বাংলাদেশ বিষয়াবলি
46 BCS Preparation বাংলাদেশ বিষয়াবলি সাধারণ জ্ঞান

প্রাচীন বাংলার ইতিহাস: প্রাচীনকাল হতে সমসাময়িক কালের ইতিহাস 2023

Table of Contents

প্রাচীনকাল হতে সমসাময়িক কালের ইতিহাস 2023

প্রাচীন বাংলার ইতিহাস অনেক পুরাতন ও সমৃদ্ধ। বাংলার ইতিহাস ১৭৫৭ সাল থেকে ১৯৪৭ পর্যন্ত একটি ভাগ সমাপ্ত হয়েছে। আবার ভারতবর্ষ বিভাজনের পর থেকে বর্তমানকাল পর্যন্ত সময়কাল বাংলার ইতিহাসের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ একটা অধ্যায়। চলুন আমরা আজ জানব বাঙালি জাতির উদ্ভব ও বিকাশ সম্পর্কে।

বাঙালি জাতির উদ্ভব ও বিকাশঃ প্রাচীন বাংলার ইতিহাস

    • বাংলার প্রাচীন জনগোষ্ঠীকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। ১. প্রাক আর্য বা অনার্য জনগোষ্ঠী ও ২. আর্য জনগোষ্ঠী।
    • প্রাচীন বাংলায় আর্যদের আগমনের পূর্ব পর্যন্ত অনার্যদের বসতি ছিল; তাই প্রাক আর্য বা অনার্য জনগোষ্ঠীই বাঙালি জাতির আদি পুরুষ।
    • অনার্য জনগোষ্ঠীর উৎপত্তি হয় নেগ্রিটো, অস্ট্রিক, দ্রাবিড় ও মঙ্গোলীয়, বা ভোটচীনীয় জনগোষ্ঠীর মিশ্রণে।
    • নেগ্রিটোরা এ দেশের প্রাচীন জনগোষ্ঠী। সাঁওতাল, হাড়ি, চণ্ডাল, ডোমদেরকে এদের উত্তরসূরি ধরে নেওয়া হয়। সুন্দরবন অঞ্চল, যশোর ও ময়মনসিংহ জেলায় নেগ্রিটো জনগোষ্ঠীর প্রভাব লক্ষ করা যায়।
    • নৃতাত্ত্বিকদের ধারণা অস্ট্রিক গোষ্ঠী থেকে বাঙালি জাতির প্রধান অংশ গড়ে উঠেছে। এরা প্রায় ৬০০০ বছর আগে অস্ট্রেলিয়া ও ইন্দোনেশিয়া থেকে এদেশে এসেছে। আগমনের সময় ইন্দোচীন (ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া ও লাওস এই তিনটি দেশকে একত্রে ইন্দোচীন বলা হয়) হয়ে আসে। এরাই সর্বপ্রথম এদেশে কৃষিকাজ শুরু করেছে। কুড়ি, ঠোঁট, করাত, দা, বেগুন, লাউ, লেবু, কলা, লাঙল প্রভৃতি বাংলা ভাষার অসংখ্য শব্দ অস্ট্রিক ভাষা থেকে এসেছে।
    • সিন্ধু সভ্যতার স্রষ্টা দ্রাবিড় জনগোষ্ঠী মূলত ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল থেকে প্রায় ৪০০০ বছর আগে এদেশে আগমন করে। এরা ভারতের সিন্ধু নদের তীরে সিন্ধু সভ্যতা গড়ে তোলে । সিন্ধু সভ্যতা আবিষ্কৃত হয় ১৯২১ সালে এবং আবিষ্কারক হলেন রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলাদেশের সিলেট জেলায় অধিকাংশ দ্রাবিড় বাস করে। মঙ্গোলীয়রা ইন্দোচীন বা তিব্বত অঞ্চল হতে এদেশে আগমন করে । বাংলাদেশের উপজাতিদের মধ্যে গারো, চাকমা, মনিপুরি, খাসিয়া, হাজং প্রভৃতি মঙ্গোলীয় জনগোষ্ঠীর অন্তর্গত ।
    • ‘আর্য’ শব্দের অর্থ সদবংশজাত ব্যক্তি। আর্যরা প্রায় ২০০০ বছর আগে ইরান ও রাশিয়ার ইউরাল পর্বতমালা ও ককেশাস পর্বতমালার দক্ষিণে তৃণভূমি অঞ্চল থেকে এদেশে আগমন করে। এরা এদেশে আগমনের সময় আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে অবস্থিত খাইবার গিরিপথ ব্যবহার করে। আর্যরা সনাতন ধর্মাবলম্বী ছিল। তাদের ধর্মগ্রন্থের নাম ছিল বেদ। বেদ থেকে ঋগ্বেদের সৃষ্টি হয়েছে।

প্রাচীন বাংলার জনপদ

প্রাচীন যুগে বাংলা (বর্তমানের বাংলাদেশ ও পশ্চিম বঙ্গ) এখনকার বাংলাদেশের মতো কোনো একক ও অখণ্ড রাষ্ট্র বা রাজ্য ছিল না। বাংলার বিভিন্ন অংশ তখন অনেক ছোট ছোট অঞ্চলে বিভক্ত ছিল। আর প্রতিটি অঞ্চলের শাসক যার যার মতো শাসন করতেন। বাংলার এ অঞ্চলগুলোকে তখন সমষ্টিগতভাবে নাম দেয়া হয় ‘জনপদ’ ।

    • জনপদ সংখ্যা- ১৬টি [বাংলায় ছিল ১০টি]
    • জনপদের ভাষা- অস্ট্রিক
    • সর্ব প্রাচীন জনপদ – পুণ্ড্র
    • বঙ্গ নামের উল্লেখ পাওয়া যায়- ঐতরেয় আরণ্যক গ্রন্থে
    • বাংলার পূর্বাংশে অবস্থিত- হরিকেল জনপদ
    • ঢাকা অবস্থিত ছিল- বঙ্গ জনপদে
    • প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাস গ্রন্থ- রাজতরঙ্গিনী
    • রাজতরঙ্গিনী গ্রন্থের রচয়িতা- কলহন
    • বঙ্গ শব্দটির উল্লেখ পাওয়া যায়- খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০০ অব্দে
    • বাংলা শব্দটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন- আবুল ফজল
    • বাংলা শব্দটি এসেছে- (বঙ্গ + আইল/ আল/ আইল) শব্দ হতে
    • বঙ্গদেশের সীমানা সর্বপ্রথম পাওয়া যায়- বাঙ্গালির ইতিহাস গ্রন্থে
    • বরেন্দ্র বলতে বোঝায়- উত্তর বঙ্গকে (বগুড়া + রাজশাহী)
    • ‘গঙ্গারিডই’ অবস্থিত ছিল- গঙ্গা নদীর তীরে
    • হিউয়েন সাংয়ের মতে কামরুপ ছিল- সমতট জনপদ
    • ‘বাঙালির ইতিহাস’ গ্রন্থের রচয়িতা- ড. নীহাররঞ্জন রায়
    • ‘শীলাদেবীর ঘাট’ অবস্থিত- বগুড়ায়
ক্র.নং প্রাচীন জনপদ বর্তমান অঞ্চল
গৌড় উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চল, আধুনিক মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ও বর্ধমানের কিছু অংশ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
বঙ্গ ফরিদপুর, বরিশাল, পটুয়াখালীর নিম্ন জলাভূমি, বৃহত্তর বগুড়া, পাবনা, ময়মনসিংহ জেলার পশ্চিমাঞ্চল, ঢাকা, কুষ্টিয়া, বৃহত্তর কুমিল্লা ও নোয়াখালীর কিছু অংশ
পুণ্ড্র বগুড়া, দিনাজপুর ও রাজশাহী জেলা
হরিকেল সিলেট (শ্রীহট্ট), চট্টগ্রামের অংশবিশেষ
সমতট কুমিল্লা ও নোয়াখালী
বরেন্দ্র বগুড়া, দিনাজপুর ও রাজশাহী জেলার অনেক অঞ্চল এবং পাবনা জেলাজুড়ে
তাম্রলিপি পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলা
চন্দ্রদ্বীপ বরিশাল
উত্তর রাঢ় মুর্শিদাবাদ জেলার পশ্চিমাংশ, সমগ্র বীরভূম জেলা এবং বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমা
১০ দক্ষিণ রাঢ় বর্ধমানের দক্ষিণাংশ, হুগলির বহুলাংশ এবং হাওড়া জেলা
১১ বাংলা বা বাঙলা সাধারণ খুলনা, বরিশাল ও পটুয়াখালী
[তথ্যসূত্র : বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম-দশম শ্রেণি]

বিভিন্ন শাসক ও শাসনামলে বাংলার রাজধানী

শাসনামল রাজধানী শাসনামল রাজধানী
সুলতানি আমল গৌড় মৌর্যযুগ পুণ্ড্রনগর
মৌর্য ও গুপ্ত গৌড় লক্ষ্মণসেন নদীয়া
রাজা শশাঙ্কের রাজধানী কর্ণসুবর্ণ গুপ্ত রাজবংশ বিদিশা
হর্ষবর্ধন কনৌজ ঈসা খাঁ সোনারগাঁ
প্রাচীন বাংলার ইতিহাস
    • প্রাচীন বাংলার রাজধানী মহাস্থানগড় যে নামে পরিচিত ছিল বা মহাস্থানগড় এক সময় বাংলার রাজধানী ছিল, তখন তার নাম ছিল- পুণ্ড্রনগর
    • ঢাকায় সর্বপ্রথম বাংলার রাজধানী স্থাপিত হয়- ১৬১০ সালে
    • যে সময়ে সোনারগাঁ বাংলাদেশের রাজধানী ছিল- সুলতানী ও মুঘল উভয় আমলেই
    • বাংলার রাজধানী হিসেবে সোনারগাঁয়ের পত্তন করেছিলেন- ঈসা খান
    • মৌর্য ও গুপ্তবংশের রাজধানী ছিল- গৌড়
    • বাংলায় মুঘল প্রদেশের রাজধানী স্থাপন করেন- ইসলাম খান
    • নবদ্বীপ বা নদীয়া বাংলার রাজধানী ছিল- সেন শাসনামলে
    • দেবগিরিতে বাংলার রাজধানী স্থানান্তর করেন- মুহম্মদ বিন তুঘলক।

প্রাচীন বাংলার ইতিহাস (প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে ১২০৪ খ্রিষ্টাব্দ)

আলেকজান্ডারের শাসন : জন্ম- খ্রিষ্টপূর্ব ৩৫৬ অব্দে। মৃত্যু- খ্রিষ্টপূর্ব ৩২৩ অব্দে। মিশরের আলেকজান্দ্রিয়ায় সমাহিত করা হয়। ‘আলেকজান্দ্রিয়া’ বাতিঘরের জন্য বিখ্যাত। আলেকজান্ডারের সেনাপতি হলেন- সেলুকাস। গ্রিক বীর আলেকজান্ডার ভারতবর্ষে সিন্ধু নদীর তীর পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছিলেন। গ্রিক লেখকদের কথায় বাংলাদেশে গুঙ্গারিডই নামে এক শক্তিশালী রাজ্য ছিল।

মৌর্য শাসন : ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথম সাম্রাজ্যের নাম- মৌর্য সাম্রাজ্য। প্রাচীন ভারতে স্বর্ণযুগ হিসেবে পরিচিত- মৌর্য যুগ। মৌর্য যুগে গুপ্তচরকে সঞ্চারা নামে ডাকা হতো। উত্তর বাংলায় মৌর্য শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়- সম্রাট অশোকের রাজত্বকালে । মহারাজ অশোক বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেছিলেন কলিঙ্গের যুদ্ধের ভয়াবহ পরিণাম প্রত্যক্ষ করে। বৌদ্ধধর্মের কনস্ট্যানটাইন বলা হয়- অশোককে। চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের রাজসভায় গ্রিক দূত হলেন- মেগাস্থিনিস । (প্রাচীন বাংলার ইতিহাস pdf)

গুপ্ত শাসন : গুপ্তদের রাজধানী ছিল পুণ্ড্রনগর। ভারতের নেপোলিয়ন হিসেবে অভিহিত- সমুদ্রগুপ্ত। সমগ্র বাংলা জয় করা হয় সমুদ্রগুপ্তের রাজত্বকালে। সমুদ্রগুপ্তের রাজত্বকালে সমতট ছিল করদ রাজ্য। গুপ্ত আমলের সবচেয়ে বড় বিভাগের নাম ছিল ‘ভুক্তি’। গুপ্তযুগে প্রচলিত ‘চতুরঙ্গ’ খেলার বর্তমান নাম- দাবা। পরিব্রাজক ফা-হিয়েন যার শাসনামলে বাংলায় আসেন- দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত। প্রাচীন ভারতের যে শাসকের অপর নাম বিক্রমাদিত্য- দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত (গুপ্ত বংশের তৃতীয় শাসক)।

গৌড় শাসন : বাংলার প্রথম স্বাধীন ও সার্বভৌম রাজা- শশাঙ্ক। তার উপাধি ‘মহাসামন্ত’। শশাঙ্কের রাজধানীর নাম ছিল- কর্ণসুবর্ণ। (প্রাচীন বাংলার ইতিহাস)

মাৎস্যন্যায় : পুকুরের বড় মাছ ছোট মাছকে ধরে গিলে ফেলার মতো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিকে বলা হয়- মাৎস্যন্যায়। ব্যাপ্তি : সপ্তম শতকের মাঝামাঝি থেকে অষ্টম শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত প্রায় একশ বছর।

পাল শাসন : ধর্ম- বৌদ্ধ । প্রতিষ্ঠাতা : গোপাল । শেষ রাজা : মদনপাল । বাংলার প্রথম দীর্ঘস্থায়ী রাজবংশের নাম- পাল বংশ। প্রায় চারশ বছরের মতো শাসন করেছে- পাল বংশ। সোমপুর বিহার (নওগাঁ জেলার পাহাড়পুরে অবস্থিত)- এর প্রতিষ্ঠাতা- রাজা ধর্মপাল। (প্রাচীন বাংলার ইতিহাস)

পূর্বজীবন সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায়নি— গোপালের। গোপালের পিতার নাম বপ্যট, পিতামহের নাম দয়িতবিষ্ণু। দয়িতবিষ্ণু ছিলেন সর্ববিদ্যা বিশুদ্ধ । গোপাল শাসন করেছিলেন ২৭ বছর (৭৫৬-৭৮১)। গোপালের মৃত্যুর পর বাংলার সিংহাসনে বসেন ধর্মপাল। পাল রাজাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্মপাল। ত্রিশক্তির সংঘর্ষ শুরু হয় আট শতকের শেষ দিকে।

ত্রিশক্তির প্রথম যুদ্ধে পরাজিত হয় ধর্মপাল। ধর্মপাল রাজত্ব করেন ৪০ বছর। ধর্মপালের শাসনকাল ৭৮১-৮২১ খ্রিষ্টাব্দে। ধর্মপাল অনুসারী ছিলেন বৌদ্ধধর্মের। ধর্মপালের মৃত্যুর পর সিংহাসনে বসেন দেবপাল। নালন্দায় এক বিশাল বৌদ্ধমন্দির নির্মাণ করেন মহীপাল । মহীপালের জনপ্রিয়তা অর্জনের যথার্থ কারণ জনহিতকর কাজ। মহীপালের রাজত্বকাল ৫০ বছর।

মহীপাল মৃত্যুর পর সিংহাসনে বসেন তাঁর পুত্র ন্যায়পাল। কৈবর্ত বিদ্রোহ হয় দ্বিতীয় মহীপালের রাজত্বকালে। কৈবর্ত বিদ্রোহের নেতা দিব্য। দিব্য বরেন্দ্র দখল করেন দ্বিতীয় মহীপালকে হত্যা করে। পাল বংশের সর্বশেষ সফল শাসক রামপাল। ‘রামচরিত’ গ্রন্থের রচয়িতা সন্ধ্যাকর নন্দী। রানিকে রাজকীয় মর্যাদা দেওয়া হয় পাল আমলে ।

সেন শাসন : পাল বংশের পতনের পর বারো শতকের দ্বিতীয় ভাগে বাংলাদেশে সেন রাজবংশের সূচনা হয়। বাংলার সেন বংশের প্রতিষ্ঠাতা ছলেন সামন্ত সেন। হেমন্ত সেনের মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র বিজয় সেন (১০৯৮-১১৬০ খ্রিষ্টাব্দ) সিংহাসনে আরোহণ করেন। (প্রাচীন বাংলার ইতিহাস)

তাঁর এই সুদীর্ঘ রাজত্বকালেই সেন বংশের শাসন শক্তিশালী ভিত্তির উপর সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তিনিই সম্ভবত সামন্তরাজা হতে নিজেকে স্বাধীন রাজারূপে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। কৈবর্ত বিদ্রোহের সময় তিনি রামপালকে সাহায্য করেন। হুগলী জেলার ত্রিবেনীতে অবস্থিত বিজয়পুর ছিল বিজয় সেনের প্রথম রাজধানী । দ্বিতীয় রাজধানী স্থাপন করা হয় বর্তমান মুন্সীগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরে।

বিজয় সেন পরম মাহেশ্বর, পরমেশ্বর, পরমভট্টারক মহারাজাধিরাজ, অরিরাজ-বৃষভ-শঙ্কর প্রভৃতি উপাধি গ্রহণ করেন। সেন বংশের অধীনেই সর্বপ্রথম সমগ্র বাংলা দীর্ঘকালব্যাপী একক রাজার অধীনে ছিল। ধর্মের দিক হতে বিজয় সেন ছিলেন শৈব।

বিজয় সেনের পর সিংহাসনে আরোহণ করেন তাঁর পুত্র বল্লাল সেন (১১৬০-১১৭৮ খ্রিষ্টাব্দ)। বল্লাল সেন অত্যন্ত সুপণ্ডিত ছিলেন। বিদ্যা ও বিদ্বানের প্রতি তাঁর যথেষ্ট অনুরাগ ছিল। তিনি ‘দানসাগর’ ও ‘অদ্ভূতসাগর’ নামে দুটি গ্রন্থ রচনা করেন।

অবশ্য ‘অদ্ভূতসাগর’ গ্রন্থের অসমাপ্ত অংশ তাঁর পুত্র লক্ষ্মণ সেন সম্পূর্ণ করেছিলেন। বল্লাল সেন তন্ত্র হিন্দু ধর্মের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তিনি হিন্দু সমাজকে নতুন করে গঠন করার উদ্দেশ্যে ‘কৌলিন্য প্রথা’ প্রবর্তন করেছিলেন।

বল্লাল সেনের পর তাঁর পুত্র লক্ষ্মণ সেন (১১৭৮-১২০৫ খ্রিষ্টাব্দ) প্রায় ৬০ বৎসর বয়সে সিংহাসনে আরোহণ করেন। লক্ষ্মণ সেন পিতা ও পিতামহের শৈব ধর্মের প্রতি অনুরাগ ত্যাগ করে বৈষ্ণব ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন বলে মনে হয়। পিতা ও পিতামহের ‘পরম মহেশ্বর’ উপাধির পরিবর্তে তিনি ‘পরম বৈষ্ণব’ উপাধি গ্রহণ করেন।

তেরো শতকের প্রথম দিকে মুসলিম সেনাপতি বতিয়ার খলজি নদিয়া আক্রমণ করেন। বৃদ্ধ লক্ষ্মণ সেন কোনো প্রতিরোধ না করে নদীপথে পূর্ববঙ্গের রাজধানী বর্তমান মুন্সীগঞ্জ জেলার বিক্রমপুর আশ্রয় গ্রহণ করেন। উত্তর ও উত্তর- পশ্চিম বাংলা বখতিয়ার খলজি সহজেই অধিকার করে নেন।

লক্ষ্মণাবতীকে (গৌড়) কেন্দ্র করে বাংলায় মুসলিম সামাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়। দক্ষিণ-পূর্ব বাংলায় অবস্থান করে লক্ষ্মণ সেন আরও ২/৩ বৎসর রাজত্ব করেন। খুব সম্ভব ১২০৬ খ্রিষ্টাব্দে (মতান্তরে ১২০৫ খ্রিষ্টাব্দ) তিনি মৃত্যুমুখে পতিত হন। লক্ষ্মণ সেনের মৃত্যুর পর তাঁর দুই পুত্র বিশ্বরূপ সেন ও কেশব সেন কিছুকাল (১২৩০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত) পূর্ব বাংলা শাসন করেন। তবু বলা চলে লক্ষ্মণ সেনের পরাজয়ের মধ্য দিয়ে বাংলায় সেন শাসনের অবসান ঘটে ।

    • প্রাচীন বাংলার শিল্পকলার জন্য স্মরণীয় পাল যুগ। সোমপুর মহাবিহার নির্মিত হয়েছিল পাল যুগে। সোমপুর বিহার নির্মাণ করেন ধর্মপাল। সোমপুর বিহারে বাস করতেন বোধিভদ্র। ভারত উপমহাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন স্থাপত্যের নিদর্শন স্তূপ ।
    • বাংলাদেশের স্থাপত্য শিল্পের ইতিহাসে এক অমর সৃষ্টি পাহাড়পুরের মন্দির। উয়ারী-বটেশ্বরে পাওয়া গেছে প্রায় ২৫০০ বছরের পুরোনো এক নগরকেন্দ্রিক ধ্বংসাবশেষ।
    • শালবন বিহার অবস্থিত কুমিল্লার ময়নামতিতে। শালবন বিহার নির্মাণ করেন শ্রীভবদেব। দেবপর্বত অবস্থিত কুমিল্লায়। রাজা দেব খড়গের একটি স্তূপ পাওয়া গেছে ঢাকা জেলার আশরাফপুর গ্রামে। কান্তিদেবের রাজধানীর নাম ছিল বর্ধমানপুর।
    • আর্যদের ভাষার নাম প্রাচীন বৈদিক ভাষা। প্রাচীন বাংলার মানুষের ভাষার নাম ছিল ‘অস্ট্রিক। বাংলা ভাষার সৃষ্টি হয় অপভ্রংশ ভাষা ইন্দোইউরোপীও ভাষা গোষ্টীর অন্ত থেকে।
    • প্রাচীনকালে বাংলায় বর্ণ ছিল চার প্রকার। প্রাচীন সমাজে সর্বশ্রেষ্ঠ মর্যাদা লাভ করত ক্ষত্রিয়রা। ক্ষত্রিয়দের পেশা ছিল যুদ্ধ করা। বৈশ্যদের কাজ ছিল ব্যবসা-বাণিজ্য করা ।
    • দক্ষিণ-পূর্ব বাংলার সবচেয়ে শক্তিশালী স্বাধীন রাজবংশ চন্দ্রবংশ। চন্দ্রবংশের রাজারা শাসন করেন দেড়শ বছর। চন্দ্র রাজাদের মূল কেন্দ্র হিসেবে অধিক উপযোগী লালমাই পাহাড়। রোহিতগিরি নামটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ লালমাই পাহাড়। শ্রীচন্দ্র রাজধানী গড়ে তোলেন বিক্রমপুরে। শ্রীচন্দ্র রাজত্ব করেন প্রায় ৪৫ বছর। শেষ চন্দ্ৰ রাজা হিসেবে গ্রহণযোগ্য গোবিন্দচন্দ্র ।
    • মহারাজাধিরাজ উপাধিটি হলো ত্রৈলোক্যচন্দ্রের। ত্রৈলোক্যচন্দ্র রাজত্ব করেন ৩০ বছর।
    • বর্মদের রাজধানী বিক্রমপুর। বর্ম রাজবংশের শেষ রাজা ছিলেন ভোজবর্মা ।
    • চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙয়ের দীক্ষাগুরু ছিলেন শিলভদ্র। ফা- হিয়েন ছিলেন চীনের পর্যটক।
    • মহাস্থবীর শিলভদ্র যে মহাবিহারের আচার্য ছিলেন- নালন্দা বিহার ।
    • নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় খ্রিষ্টীয় পঞ্চম শতকে ।
    • মধ্যযুগ (বাংলায় মুসলিম ও স্বাধীন সুলতানী শাসন প্রতিষ্ঠা)
    • বাংলার মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়- এয়োদশ শতাব্দীতে
    • বাংলার প্রথম মুসলিম বিজেতা- বখতিয়ার খলজি (প্রাচীন বাংলার ইতিহাস)
    • বাংলায় মুসলিম শাসনামলে ‘আবওয়াব’ শব্দটি ব্যবহৃত হতো- খাজনার ক্ষেত্রে
    • বখতিয়ার খলজি বাংলা জয় করেন- ১২০৪ সালে
    • প্রথম সিন্ধু বিজয়ী মুসলিম সেনাপতি হলেন- মুহাম্মদ বিন কাসিম
    • বিখ্যাত পর্যটক ইবনে বতুতা সোনারগাঁ ভ্রমণ করেন- ১৩৪৬ সালে
    • মুহাম্মদ ঘুরী এবং পৃথ্বীরাজ চৌহানের মধ্যে দ্বিতীয় তরাইনের যুদ্ধ সংঘটিত হয়— ১১৯২ সালে
    • বাংলাদেশকে ‘ধনসম্পদপূর্ণ নরক’ বলে অভিহিত করেন- ইবনে বতুতা
    • বাংলায় স্বাধীন সুলতানী শাসন প্রতিষ্ঠা করেন- ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ
    • ইলিয়াস শাহের রাজধানী ছিল— পাণ্ডুয়া
    • ইবনে বতুতা যে দেশের অধিবাসী- মরক্কো
    • মোঙ্গল আক্রমণ প্রতিহত করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন- গিয়াস উদ্দিন তুঘলক
    • ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম শাসনের সূচনা ঘটে— খ্রি. এয়োদশ শতকে
    • যে শাসনামলে সমগ্র বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চল ‘বাঙ্গালা’ নামে অভিহিত হয়- মুসলিম
    • বাংলায় প্রথম চৈনিক পরিব্রাজক ফা হিয়েন

দিল্লির সালতানাত বা সুলতানদের শাসন ব্যবস্থা (১২০৬-১৫২৬)

কুতুবউদ্দিন আইবেক (১২০৬-১২১০)

    • ‘কুতুব মিনার’ নির্মাণ করেন
    • ‘কুতুব মিনার’ দিল্লিতে অবস্থিত।
    • দানশীলতার জন্য লাখবক্স/ লক্ষ দাতা হিসেবে পরিচিত

সুলতান শাষসউদ্দিন ইলতুতমিশ (১২১১-১২৩৬)

    • দিল্লির সালতানাতের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা।
    • মুসলমান শাসকদের মাঝে প্রথম মুদ্রা প্রচলক ।

সুলতানা রাজিয়া (১২৩৬-১২৪০)

    • দিল্লির সিংহাসনে আরোহনকারী প্রথম মুসলমান/একমাত্র নারী

ময়েজ উদ্দিন বাহরাম (১২৪০-১২৪২)

    • উল্লেখযোগ্য/প্রসিদ্ধ কোনো কাজের কথা জানা যায়নি ।

আলউদ্দিন মাসুদ (১২৪২-১২৪৬) (প্রাচীন বাংলার ইতিহাস)

    • উল্লেখযোগ্য/প্রসিদ্ধ কোনো কাজের কথা জানা যায়নি।

সুলতান নাসির উদ্দিন মাহমুদ (১২৪৬-১২৬৬)

    • বাংলার প্রথম তুর্কি শাসনকর্তা ।
    • কোরআনে অনুলিপি ও টুপি সেলাই করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
    • ‘ফকির বাদশাহ’ নামে পরিচিত।

সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবন (১২৬৬-১২৮৭)

    • ‘রক্তপাত ও কঠোর নীতি’ তাঁর শাসনের বৈশিষ্ট্য ।
    • ‘ভারতের তোতা পাখি’ নামে পরিচিত- আমির খসরু তার দরবার অলংকৃত করেন।

আলাউদ্দিন খলজি (১২৯৬-১৩১৬)

    • দিল্লির শ্রেষ্ঠ সুলতান ।
    • ‘পদ্মিনী উপাখ্যান’ রচিত হয়- আলাউদ্দিনের সময়ে
    • দ্রব্যমূল্য ও বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন ।

মুহম্মদ বিন তুঘলক (১৩২৫-১৩৬১)

    • দিল্লি হতে রাজধানী দেবগিরিতে স্থানান্তর করেন।
    • ১৩৩৯ সালে ‘তাম্র মুদ্রা’ প্রচলন করেন।
    • ইবনে বতুতার সফর সংক্রান্ত গ্রন্থের নাম- কিতাবুল রেহলা বা সফরনামা

বাংলায় ইলিয়াস শাহী শাসন

    • সর্বপ্রথম সমগ্র বাংলার অধিপতি হন— ইলিয়াস শাহ
    • প্রাচীন বাংলার সবগুলো জনপদই একত্রে বাংলা নামে পরিচিতি লাভ করে- সুলতান শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহের আমল থেকে। (প্রাচীন বাংলার ইতিহাস)
    • ‘বাঙ্গালাহ্’ নামের প্রচলন করেন- ইলিয়াস শাহ

হুসেন শাহী যুগ

    • গৌড়ের ছোট সোনা মসজিদ ও গুমতিদ্বার নির্মিত হয়- হুসেন শাহীর আমলে
    • বাগেরহাটের ‘মিঠা পুকুর’ এর নির্মাতা- নাসির উদ্দিন নুসরত শাহ
    • বাগেরহাট জেলার ষাটগম্বুজ মসজিদের নির্মাতা- খান জাহান আলী
    • ষাটগম্বুজ মসজিদের মিনার সংখ্যা- ৪টি। (প্রাচীন বাংলার ইতিহাস)
    • ষাটগম্বুজ মসজিদের পিলার সংখ্যা- ৬০টি
    • ষাটগম্বুজ মসজিদের গম্বুজ সংখ্যা- ৮১টি
    • ১৯৮৩ সালে বিশ্ব ঐতিহ্য (৩২১তম) হিসেবে ঘোষণা করে- UNESCO
    • বাংলা গজল ও সুফি সাহিত্য সৃষ্টি হয়- হুসেন শাহীর আমলে
    • বাংলা সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকতার জন্য বিখ্যাত শাসক- আলাউদ্দিন হুসেন শাহ

মুঘল শাসনামল

    • মুঘলদের আদি বাসভূমি – মঙ্গোলিয়া। (প্রাচীন বাংলার ইতিহাস)

বাবর (১৫২৬-১৫৩০)

    • বাবর শব্দের অর্থ বাঘ ।
    • ভারতবর্ষে মুঘল সাম্রাজের প্রতিষ্ঠাতা।
    • ১৫২৬ সালে পানিপথের প্রথম যুদ্ধে ইব্রাহিম লোদীকে পরাজিত করে ভারতবর্ষের মুঘল সাম্রাজ্যের ভিত প্রতিষ্ঠা করেন ।
    • ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথম কামানের ব্যবহার করেন।

হুমায়ুন (১৫৩০-১৬)

    • বাংলার নামকরণ করেন জান্নাতাবাদ । (প্রাচীন বাংলার ইতিহাস)

আকবর (১৫৫৬-১৬০৫)

    • বাংলায় মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা।
    • পানি পথের দ্বিতীয় যুদ্ধে ১৫৫৬ সালে হিমুকে পরাজিত করে মুঘল সাম্রাজ্যের অস্তিত্ব রক্ষা করেন ।
    • জিজিয়া কর ও তীর্থকর রহিত করেন।
    • মনসবদারী প্রথার প্রচলন, ফতেহপুর সিক্রি নির্মাণ করেন ।
    • বাংলা সাল, বাংলা নববর্ষের প্রচলন করেন।

জাহাঙ্গীর (১৬০৫-১৬২৭) (প্রাচীন বাংলার ইতিহাস)

    • আবওয়াব হলো নিয়মিত করের অতিরিক্ত কর, অর্থ সম্মানি, খাজনা ও দরজা।
    • বাংলা অধিকারের জন্য সুবেদার হিসেবে ইসলাম খানকে প্রেরণ করেন।
    • তাঁর আমলেই ইসলাম খান কর্তৃক বারোভূঁইয়াদের দমন করা হয়।
    • ইসলাম খান কর্তৃক বাংলার রাজধানী রাজমহল হতে ঢাকায় স্থানান্তর (১৬১০) করা হয় এবং ঢাকার নামকরণ করা হয় জাহাঙ্গীরনগর।
    • ১৬১২ সালে সমগ্র বাংলা মুঘলদের শাসনে আনয়ন করেন।
    • ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলায় আগমন করেন ।

শাহজাহান (১৬২৭-১৬৫৮)

    • শাহজাহানের আমলেই ভারতবর্ষে স্থাপত্য শিল্পের বিকাশ ঘটে।
    • আগ্রার তাজমহল, ময়ূর সিংহাসন, দিল্লি জামে মসজিদ, দিল্লির লালকেল্লা, সালিমার উদ্যান, খাশমহল, শীষমহল প্রভৃতি তাঁরই স্থাপত্য নিদর্শন।
    • এ সময়েই সম্রাটের অনুমতিক্রমে ইংরেজরা বাংলার ‘পিপিলাই’ নামক স্থানে প্রথম বাণিজ্য কুঠি স্থাপন করেন।
    • নির্মাণের যুবরাজ ‘Prince of Builders’ নামে খ্যাত।

আওরঙ্গজেব (১৬৫৮-১৭০৭)

    • ‘জিন্দাপীর’/বাদশা আলমগীর হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
    • শাহজাহানের পুত্র আওরঙ্গজেব শাহ সুজাকে দমন করার জন্য সেনাপতি মীর জুমলাকে বাংলায় পাঠান।
    • আওরঙ্গজেব শায়েস্তা খানকে বাংলার সুবেদার করে পাঠান ১৬৬৪ সালে (দ্বিতীয়বার ১৬৭৯ সালে)
    • তিনি ‘জিজিয়াকর’ পুনরায় চালু করেন।

শাহজাদা সুজা

    • সম্রাট শাহজাহানের দ্বিতীয় পুত্র।
    • ১৬৩৮ সালে বাংলার রাজধানী ঢাকা হতে রাজমহলে স্থানান্তর করেন।
    • ১৬১৫ সালে বাংলায় ইংরেজদের বাণিজ্য করার সুযোগ দেন।
    • চকবাজারের বড় কাটরা এবং ধানমণ্ডি ইদগাহ মাঠ নির্মাণ করেন।

পানিপথের তিনটি যুদ্ধ

পানিপথ ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত। দিল্লি হতে এর দূরত্ব ৯০ কি.মি. । এখানে তিনটি যুদ্ধ সংঘটিত হয়।

যুদ্ধ সাল পক্ষ-বিপক্ষ ফলাফল
১ম যুদ্ধ ১৫২৬ বাবর – লোদী ভারতবর্ষে মুঘল সাম্রাজ্যের গোড়াপত্তন ।
২য় যুদ্ধ ১৫৫৬ বৈরাম খান – হিমু বাংলায় মুঘল সাম্রাজের গোড়াপত্তন ।
৩য় যুদ্ধ ১৭৬১ আরদালী – মারাঠা ভারতবর্ষের মুসলিম সাম্রাজ্যের বিস্তার ।
(প্রাচীন বাংলার ইতিহাস)

Check Also

প্রাচীন বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাস

প্রাচীন বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাস। ২য় পর্ব

প্রাচীন বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাস অত্যন্ত ব্যাপক এবং পৌরাণিক সংস্কৃতির অংশ। বাংলার প্রাচীন ইতিহাস প্রায় ২,৫০০ বছরের বেশির দীর্ঘকাল ধরে পর্যাপ্ত রূপে প্রকট হয়নি। তবে, কিছু ঐতিহাসিক উল্লেখ এবং প্রাচীন সংস্কৃতির উপস্থিতি অনুসারে বাংলার প্রাচীন ইতিহাস অনুশীলন করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *