History of Independence of Bangl
History of Independence of Bangladesh বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস পর্ব-১

History of Independence of Bangladesh বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস পর্ব-১

Table of Contents

History of Independence of Bangladesh

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস বাঙালির জাতীয় জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের পর স্বাধীন পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বাঙালি পাকিস্তান রাষ্ট্রের শোষণ, অত্যাচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে সংগ্রাম ও আন্দোলন চালিয়ে এসেছিল।

এর মধ্যে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, পূর্ব-পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন, সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন, ছাত্র আন্দোলন অন্যতম। এছাড়া ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন, ঐতিহাসিক আগরতলা মামলা, সাংস্কৃতিক স্বাধিকার আন্দোলন, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান এবং ১৯৭০ সালের নির্বাচন বাঙালির জাতীয় জাগরণের ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রাখে।

এসব আন্দোলন ও ঘটনার মধ্য দিয়েই পাকিস্তান বিরোধী চেতনা বেগবান হয়েছে, বাঙালি জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ হয়েছে মানুষ। ফলে ১৯৭১ সালে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। এই রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে । History of Independence of Bangladesh

১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জাতির পিতা কর্তৃক মহান স্বাধীনতা ঘোষণার পূর্ব পর্যন্ত চলে স্বাধীনতার সংগ্রাম এবং ২৬ মার্চ থেকে শুরু হয় বাঙালির মুক্তির জন্য যুদ্ধ, যার সমাপ্তি ঘটে ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের মাধ্যমে। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকেই আমরা স্বাধীন, এরপর দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ অর্জিত হয় মহান বিজয় ।

ভাষা আন্দোলন: বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস

ভাষা আন্দোলন ছিল বাঙালি সংস্কৃতির স্বাধিকার আন্দোলন । পরবর্তীকালে এ আন্দোলন অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলনের জন্ম দেয়। বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনা বিকাশের প্রথম পদক্ষেপ এই আন্দোলন। ভাষা আন্দোলন বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার মন্ত্রে দীক্ষা দেয়। যার প্রেরণায় দীর্ঘ সংগ্রামের পর জন্ম নেয় আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি- বাংলাদেশ। History of Independence of Bangladesh

তমদ্দুন মজলিস : ১ সেপ্টেম্বর ১৯৪৭ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের অধ্যাপক আবুল কাশেমের নেতৃত্বে ‘তমদ্দুন মজলিস’ নামে একটি ইসলামি সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এর অন্য দুইজন সদস্য হলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং অধ্যাপক শামছুল আলম।

তমদ্দুন মজলিসের উদ্যোগে ১৯৪৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু’ শিরোনামে একটি পুস্তিকা প্রকাশিত হয়। ১ অক্টোবর, ১৯৪৭ তমদ্দুন মজলিসের উদ্যোগে অধ্যাপক নুরুল হকের নেতৃত্বে ‘রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’ গঠন করা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস।

২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৮ গণপরিষদের ১ম অধিবেশনে গণপরিষদের সদস্য কুমিল্লার ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকে গণপরিষদের ভাষা করার দাবি উত্থাপন করেন । ২ মার্চ, ১৯৪৮ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে শামসুল আলমকে আহ্বায়ক করে দ্বিতীয়বারের মতো ‘রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’ গঠিত হয়।

১১ মার্চ ১৯৪৮ ঢাকা শহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রস্তাবে ছাত্রলীগ, তমদ্দুন মজলিস ও অন্যান্য ছাত্র সংগঠন ‘রাষ্ট্রভাষা’ দিবস পালন করে। এই দিন শেখ মুজিবুর রহমান, শামছুল আলমসহ ৬৯ জন গ্রেপ্তার হয় । ১৫ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমানসহ সবাই মুক্তি পায় । ১১ মার্চ হরতাল পালনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নেতৃত্ব দেন ।

১৫ মার্চ ১৯৪৮ আন্দোলনের তীব্রতা লক্ষ্য করে খাজা নাজিমুদ্দিন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সাথে ৮ দফা চুক্তি স্বাক্ষর করেন। ১৯ মার্চ, ১৯৪৮ পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকায় আগমন করেন । ২১ মার্চ, ১৯৪৮ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে তিনি ঘোষণা করেন ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু, অন্য কোন ভাষা নয়’। তার এই ঘোষণার তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানানো হয়।

২৪ মার্চ, ১৯৪৮ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে জিন্নাহ আবার ঘোষণা করেন “Urdu and only urdu shall be the state language of Pakistan…” উপস্থিত ছাত্ররা না না বলে এর প্রতিবাদ করেন। History of Independence of Bangladesh

বি.দ্র. : ১১ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৮ মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ মৃত্যুবরণ করেন। এরপর গভর্নর জেনারেল নিযুক্ত হন খাজা নাজিমুদ্দিন । ১৯৪৮-১৯৫১ সাল পর্যন্ত ১১ মার্চ “প্রতিবাদ দিবস” পালিত হতো। ১১ মার্চ, ১৯৫০ আব্দুল মতিনকে আহ্বায়ক করে ১৩ সদস্যবিশিষ্ট “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ” গঠন করা হয় । ২৬ জানুয়ারি, ১৯৫২ খাজা নাজিমুদ্দিন পল্টন ময়দানে ঘোষণা করেন “উর্দুই” হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা ।

৩১ জানুয়ারি, ১৯৫২ মওলানা আবদুল হামিদ খানের সভাপতিত্বে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন পরিচালনার জন্য বিভিন্ন সংগঠনের ৪০ জন সদস্য নিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরামর্শক্রমে “সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ” গঠন করা হয়। কাজী গোলাম মাহবুবকে এই সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক করা হয়।

১১ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২, পতাকা দিবস পালিত হয়। ১৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২ “রাষ্ট্রভাষা বাংলা ও বন্দির মুক্তির” দাবিতে আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান ও মহিউদ্দিন আহমেদ আমরণ অনশন ধর্মঘট শুরু করেন।

২০ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২ আন্দোলনের তীব্রতায় ভয় পেয়ে পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী নুরুল আমিন ঢাকা শহরে সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করে এক মাসের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেন । History of Independence of Bangladesh

বি.দ্র. : আবুল হাশিম, কামরুদ্দীন আহমেদ, খয়রাত হোসেন, শামসুল হক, মোহাম্মদ তোয়াহ, কাজী গোলাম মাহবুব, আবদুস সালাম ১৪৪ ধারা ভঙ্গ না করার পক্ষে ছিল। অপরদিকে অলি আহাদ, আবদুল মতিন, ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার পক্ষে ছিল ।

২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় ভাষাসৈনিক গাজীউল হকের সভাপতিত্বে সভার কার্যক্রম শুরু হয়। আব্দুস সামাদের মধ্যস্থতায় ১০ জনের একটি করে দল বেরিয়ে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার সিদ্ধান্ত করা হয় ।

প্রথম দলের নেতৃত্ব দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের মেধাবী ছাত্র হাবিবুর রহমান। পুলিশের সাথে ছাত্রছাত্রীদের সংঘর্ষের এক পর্যায়ে পুলিশ মিছিলে গুলি চালালে পুলিশের গুলিতে আবুল বরকত, রফিক উদ্দিন, আব্দুল জব্বার ঘটনাস্থলে নিহত হন। আবদুস সালাম ঐ দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে ৭ এপ্রিল শহিদ হন ।

[নোট : ২১ ফেব্রুয়ারি ১ম শহিদ হলেন রফিক উদ্দিন আহমদ। মানিকগঞ্জের দেবেন্দ্র কলেজে আই.কম. দ্বিতীয় বর্ষে পড়তেন । শহিদ রফিককে দাফন করা হয়েছিল আজিমপুর গোরস্থানের অসংরক্ষিত এলাকায়।

২২ ফেব্রুয়ারি পুলিশি হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে শোভাযাত্রা চলাকালে পুলিশের গুলিতে শহিদ হন শফিউর রহমান । ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে আইনসভার সদস্য মাওলানা তর্কবাগীশ, আনোয়ারা বেগম, আবুল কালাম শামসুদ্দিন, খয়রাত হোসেন মুসলিম লীগ ত্যাগ করেন।

শহিদ মিনার: বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস

প্রথম শহিদ মিনার নির্মাণ করা হয়- একুশের রাতেই রাজশাহী কলেজ চত্বরে।

ঢাকায় নির্মিত প্রথম শহিদ মিনার : ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজের হোস্টেলের সামনে। মিনার তৈরির তদারকিতে ছিলেন জিএস শরফুদ্দিন, ডিজাইনার ছিল ডা. বদরুল আলম। তাঁদের সাথে ছিলেন সাঈদ হায়দার ।২৪ ফেব্রুয়ারি শহিদ মিনারটি উদ্বোধন করেন শহিদ শফিউরের পিতা মৌলভী মাহবুবুর রহমান ।

পুলিশ শহিদ মিনারটি ভেঙে ফেলার পর দ্বিতীয়বার এটি উদ্বোধন করেন আজাদ পত্রিকার সম্পাদক আবুল কালাম শামসুদ্দীন । বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি দেওয়ার পরে ১৯৫৭ সালে সরকারিভাবে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের কাজ শুরু হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির তত্ত্বাবধানে ১৯৬৩ সালে শহিদ মিনারের নির্মাণকাজ শেষ হয় এবং ১৯৬৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি শহিদ বরকতের মা হাসিনা বিবি ওই মিনারটি উদ্বোধন করেন।

বর্তমান শহিদ মিনারের ডিজাইনার হামিদুর রহমান । ১৯৯৭ সালে ব্রিটেনে ওল্ডহ্যাম শহরে বিদেশে প্রথম শহিদ মিনার গড়ে তোলা হয়। ভাষা আন্দোলনের জাদুঘর- ১ ফেব্রুয়ারি ২০১১ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলা একাডেমির বর্ধমান হাউসের ২য় তলায় উদ্বোধন করে ।

ভাষা আন্দোলনে নারী: বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস

ভাষা আন্দোলনে পোস্টার লেখার দায়িত্ব পালন করেন- নূরুন্নাহার কবির, শরিফা খাতুন ও ভাষাকন্যা নাদেরা বেগম। ভাষা আন্দোলনে ছাত্রীদের নেতৃত্বে ছিলেন- ড. শাফিয়া খাতুন, ড. সুফিয়া আহমেদ, অধ্যাপক শামসুন নাহার, রওশন আরা বাচ্চু, ড. হালিমা প্রমুখ ছাত্রী নেতারা।

একমাত্র নারী ভাষাসৈনিক, যার ভাষা সংগ্রামের জন্য বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে- মমতাজ বেগম। ভাষা আন্দোলনের প্রথম নারী কারাবন্দি ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ মর্গান হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী সালেহা বেগম। ২১ ফেব্রুয়ারি ছাত্রদের ওপর গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে সংসদ থেকে ওয়াকআউটকারী একমাত্র নারী সংসদ সদস্য ছিলেন- আনোয়ারা বেগম।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতির প্রেক্ষাপট

উদ্যোক্তা : কানাডা প্রবাসী রফিকুল ইসলাম ও আবদুস সালাম। সংগঠন : The Mother Language Lovers of the World. স্বীকৃতি : ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ১৮৮টি দেশের সমর্থনে ইউনেস্কোর ৩১তম সম্মেলনে ২১ ফেব্রুয়ারি “আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস” হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে এবং ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে দিবসটি জাতিসংঘের সদস্য দেশসমূহে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়ে আসছে।

ডিসেম্বর ২০০৮ জাতিসংঘ ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। বাংলা ভাষাকে দ্বিতীয় রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দিয়েছে সিয়েরা লিওন & আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে প্রথমবারের মতো চার্জ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের ছবি-সংবলিত ডাকটিকিট জিয়া প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র।

১৯৭৫ সালে রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাকে রাষ্ট্র ও জাতীয় ভাষা) ঘোষণা করেন। আদেশে বলা হয় সরকারি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও আধা সরকারি অফিসে বাংলায় নথি এবং চিঠিপত্র লিখতে হবে। বাংলা ভাষাকে জীবনের সর্বস্তরের ব্যবহারের জন্য জাতীয় সংসদে আইন পাস হয় ১৯৮৭ সালে

ভাষা-আন্দোলন ভিত্তিক সাহিত্য

একুশের প্রথম কবিতা : কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি- মাহবুবুল আলম চৌধুরী। একুশের প্রথম উপন্যাস : আরেক ফাল্গুন- জহির রায়হান একুশের প্রথম নাটক : কবর- মুনীর চৌধুরী একুশের প্রথম গল্প : একুশের গল্প- জহির রায়হান একুশের প্রথম সংকলন : ওরা প্রাণ দিল- প্রমথ চৌধুরী।

একুশের প্রথম গান : ভুলব না ভুলব না একুশে ফেব্রুয়ারি ভুলব না- ভাষাসৈনিক আ ন ম গাজীউল হক। ভাষা আন্দোলনের প্রথম গান : ১৯৪৮ সালে অধ্যাপক আনিসুল হক চৌধুরীর ‘শুনুন হুজুর বাঘের জাত’ । প্রথম প্রভাত ফেরিতে গাওয়া হয়- ১৯৫৩ সালে বরিশালের মোশারফ উদ্দিন আহমদের- ‘মৃত্যুকে যারা তুচ্ছ করিল/ভাষা বাঁচাবার তরে/আজিকে স্মরিও তারে।’

আবদুল গাফফার চৌধুরীর- “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি।” এ গানটিতে প্রথমে সুরারোপ করেন আব্দুল লতিফ। পরে ১৯৫৪ সালে আলতাফ মাহমুদ আবার নতুন করে সুরারোপ করেন। সেই থেকে ওটা হয়ে গেল একুশের The প্রভাত ফেরির গান। ১৯৫৪ সালে হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত।

একুশে সংকলনে প্রকাশিত হয় গানটি। তৎকালীন সরকার সংকলনটি বাজেয়াপ্ত করে। জহির রায়হান তাঁর ‘জীবন থেকে নেওয়া’ ছবিতে এ গানটি ব্যবহার করার পর এর জনপ্রিয়তা ব্যাপকতা লাভ করে। বিবিসি শ্রোতা জরিপে বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ গানের তালিকায় এটি তৃতীয় স্থান লাভ করেছে।

স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কিত কবিতা

কৃষ্ণচূড়ার মেঘ— মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান; বর্ণমালা আমার দুঃখিনী বর্ণমালা- শামসুর রাহমান; স্মৃতিস্তম্ভ- আলাউদ্দিন আল আজাদ; একুশে ফেব্রুয়ারি- আহসান হাবীব; একুশের কবিতা- আল মাহমুদ

স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কিত গল্প

একুশের গল্প- জহির রায়হান; মৌন নয়- শওকত ওসমান; হাসি- সাইয়িদ আতীকুল্লাহ; দৃষ্টি- আনিসুজ্জমান; পলিমাটি- সিরাজুল ইসলাম; অগ্নিবাক- আতোয়ার রহমান

স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কিত নাটক

কবর- মুনীর চৌধুরী; কাল মহাকাল- আলাউদ্দিন আল-আজাদ; বিবাহ- মমতাজ উদ্দীন আহমদ; যাত্রী- আসকার ইবনে শাইখ; বোবা মিনার- আলী আনোয়ার; হরমুজ আলীর একুশ- রেজ্জাকুল হায়দার উপন্যাস;

স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কিত প্রবন্ধ

আরেক ফাল্গুন – জহির রায়হান; ঘর মন জানালা- দিলারা হাশেম; মন না মতি- আনিস সিদ্দিকী; পিপাসা- আতহার আহমেদ; লঘুমেঘ- আবদার রশীদ

স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কিত চলচ্চিত্র

আর্তনাদ- শওকত ওসমান; ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস- বশীর আল হেলাল; শহীদ মিনার- রফিকুল ইসলাম; অমর একুশে— হায়াৎ মামুদ; একুশে ফেব্রুয়ারি- আবু জাফর শামসুদ্দীন; জীবন থেকে নেওয়া (১৯৭০)- জহির রায়হান; বাহান্নোর মিছিলে (২০০৯)- রোকেয়া প্রাচী।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট- ঢাকার সেগুনবাগিচায়। এটি ২০১০ সালে উদ্বোধন করা হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস।

ভাষা আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ছিলেন- ড. সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন

২১ ফেব্রুয়ারি সরকারি ছুটি হিসেবে পালিত হচ্ছে- ১৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৬ সাল থেকে। পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আবু হোসেন সরকার ২১ ফেব্রুয়ারিকে সরকারি ছুটি হিসেবে ঘোষণা করেন।

বাংলাদেশের বাইরে ভাষা আন্দোলন হয়েছে- ১৯ মে, ১৯৬১ আসামের কাছার জেলায় বাংলাকে সরকারি ভাষা হিসেবে ব্যবহার করার জন্য বাঙালিরা আন্দোলন করেন। পুলিশ গুলি চালালে ১১ জন নিহত হয়। প্রতিবছর ১৯ মে আসামে ভাষা দিবস পালন করা হয়।

ভাষা আন্দোলনের মুখপাত্র- ‘সাপ্তাহিক সৈনিক, অধ্যাপক শাহেদ আলীর সম্পাদনায় ১৪ নভেম্বর, ১৯৪৮ এর প্রকাশ শুরু হয়। প্রথম রাষ্ট্রভাষা দিবস কোন তারিখে পালন করা হয় এবং কেন? –১১ মার্চ। ১৯৪৯-১৯৫১ পর্যন্ত এই ৩ বছর ১১ মার্চ রাষ্ট্রভাষা দিবস পালন করা হয়। ১১ মার্চ শেখ মুজিবসহ নেতাদের বন্দি করা হয়।

উল্লেখ্য যে, পাকিস্তানের ইতিহাসে এটিই প্রথম রাজবন্দি। তাই ১১ মার্চকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ভাষা দিবস পালিত হয়। সংবিধানে বাংলা ভাষাকে কখন স্থান দেওয়া হয়?- ১৯৫৬ সালের ২৩ মার্চ পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান গ্রহণ করা হয়। এই সংবিধানের ২১৪নং অনুচ্ছেদে বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়।

পূর্ব বাংলার ভাষা কমিটি কখন গঠন করা হয়- ৯ মার্চ, ১৯৪৯ সালে এটি গঠিত হয়। এর সভাপতি ছিলেন মাওলানা আকরাম খাঁ । পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যার কত শতাংশ বাঙালি ছিল?- ৫৬% উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষে জোরালো বক্তব্য প্রদান করেন কোন উপাচার্য?- ড. জিয়াউদ্দিন আহমদ।

বাংলা ভাষার পক্ষে বক্তব্য প্রদান করেন কোন বাঙালি পণ্ডিত? – ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। ১৯৫১ সালে পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী কে ছিলেন?- নুরুল আমিন খাজা নাজিমউদ্দীনের সাথে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের কয়দফা চুক্তি হয়?- ৮ দফা। স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস

পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী নূরুল আমিনের সরকারি বাসভবনের নাম কী ছিল?- বর্ধমান হাউস। ‘বর্ধমান হাউস’ বর্তমানে কী নামে পরিচিত?- বাংলা একাডেমি। কত তারিখে ছাত্রসমাজ ঢাকায় ‘রাষ্ট্রভাষা দিবস’ পালন করে?- ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দের ১১ মার্চ।

রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন সমর্থন করায় কোন পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়া হয়?— পাকিস্তান অবজারভার, ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের প্রথম শহিদ কে ছিলেন?- শহিদ রফিক উদ্দিন আহমদ। ২১ ফেব্রুয়ারি শহিদদের মধ্যে কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন?- বরকত।

একুশের চেতনা থেকে কোন চেতনার জন্ম লাভ করে?- বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিভিত্তিক চেতনা; তথা বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার ২১ ফেব্রুয়ারি শহিদ হন- জব্বার, বরকত, রফিক প্রমুখ। বাঙালি জাতীয়তাবাদের মূলভিত্তি কী ছিল?- ভাষা-সংস্কৃতির ঐক্যই নিয়ে বাঙালি জাতীয়তাবাদের মূলভিত্তি।

বাংলা ভাষায় আরবি প্রবর্তনের পরিকল্পনাকারী কে ছিলেন? – কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ফজলুর রহমান। ভাষা আন্দোলনের সময়ে পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কে ছিলেন?- ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময়ে পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নুরুল আমিন।

বর্তমানে প্রতিবছর ২১ ফেব্রুয়ারি কী দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়?— আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও ভাষা শহিদ দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়। ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত সময়ে পূর্ব পাকিস্তান হতে কতজন পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল মনোনীত হয়েছিলেন এবং তাদের নাম কী?— একজন, খাজা নাজিম উদ্দিন। তিনিও উর্দুভাষী এবং পাকিস্তানপন্থি ছিলেন।

খাজা নাজিম উদ্দিনকে কীভাবে ক্ষমতা থেকে বঞ্চিত রাখা হয়?- তিনি গভর্নর জেনারেল থাকাকালীন ক্ষমতা ভোগ করেন প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী । আবার তিনি প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের পর ক্ষমতা ভোগ করেন গভর্নর জেনারেল গোলাম মোহাম্মদ ।

আওয়ামী মুসলিম লীগের গঠন (স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস)

১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার কেএম দাস লেনের রোজ গার্ডেনে এক রাজনৈতিক কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে মওলানা ভাসানীকে সভাপতি, টাঙ্গাইলের শামসুল হককে সাধারণ সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে (জেলে বন্দি অবস্থায়) অন্যতম যুগ্মসম্পাদক করে সরকারি মুসলিম লীগের বিপরীতে আওয়ামী (অর্থাৎ জনগণের) লীগ প্রতিষ্ঠা করা হয়। অবশ্য দলের আনুষ্ঠানিক নাম ছিল আওয়ামী মুসলিম লীগ ।

History of Independence of BanglHistory of Independence of Bangladesh বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস পর্ব-১

আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি কেন বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়?- আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে মুসলিম শব্দটিকে বর্জন করে এটিকে একটি অসাম্প্রদায়িক দলে পরিণত করার জন্য। স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস

যুবলীগ ও ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠার সন উল্লেখ করুন- ১৯৪৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীতে নৌকায় যুবলীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। এর অন্যতম নেতা হলেন শেখ ফজলুল হক মণি -১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকায় পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। এর অন্যতম উদ্যোক্তা হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

কখন আওয়ামী লীগ থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেওয়া হয়?- ২১- ২৩ অক্টোবর, ১৯৫৫ আওয়ামী লীগের বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়, সদর ঘাটের রূপমহল সিনেমা হলে। এই সম্মেলনে মুসলিম শব্দটি বাদ দেওয়া হয়।

কখন ভাসানী আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ ছেড়েছেন? – ১৮ মার্চ, ১৯৫৭ সালে। ভাসানী কেন পদত্যাগ করেন?- পাকিস্তানের পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণে সোহরাওয়ার্দীর সাথে মতবিরোধ দেখা দেওয়ায় তিনি আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করেন ।

নির্বাচনের তারিখ : ১৯৫৪ সালের ৮ মার্চ । যুক্তফ্রন্টের প্রতীক ছিল : নৌকা। মুসলিম লীগের প্রতীক ছিল : হারিকেন।নির্বাচনের ইশতেহার : ২১ দফা। ১৯৫৩ সালের ৫ ডিসেম্বর ২১ দফা প্রকাশিত হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস

১নং দফা : বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা।

১৫নং দফা : বিচার বিভাগকে শাসন বিভাগ থেকে পৃথক করা। ১৭নং দফা : ৫২-এর ভাষা আন্দোলনের শহিদদের স্মরণে শহিদ মিনার নির্মাণ।

১৮নং দফা : ২১ ফেব্রুয়ারিকে শহিদ দিবস ও সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা করা হয় ।

১৯নং দফা : ১৯৪০-এর লাহোর প্রস্তাব অনুযায়ী পূর্ব বাংলাকে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন প্রদান ।

ভাসানীর পর কে আওয়ামী লীগের সভাপতি হন?- মাওলানা আবদুর রশিদ তর্কবাগীশ। নির্বাচনে মোট আসন ছিল : ৩০৯টি।মুসলিম আসন ছিল : ২৩৭টি। শেখ মুজিব কখন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হন?- জুলাই, ১৯৫৩ সালে আওয়ামী লীগের বার্ষিক সম্মেলনে শেখ মুজিব সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

শেখ মুজিব কখন আওয়ামী লীগের সভাপতি হন?- ১৮-২০ মার্চ, ১৯৬৬ সালে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে শেখ মুজিবকে সভাপতি ও তাজউদ্দীনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয় । ১৯৫৬ সালে আতাউর রহমান খানের মন্ত্রিসভায় শেখ মুজিব কোন কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন?- বাণিজ্য, শিল্প, শ্রম ও দুর্নীতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়গুলোতে

যুক্তফ্রন্ট গঠনঃ স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস

১৯৫৩ সালের ৪ ডিসেম্বর চারটি দলের সমন্বয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়। দল চারটি যথাক্রমে-

দলের নাম সভাপতি
আওয়ামী মুসলিম লীগ মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী
কৃষক শ্রমিক পার্টি একে ফজলুল হক
নেজাম-ই-ইসলাম মাওলানা আতাহার আলী
গণতন্ত্রী দল হাজী মোহাম্মদ দানেশ
History of Independence of Bangladesh

মুসলিম আসন সংখ্যা ২৩৭টি। অমুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষিত আসন ছিল : ৭২টি। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে ১৬টি দল অংশগ্রহণ করে।

১৯৫৪ সালের নির্বাচন। History of Independence of Bangladesh

১৯৩৫ সালে ‘ভারত শাসন আইন’ মোতাবেক ১৯৩৭ সালে প্রথম এবং ১৯৪৬ সালে দ্বিতীয়বার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগ হলে যে ভাগে যারা পড়েন সেই অংশের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা ঐ অংশের আইন পরিষদের সদস্য হন। ১৯৫১ সালে পূর্ব পাকিস্তান আইন পরিষদের মেয়াদ ৫ বছর শেষ হয়।

এই প্রেক্ষাপটে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা শুরু হয় এমনকি এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই ২০ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ সর্বদলীয় রাষ্ট্র ভাষা কর্মপরিষদ ১৪৪ ধারা না ভাঙার পক্ষ নেয়। তাদের ধারণা ছিল ১৪৪ ধারা ভাঙতে গেলে নির্বাচন পিছিয়ে দেবে। ১৯৫৩ সালের মাঝামাঝি নিশ্চিত হয়ে যায় যে, শীঘ্রই পূর্ব-পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এমনই বাস্তবতায় ১৯৫৩ সালে ১৪-১৫ নভেম্বর ময়মনসিংহে আওয়ামী লীগের বিশেষ কাউন্সিল সভা বসে। এমনই এক বাস্তবতায় ৪ ডিসেম্বর ১৯৫৩ যুক্তফ্রন্ট গঠন হয়।

যুক্তফ্রন্টের শরিক দলগুলোর প্রাপ্ত আসন : দল বা জোটের নাম। পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ কৃষক শ্রমিক পার্টি নেজাম-ই-ইসলাম গণতন্ত্রী দল। যুক্তফ্রন্টের মন্ত্রিসভা গঠিত হয় ৩ এপ্রিল ১৯৫৪ সালে (চার সদস্যবিশিষ্ট)। স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস

Check Also

প্রাচীন বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাস

প্রাচীন বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাস Most Important for 46 BCS

সরকারি চাকুরির পরিক্ষায় বাংলাদেশ বিষয়াবলি থেকে প্রায় ১৫ থেকে ৩০ মার্ক পর্যন্ত প্রশ্ন এসে থাকে যার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ থাকে প্রাচীন বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাস থেকে। চলুন প্রাচীন বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাস থেকে পরিক্ষায় আসার মতো কিছু প্রশ্নউত্তর জেনে নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *