগ্ধ প্রদানকারী গাভীর জাত → ফ্রিসিয়ান & উন্নত জাতের ব্রয়লার মুরগি → হাইব্রো, স্টার ব্রো, ইন্ডিয়ান রোভাব, মিনিরো
- মাংস ও ডিম উভয়টি পাওয়া যায় → রোড আইল্যান্ড রেড ও অস্টারলক জাতের মুরগি থেকে
- যমুনাপাড়ী ছাগলের অপর নাম → রামছাগল
- ২ ব্ল্যাক বেঙ্গল → এক ধরনের ছাগল
- কুষ্টিয়া গ্রেড → বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের চামড়ার নাম
- বনরুই → এক ধরনের বিড়াল
- ঘড়িয়াল দেখা যায় → পদ্মা নদীতে
- মুরগির রোগ → রাণীক্ষেত, বসন্ত, রক্তআমাশয়, কলেরা, বাৰ্ডফু ইত্যাদি
- হাঁসের রোগ → ডাক প্লেগ, রোপা
- & গবাদি পশুর রোগ → গো-বসন্ত, যক্ষ্মা, ব্ল্যাককোয়াটার, অ্যানথ্রাক্স
- Department of Livestock Services (DLS) অবস্থিত → ফার্মগেট, ঢাকা
- বাংলাদেশে অতিথি পাখি আসে → সাইবেরিয়া থেকে গো-চারণের বাথান রয়েছে → সিরাজগঞ্জ জেলায় & ‘রাজ কাঁকড়া’ হলো জীবন্ত জীবাশ্ম
- ‘মিনিব্রো’/‘হাইব্রো’/‘স্টারব্রো’ হলো → ব্রয়লার মুরগির উন্নত
জাত 46 BCS Preparation; Recent GK Bangladesh 2023
- ব্রয়লার → যে সকল মুরগি কেবল মাংস উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়, তাদের ব্রয়লার বলে.
- ডিমপাড়া মুরগিকে লেয়ার বলে এবং সবচেয়ে বেশি ডিমপাড়া মুরগি → লেগহর্ন
- যে প্রাণী দাঁড়িয়ে ঘুমায় → ঘোড়া
- বেলাল আহমেদ রাজু পরিচালিত BCS কনফিডেন্স
- রোপা, ডাক, প্লেগ > ‘ব্ল্যাক কোয়াটার’ হচ্ছে হাঁসের রোগ গবাদিপশুর রোগ
- বাংলাদেশের একমাত্র কুমির প্রজনন খামার ময়মনসিংহের ভালুকায়। বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো কুমির রপ্তানি করে জার্মানিতে। বাংলাদেশের একমাত্র এবং প্রথম বাণিজ্যিকভাবে কুমির উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের নাম Reptiles Farm Limited। দেশের একমাত্র সরকারি কুমির প্রজনন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয় ২০০২ সালে।
- ২০১৮ সালে অধ্যাপক বজলুর রহমান মোল্লার নেতৃত্বে একদল বিজ্ঞানী ‘ব্ল্যাক বেঙ্গল’ ছাগলের জীবন রহস্য উন্মোচন করেন।
বাংলাদেশের কয়েকটি প্রাণী গবেষণা প্রতিষ্ঠান (46 BCS Preparation)
গবেষণা প্রতিষ্ঠান | অবস্থান |
হরিণ প্রজনন কেন্দ্র | ডুলহাজরা, চকোরিয়া, কক্সবাজার |
কেন্দ্রীয় গো-প্ৰজনন ও দুগ্ধ খামার | সাভার, ঢাকা |
ছাগল প্রজনন কেন্দ্ৰ হরিণ প্রজনন কেন্দ্র | সিলেটের টিলাগড় |
মহিষ প্রজনন ও উন্নয়ন কেন্দ্র | ফকিরহাট, বাগেরহাট |
গাধা প্রজনন কেন্দ্ৰ | রাঙামাটি |
সরকারি কুমির প্রজনন কেন্দ্ৰ | করমজল, সুন্দরবন |
প্রথম কৃত্রিম কুমির প্রজনন কেন্দ্ৰ | ভালুকা, ময়মনসিংহ |
‘ছাগল উন্নয়ন ও পাঁঠা কেন্দ্ৰ’ অবস্থিত | রাজবাড়ি হাট |
কেন্দ্রীয় হাঁস প্রজনন খামার | হাজীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ |
বাংলাদেশের মৃত্তিকা (46 BCS Preparation)
বায়ু, আর্দ্রতা এবং গ্রহণযোগ্য তাপমাত্রার উপস্থিতিতে খনিজ ও জৈব পদার্থের সংমিশ্রণকে সাধারণত মৃত্তিকা বলা হয়। একটি আদর্শ মৃত্তিকায় ৪৫% খনিজ পদার্থ, ৫% জৈব পদার্থ, ২৫% পানি এবং ২৫% বায়ু। তবে বাংলাদেশে ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে পানি এবং বায়ুর অনুপাতের পরিবর্তন ঘটে থাকে। তিনটি উৎস থেকে বাংলাদেশের মৃত্তিকা উদ্ভূত হয়েছে । যথা-
১. টারশিয়ারী মহাকালের শিলা ।
২. প্লাইস্টোসিন কালের পলল ।
৩. সাম্প্রতিককালের অবক্ষেপণ ।
বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মৃত্তিকার প্রকৃতি ও রাসায়নিক গঠনের ওপর ভিত্তি করে এর বিভিন্ন শ্রেণিবিন্যাস করা হয়েছে। ভূতত্ত্ববিদগণের মতে, বাংলাদেশের মৃত্তিকা প্রধানত চারটি শ্রেণিতে বিভক্ত, যথা- (১) পাললিক মৃত্তিক, (২) লোহিত মৃত্তিকা, (৩) লবণাক্ত মৃত্তিকা এবং (৪) পাহাড়ি মৃত্তিকা ।
- পাললিক মৃত্তিকা : বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চল, সুন্দরবন ও উপকূলবর্তী এলাকা বাদে সমগ্র প্লাবন সমভূমি অঞ্চল এ মৃত্তিকা দ্বারা গঠিত। কাদা, বালু, ক্যালসিয়াম ও বিভিন্ন জৈব পদার্থের মিশ্রণ এ মাটির বৈশিষ্ট্য। এ মাটিতে প্রধানত ধান, পাট, ইক্ষু, তেলবীজ প্রভৃতি বেশি জন্মে।
- লোহিত মৃত্তিকা : কুমিল্লা জেলার লালমাই পাহাড়, মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় এবং বরেন্দ্রভূমি এ মাটি দ্বারা গঠিত। এতে চুনাপাথর ও কাঁকর মিশ্রিত আছে। বরেন্দ্রভূমির লাল মাটি খিয়ার বলে পরিচিত।
- লবণাক্ত মৃত্তিকা : খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও বরগুনা জেলার সুন্দরবনসহ উপকূলীয় এলাকাতে লবণাক্ত মৃত্তিকা দেখা যায়। এ মাটি লবণাক্ত বলে কৃষিকাজের জন্য অনুপযুক্ত।
- পাহাড়ি মৃত্তিকা : রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, বৃহত্তর সিলেট প্রভৃতি জেলার পাহাড়ি অঞ্চলে এ মৃত্তিকা দেখা যায়। এ মাটির রং বাদামি বা ধূসর এবং লালচে। দেশের সবচেয়ে শীতল ও বৃষ্টিবহুল অঞ্চল শ্রীমঙ্গল ও লালখান এ অঞ্চলে অবস্থিত।
মৃত্তিকা বুনট এর উপর ভিত্তি করে মোটা দানার বালু মাটি থেকে মিহি দানার কদম মৃত্তিকা হিসেবে চারটি ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন (১) বেলেমাটি; (২) পলিমাটি; (৩) এঁটেল মাটি এবং (৪) দোআঁশ মাটি ।
- বেলেমাটি : বেলেমাটিতে সাধারণত মোটাদানার বালুর ভাগ খুব বেশি থাকে । এই বালু ভারী হবার কারণে নদীর পাড়ে ও চরে জমা হয়। এই মৃত্তিকায় রন্ধ্রপরিসর তুলনামূলকভাবে বড় হওয়ায় এর পানি ধারণক্ষমতা কম বলে পানি অতিদ্রুত নিচে চলে যায় এবং মাটি তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। এই মৃত্তিকায় জৈব পদার্থের পরিমাণ খুব কম হওয়ায় এটি অনুর্বর এবং কৃষি কাজের জন্য খুব উপযোগী নয় ।
- পলিমাটি; পলিমাটি নদীবাহিত পলি দ্বারা মৃত্তিকা গঠিত হয়। ফলে বাংলাদেশের প্লাবন ভূমির অধিকাংশ এলাকাই পলিমাটি দ্বারা আবৃত। পলিমাটিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ বেশি থাকায় এবং এর সচ্ছিদ্রতা কম হওয়ায় এই মাটির ভেতর দিয়ে পানি ও বায়ু চলাচল বেশ মন্থর এবং পলিমাটির পানি ধারণক্ষমতা বেশি।
- এঁটেল মাটি : যে মাটিতে মৃত্তিকার কণা খুব ক্ষুদ্র হয় এবং এই ক্ষুদ্র কণার পরিমাণ অত্যধিক থাকে সেই মাটিকে এঁটেল মাটি বলা হয়। এঁটেল মাটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এর অধিক পানি ধারণক্ষমতা কিন্তু নিষ্কাশন ক্ষমতা কম।
- দোআঁশ মাটি : বেলে, পলি, এঁটেল মাটির ন্যূনতম যে-কোনো দুইটির সংমিশ্রণে উদ্ভূত মৃত্তিকাকে দোআঁশ মাটি বলে। এই সংমিশ্রণের মধ্যে বালি কণার পরিমাণ কিছুটা বেশি থাকলে তাকে বেলে দোআঁশ এবং কর্দম কমায় পরিমাণ বেশি থাকলে তাকে এঁটেল দোআঁশ বলে। দোআঁশ মৃত্তিকায় পলির পরিমাণ বেশি থাকলে ঐ মৃত্তিকার গুণগত মান বৃদ্ধি পায়।
বাংলাদেশের বনজসম্পদ (46 BCS Preparation)
প্রাকৃতিক পরিবেশে অতি ঘনভাবে বৃক্ষলতাদি জন্মে বনভূমির সৃষ্টি হয়। এ বনভূমিই আদিম মানুষের প্রধান, প্রথম আশ্রয় এবং খাদ্যভাণ্ডার ছিল । তাই অতীতকাল থেকেই বনভূমির গুরুত্ব অপরিসীম। বনভূমির বৃক্ষলতা, গুল্ম, প্রাণী, ফলমূল সবকিছুকেই বনজ সম্পদ বলা হয়। একটি দেশের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংরক্ষণ এবং বনজসম্পদ আহরণের জন্য ন্যূনপক্ষে ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা আবশ্যক। অঞ্চল হিসেবে বাংলাদেশের বৃহত্তম বনভূমি পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের বনভূমি (প্রায় ১২,০০০ বর্গকিলোমিটার)। বাংলাদেশের একমাত্র কৃত্রিম ম্যানগ্রোভ বন চকোরিয়া, কক্সবাজার ।
- বাংলাদেশের বন গবেষণা ইনস্টিটিউট অবস্থিত → চট্টগ্রামে x বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন করপোরেশন অবস্থিত → মতিঝিলে
- BFIDC > Bangladesh Forest Industries Development Corporation
- বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় বনভূমি নেই → ২৮টি জেলায়
- বাংলাদেশে সরকারি বনের সংখ্যা → ১৭টি
- বাংলাদেশের একমাত্র কৃত্রিম ম্যানগ্রোভ বন → চকোরিয়া, কক্সবাজার
- টাইডাল বন → যে বন জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয় আবার ভাটার সময় শুকিয়ে যায়
- পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন/বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় টাইডাল বন সুন্দরবন
- বিভাগ অনুসারে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি বনভূমি চট্টগ্রাম বিভাগে
- বিভাগ অনুসারে বাংলাদেশের সবচেয়ে কম বনভূমি রাজশাহী বিভাগে
- জেলা অনুসারে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি বনভূমি আছে → বাগেরহাট জেলায়
- পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় বনভূমি আছে → ৭টি । যথা : বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, খুলনা, চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, বান্দরবান ও কক্সবাজার
- উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী প্রকল্প গড়ে তোলা হয়েছে → ১০টি জেলায়
- বাংলাদেশে প্রথম জাতীয় বননীতি গৃহীত হয় → ১৯৭২ সালে
- বাংলাদেশে সামাজিক বনায়নের কাজ শুরু হয় ১৯৮১ সালে (চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায়)
- জাতীয় বৃক্ষরোপণ শুরু হয় → ১৯৭২ সালে
- বাংলাদেশে পরিবেশ নীতি ঘোষণা করা হয় ১৯৯২ সালে ১. জাতীয় বৃক্ষমেলা প্রবর্তন করা হয় ১৯৯৪ সালে > বাংলাদেশের উচ্চতম→ বৈলাম (উচ্চতা ২৪০ ফুট) বৃক্ষ (বান্দরবান গভীর অরণ্যে)
- দ্রুততম বৃদ্ধি সম্পন্ন গাছ → ইপিল ইপিল লুকিং গ্লাস ট্রি নামে পরিচিত → সুন্দরী বৃক্ষ & নেপিয়ার → এক ধরনের ঘাস
- সূর্যকন্যা বলা হয় → তুলা গাছকে
- পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর গাছ- ইউক্লিপটাস
- বনাঞ্চল থেকে সংগৃহীত কাঠ ও লাকড়ি জ্বালানির ৬০% পূরণ করে
- মধুপুর বনাঞ্চলের প্রধান বৃক্ষ → শাল
- বাংলাদেশের যে অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি শাল গাছ আছে → ভাওয়াল
- দেশের প্রথম প্রজাপতি পার্ক গড়ে উঠেছে → চট্টগ্রামে
- সাম্পান এবং নৌকা তৈরিতে ব্যবহৃত হয় → গামার চাপালিশ গাছ
- বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র অবস্থিত → করমজল, সুন্দরবন
- ঘরের এবং বৈদ্যুতিক তারের খুঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হয় → শাল গাছ
- ছাতিম গাছ ব্যবহৃত হয় → টেক্সটাইল মিলে
- বাংলাদেশের প্রাচীনতম পার্ক ও গার্ডেন → বাহাদুর শাহ পার্ক ও বলধা গার্ডেন
- লাউয়াছড়া বনে যে বিরল প্রাণী আছে উল্লুক
- বনভূমির ধরন : উদ্ভিজ বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বাংলাদেশের বনভূমিকে প্রধানত চারটি ভাগে ভাগ করা যায়।
- ক্রান্তীয় চিরহরিৎ এবং পতনশীল পত্রযুক্ত বৃক্ষের বনভূমি যা মূলত পাহাড়ি বনভূমি নামে পরিচিত;
- ক্রান্তীয় পতনশীল পত্রযুক্ত বৃক্ষের বনভূমি বা শালবন;
- গরান বা স্রোতজ বনভূমি বা সুন্দরবন।
- অশ্রেণিভুক্ত সরকারি মালিকানাধীন ছনজাতীয় মিশ্র জঙ্গলাকীর্ণ বনভূমি ।
ক্রান্তীয় চিরহরিৎ বৃক্ষের বনভূমি : (46 BCS Preparation)
- চিরহরিৎ : যে সকল উদ্ভিদের পাতা একসঙ্গে ঝরে পড়ে না এবং গাছগুলো চিরসবুজ থাকে তাদের চিরহরিৎ উদ্ভিদ বলে।
- অবস্থান : পার্বত্য চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম, সিলেট অঞ্চলে অবস্থিত।
- প্রধান বৃক্ষ : ময়না, তেলসুর, চাপালিশ, গর্জন, গামারি, জারুল, কড়ই, বাঁশ, বেত, হোগলা প্রভৃতি। আর প্রধান প্রাণী হাতি, শূকর ইত্যাদি। গর্জন ও জারুলগাছ রেলের স্লিপার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। গামারি ও চাপালিশ গাছ সাম্পান ও নৌকা তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। চন্দ্রঘোণা কাগজকলে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের বাঁশ ব্যবহৃত হয়।
ক্রান্তীয় পতনশীল বৃক্ষের বনভূমি : (46 BCS Preparation)
১. অবস্থান : যে সকল গাছের পাতা বছরে একবার সম্পূর্ণ ঝরে যায়, তাদের পাতাঝরা উদ্ভিদ বলে। ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, মধুপুর বনভূমি, গাজীপুর জেলার ভাওয়ালের উদ্যান, রংপুর ও দিনাজপুরের বরেন্দ্র বনভূমি অঞ্চল ।
২. প্রধান উদ্ভিদ : ক্রান্তীয় পতনশীল বনভূমির প্রধান বৃক্ষগুলোর মধ্যে গজারি (বা শাল), ছাতিম, কুর্চি, বহেড়া, হিজল গাছ অন্যতম।
৩. ব্যবহার : শালকাঠ ঘরের আসবাবপত্র, বৈদ্যুতিক তারের খুঁটি এবং জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
স্রোতজ বনভূমি বা সুন্দরবন (46 BCS Preparation)
- অবস্থান : সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট জেলায়। তবে ৯৫ বর্গ কি.মি. পটুয়াখালী ও বরগুনায় অবস্থিত। ভৌগোলিকভাবে সুন্দরবন ৮৯° ও ৮.৫৫° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ এবং ২১.৩০° ও ২৩.২৩° উত্তর অক্ষাংশের মধ্যে।
- আয়তন : সুন্দরবনের মোট আয়তন ১০,০০০ বর্গ কি.মি.। বাংলাদেশ অংশে রয়েছে ৬,০১৭ বর্গ কি.মি. বা ২,৪০০ বর্গ মাইল, যা মোট বনভূমির ৬২ শতাংশ, অবিশিষ্টাংশ রয়েছে ভারতে ।
- প্রধান উদ্ভিদ : সুন্দরী, গরান, গেওয়া, পশুর, ধুন্দল, কেওড়া, বায়েন, ছন, গোলপাতা প্রভৃতি। ‘সুন্দরী’ বৃক্ষের প্রাচুর্যের জন্য সুন্দরবন নামকরণ করা হয়েছে। সুন্দরী গাছ দীর্ঘ হতে পারে ৪০ থেকে ৬০ ফুট। সুন্দরী গাছ বড় বড় খুঁটি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। গেওয়া কাঠ বাক্স ও দিয়াশলাইয়ের কাঠি তৈরিতে এবং নিউজপ্রিন্ট শিল্পে ব্যবহৃত হয়। ধুন্দল কাঠ দিয়ে পেন্সিল তৈরি করা হয় । গরান কাঠ দিয়ে রং প্রস্তুত করা হয়। গর্জন ও জারুল দিয়ে রেলের স্লিপার তৈরি করা হয়। গজারি ও চাপালিশ দিয়ে নৌকা ও সাম্পান তৈরি করা হয়। গোলপাতা দিয়ে ঘরে ছাউনি তৈরি করা হয় । কুর্চি দিয়ে ছাতার বাঁট তৈরি করা হয় । বাঘ গণনা : সুন্দরবনের বাঘ গণনায় ব্যবহৃত পদ্ধতি → পাগমার্ক (পদচিহ্ন) ও ক্যামেরা পদ্ধতি। বাঘ শিকারের জন্য বিখ্যাত পঁচাব্দী গাজী অন্যান্য তথ্য
ক্রান্তীয় চিরহরিৎ বৃক্ষের বনভূমি : (46 BCS Preparation)
- চিরহরিৎ : যে সকল উদ্ভিদের পাতা একসঙ্গে ঝরে পড়ে না এবং গাছগুলো চিরসবুজ থাকে তাদের চিরহরিৎ উদ্ভিদ বলে।
- অবস্থান : পার্বত্য চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম, সিলেট অঞ্চলে অবস্থিত।
- প্রধান বৃক্ষ : ময়না, তেলসুর, চাপালিশ, গর্জন, গামারি, জারুল, কড়ই, বাঁশ, বেত, হোগলা প্রভৃতি। আর প্রধান প্রাণী হাতি, শূকর ইত্যাদি। গর্জন ও জারুলগাছ রেলের স্লিপার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। গামারি ও চাপালিশ গাছ সাম্পান ও নৌকা তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। চন্দ্রঘোণা কাগজকলে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের বাঁশ ব্যবহৃত হয়।
ক্রান্তীয় পতনশীল বৃক্ষের বনভূমি : (46 BCS Preparation)
১. অবস্থান : যে সকল গাছের পাতা বছরে একবার সম্পূর্ণ ঝরে যায়, তাদের পাতাঝরা উদ্ভিদ বলে। ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, মধুপুর বনভূমি, গাজীপুর জেলার ভাওয়ালের উদ্যান, রংপুর ও দিনাজপুরের বরেন্দ্র বনভূমি অঞ্চল ।
২. প্রধান উদ্ভিদ : ক্রান্তীয় পতনশীল বনভূমির প্রধান বৃক্ষগুলোর মধ্যে গজারি (বা শাল), ছাতিম, কুর্চি, বহেড়া, হিজল গাছ অন্যতম।
৩. ব্যবহার : শালকাঠ ঘরের আসবাবপত্র, বৈদ্যুতিক তারের খুঁটি এবং জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
স্রোতজ বনভূমি বা সুন্দরবন (46 BCS Preparation)
- অবস্থান : সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট জেলায়। তবে ৯৫ বর্গ কি.মি. পটুয়াখালী ও বরগুনায় অবস্থিত। ভৌগোলিকভাবে সুন্দরবন ৮৯° ও ৮.৫৫° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ এবং ২১.৩০° ও ২৩.২৩° উত্তর অক্ষাংশের মধ্যে।
- আয়তন : সুন্দরবনের মোট আয়তন ১০,০০০ বর্গ কি.মি.। বাংলাদেশ অংশে রয়েছে ৬,০১৭ বর্গ কি.মি. বা ২,৪০০ বর্গ মাইল, যা মোট বনভূমির ৬২ শতাংশ, অবিশিষ্টাংশ রয়েছে ভারতে । প্রধান উদ্ভিদ : সুন্দরী, গরান, গেওয়া, পশুর, ধুন্দল, কেওড়া, বায়েন, ছন, গোলপাতা প্রভৃতি। ‘সুন্দরী’ বৃক্ষের প্রাচুর্যের জন্য সুন্দরবন নামকরণ করা হয়েছে। সুন্দরী গাছ দীর্ঘ হতে পারে ৪০ থেকে ৬০ ফুট। সুন্দরী গাছ বড় বড় খুঁটি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। গেওয়া কাঠ বাক্স ও দিয়াশলাইয়ের কাঠি তৈরিতে এবং নিউজপ্রিন্ট শিল্পে ব্যবহৃত হয়। ধুন্দল কাঠ দিয়ে পেন্সিল তৈরি করা হয় । গরান কাঠ দিয়ে রং প্রস্তুত করা হয়। গর্জন ও জারুল দিয়ে রেলের স্লিপার তৈরি করা হয়। গজারি ও চাপালিশ দিয়ে নৌকা ও সাম্পান তৈরি করা হয়। গোলপাতা দিয়ে ঘরে ছাউনি তৈরি করা হয় । কুর্চি দিয়ে ছাতার বাঁট তৈরি করা হয় । বাঘ গণনা : সুন্দরবনের বাঘ গণনায় ব্যবহৃত পদ্ধতি → পাগমার্ক (পদচিহ্ন) ও ক্যামেরা পদ্ধতি।
বাঘ গণনা : সুন্দরবনের বাঘ গণনায় ব্যবহৃত পদ্ধতি → পাগমার্ক (পদচিহ্ন) ও ক্যামেরা পদ্ধতি। বাঘ শিকারের জন্য বিখ্যাত পঁচাব্দী গাজী
অন্যান্য তথ্য (46 BCS Preparation)
- সুন্দরবনের অভয়ারণ্য হচ্ছে → হিরণ পয়েন্ট, কাটকা ও আলকি দ্বীপ
- সুন্দরবনের পূর্বে ও পশ্চিমে রয়েছে → বলেশ্বর ও রায়মঙ্গল নদী
- রয়েল বেঙ্গল টাইগারকে সুন্দরবনের → ফ্লাগশিপ প্রজাতি বলা হয়
- সুন্দরবনে ২ প্রজাতীর হরিণ দেখা যায় → মায়া ও চিত্রা হরিণ
- সুন্দরবনে গোলপাতা সংগ্রহকারীদের বলা হয় → বাওয়ালী
- ‘মৌয়ালী’ হচ্ছে → সুন্দরবনের মধু সংগ্রহকারী
অশ্রেণিভুক্ত সরকারি বনভূমি : এ বনভূমি মূলত মিশ্র প্রকৃতির। এসব ভূমি বনবিভাগের পরিবর্তে সংশ্লিষ্ট জেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণাধীন
সদর দপ্তর | প্রতিষ্ঠান | পুরো নাম |
জয়দেবপুর, গাজীপুর | CERDI | Central Extension Research and Development Institute Seed Certification Agency |
জয়দেবপুর, গাজীপুর | SCA | Seed Certification Agency |
জয়দেবপুর, গাজীপুর | BRRI | Bangladesh Rice Research Institute |
জয়দেবপুর, গাজীপুর | BARI | Bangladesh Agricultural Research Institute |
ফার্মগেট, ঢাকা | SRDI | Soil Research and Development Institute |
ফার্মগেট, ঢাকা | BARC | Bangladesh Agricultural Research Council |
ফার্মগেট, ঢাকা | SAIC | SAARC Agricultural Information Centre |
ফার্মগেট, ঢাকা | IJSG | International Jute Study Group |
ময়মনসিংহ | BFRI | Bangladesh Fisheries Research Institute |
ময়মনসিংহ | BINA | Bangladesh Institute of Nuclear Agriculture |
সাভার, ঢাকা | BLRI | Bangladesh Livestock Research Institute |
কুমিল্লা | BARD | Bangladesh Academy for Rural Development |
ঈশ্বরদী, পাবনা | BSRTI | Bangladesh Sugarcane Research and Training Institute |
শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার | BTRI | Bangladesh Tea Research Institute |
নাইরোবি, কেনিয়া | UNEP | United Nations Environment Programe |
রোম, ইতালি | IFAD | Institutional Fund For Agricultural Development |
রোম, ইতালি | FAO | Food And Agricultural Organization |
ফিলিপাইন, ম্যানিলা | IRRI | International Rice Research Institute |
কৃষি সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠান (46 BCS Preparation)
ব্রিটিশ আমল
ক. কৃষি বিভাগ : ১৮৭০ সালে ব্রিটিশ সরকার বাংলায় প্রথম কৃষি বিভাগ প্রতিষ্ঠা করে।
খ. কৃষি গবেষণা ল্যাবরেটরি : ১৯০৯ সালে ঢাকার উপকণ্ঠ ফার্মগেটে প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমান শেরেবাংলা নগর অঞ্চলে গবেষণার জন্য মনীপুরা ফার্ম করা হয়। ১৯৬২ সালে আইয়ুব খান এখানেই দ্বিতীয় রাজধানী ঘোষণা করলে ফার্ম ও ল্যাবরেটরি জয়দেবপুরে নেওয়া হয় ।
গ. ধান গবেষণা কেন্দ্র : ১৯৩২ সালে হবিগঞ্জে এই কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭০ সালে BRRI প্রতিষ্ঠার পর এটি তার একটি কেন্দ্ৰ হিসেবে রয়েছে ।
One comment
Pingback: Recent GK Bangladesh 2023 for 46 BCS, Primary, NTRCA Job Preparation - Sopner BCS