Workers Compensation Code
Workers Compensation Code

Workers Compensation Codes; Employer Worker and Classification of Worker in HRM

Table of Contents

Workers Compensation Codes

বাংলাদেশ শ্রম আইন- Workers Compensation Codes ২০০৬ এর ধারা ২(৬৫) অনুযায়ী,“শ্রমিক” অর্থ শিক্ষাধীনসহ কোন ব্যক্তি, তার চাকুরীর শর্তাবলী প্রকাশ্য বা উহ্য যে ভাবেই থাকুক না কেন, যিনি কোন প্রতিষ্ঠানে বা শিল্পে সরাসরিভাবে বা কোন ঠিকাদার যে নামেই অভিহিত হক না কেন এর মাধ্যমে মজুরী বা অর্থের বিনিময়ে কোন দক্ষ, অদক্ষ, কায়িক, কারিগরী, ব্যবসা উন্নয়নমূলক বা কেরাণীগিরির কাজ করার জন্য নিযুক্ত হন। কিন্তু প্রধানতঃ প্রশাসনিক, তদারকি কর্মকর্তা বা ব্যবস্থাপনামূলক কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি এর অর্ন্তভূক্ত হবেন না। তাহলে দেখা যায় প্রশাসনিক, তদারকি কর্মকর্তা বা ব্যবস্থাপনামূলক কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাক্তি ব্যতীত সবাই শ্রমীক ।

Definition of Worker; Workers Compensation Codes মালিক এর সংজ্ঞা

বাংলাদেশ শ্রম আইনের ধারা ২ এর উপ-ধারা ৪৯ অনুসারে, কোন প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে, “মালিক” অর্থ এমন কোন ব্যক্তি যিনি প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক নিয়োগ করেন, এবং নিম্নলিখিত ব্যক্তিগণও এর অন্তর্ভূক্ত হবে, যথাঃ-

ক) উক্ত ব্যক্তির কোন উত্তরাধিকারী, অভিভাবক, হস্তান্তর মূলে উত্তরাধিকারী বা আইনগত প্রতিনিধি;

খ) উক্ত প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক বা উহার ব্যবস্থাপনা বা নিয়ন্ত্রণের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি;

গ) সরকার কর্তৃক বা সরকারের কর্তৃত্বাধীন পরিচালিত কোন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে, এতদুদ্দেশ্যে নিয়োজিত কোন কর্তৃপক্ষ, অথবা এরূপ কোন কর্তৃপক্ষ না থাকলে, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের প্রধান;

ঘ) কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বা উহার পক্ষে পরিচালিত কোন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে, এতদুদ্দেশ্যে নিযুক্ত কোন কর্মকর্তা অথবা এরূপ কোন কর্মকর্তা না থাকলে, উহার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা;

ঙ) অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে, উহার মালিক এবং উহার প্রত্যেক পরিচালক, ব্যবস্থাপক, সচিব, প্রতিনিধি অথবা উহার কাজ-কর্মের ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত কোন কর্মকর্তা বা ব্যক্তি;

চ) মালিক ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তির দখলে আছে এরূপ কোন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে, উক্ত প্রতিষ্ঠান দখলকারী ব্যক্তি অথবা উহার নিয়ন্ত্রণকারী চুড়ান্ত ব্যক্তি অথবা ব্যবস্থাপক অথবা উক্ত-কাজ কর্মের ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত কোন উপযুক্ত কর্মকর্তা। Primary Discussion and 10 Important Objectives of Human Resource Management

Classification of Worker; Workers Compensation Codes শ্রমিকের শ্রেণী বিভাগ

১। কর্মের ভিত্তিতে কর্মীর শ্রেণী বিভাগ Workers Compensation Codes

বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ Workers Compensation Codes অনুসারে দেখা যায় যে, একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকে তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে, যথা-

ক) প্রশাসনিক ও ব্যবস্থাপনামূলক কর্ম (প্রশাসনিক বা ব্যবস্থাপনামূলক কর্মে নিযুক্ত কর্মী)

বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা-২০১৫ এর বিধি ২ (ঞ) অনুসারে, “প্রশাসনিক বা ব্যবস্থাপনামূলক কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি” অর্থ মালিক বা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক লিখিতভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি যিনি উক্ত ক্ষমতাবলে কারখানা বা প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক বা কর্মচারীদের নিয়োগ, বেতন ও ভাতাদি নির্ধারণ, চাকরির অবসান বা চাকরি থেকে অপসারণ, চূড়ান্ত পাওনাদি পরিশোধ এবং প্রতিষ্ঠানের ব্যয় অনুমোদন বা নিয়ন্ত্রণ কাজে নিয়োজিত;

এই ধরনের কাজ একটি প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ত্ব সংরক্ষণ ও প্রতিষ্ঠানকে সামনে এগিয়ে নিতে মূল চালিকা শক্তির ভূমিকা রাখে। প্রতিষ্ঠানের নীতি নির্ধারন ও কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন, শ্রমিক কর্মচারীদের নিয়োগ, বেতন ও ভাতাদি নির্ধারণ, চাকুরির অবসান বা চাকুরি হতে অপসারণ, চূড়ান্ত পাওনাদি পরিশোধ এবং প্রতিষ্ঠানের ব্যয় অনুমোদন বা কাজের নিয়ন্ত্রণ এধরনের কাজের অন্তর্ভূক্ত, এই কাজ গুলো প্রতিষ্ঠানের কর্ম বিভাজন ও ব্যবস্থাপনা তত্ত্বের আলোকে চিন্তা করলে প্রতিষ্ঠানের উচ্চস্তরের কাজ হিসেবে বিবেচিত হয়।

সংগঠন জন্মের পর থেকে দুই বা ততোধিক ব্যক্তি এক সাথে কাজ করতে গিয়ে প্রত্যেকে তার নিজের কাজ যেমন সম্পাদন করে তেমনি দুই বা ততোধিক ব্যক্তির এক সাথে করা কাজ সংগঠনের লক্ষ্যে অর্জনে সমন্বয় করতে কিছু ব্যক্তিকে সাংগঠনিক কাজ করতে হয়। সংগঠনের এই কাজগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল সংগঠনের সদস্যদের নিয়োগ, তাদের সুযোগ- সুবিধা নির্ধারণ, সদস্য পদ থাকা বা না থাকার সিদ্ধান্ত প্রদান, সদস্য পদের সমাপ্তি অন্তে সদস্যগনের সুযোগ সুবিধা এবং সংগঠনের ব্যয় অনুমোদন বা কাজের নিয়ন্ত্রণ করা।

কালের বিবর্তনে সংগঠনগুলো যখন ব্যবসা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে রূপ নেয় তখন এসব কাজ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক বা ব্যবস্থাপনামূলক কর্ম বলে পরিচিতি লাভ করে। ব্যবসা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের জন্মের শুরুতে এধরনের কাজ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার হোল্ডার মালিকগণ সরাসরি নিজেরা করতেন কিন’ কালের বিবর্তনে যখন একজন ব্যক্তি একাধিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার হোল্ডার মালিক হয় এবং একাধিক প্রতিষ্ঠানে স্ব-শরীরে উপস্থিত থেকে মালিকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হয় তখন শেয়ার হোল্ডার মালিক গন চিন্তা করল প্রতিষ্ঠানে নিজেদের মালিকানা অক্ষুন্ন রেখে প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব ধরে রাখার জন্য মালিকের ভুমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার জন্য কিছু ব্যক্তির প্রয়োজন; যারা মূলত কৃত্রিম মালিকানা স্বত্ত্বা নিয়ে প্রতিষ্ঠানে মালিকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন।

এই কৃত্রিম মালিকানা স্বত্বা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রকৃত শেয়ার হোল্ডার মালিকগন আইনগত ভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে শেয়ার হোল্ডার বিহীন কৃত্রিম মালিকানা স্বত্বা নিয়ে মালিকের ভূমিকায় অবতীর্ন ব্যক্তিদের যে কাজ হস্তান্তর করেন তাই মূলত প্রশাসনিক বা ব্যবস্থাপনামূলক কাজ, এটি মূলত প্রতিষ্ঠানের শাসক শ্রেণীর কাজ, এধরনের কাজের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানে শাসন ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত ও প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্যে অর্জন সুসংগঠিত এবং ত্বরান্বিত হয়। আইনের ভাষায় এধরনের কাজ সম্পাদনকারী কর্মীকে প্রশাসনিক বা ব্যবস্থাপনামূলক কর্মে নিযুক্ত কর্মী বলে ।

খ) তদারকি কর্ম (তদারকি কর্মে নিযুক্ত কর্মী/তদারকি কর্মকর্তা) Workers Compensation Codes

বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা-২০১৫ এর বিধি ২ (ছ) অনুসারে “তদারকি কর্মকর্তা” অর্থ মালিক বা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক লিখিতভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত এমন কোন ব্যক্তি যিনি উক্ত ক্ষমতাবলে কারখানা বা প্রতিষ্ঠানের কোন শাখার কোন কাজের বা সেবার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ, কাজের পরিধি নিয়ন্ত্রণ, বাস্তবায়ন কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ, কাজের মূল্যায়ন বা পর্যালোচনা, শ্রমিকদের দিক নির্দেশনা প্রদান বা তদারকি করেন।

প্রতিষ্ঠানে ব্যবস্থাপনা ও কর্ম বিভাজন তত্ত্বের আলোকে তদারকি কর্ম প্রতিষ্ঠানের মধ্য স্তরের কর্ম। যখন একাধিক ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের নিম্নস্তরে, প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্যে অর্জনে স্ব-স্ব কার্য, স্ব-স্ব কায়িক শ্রম বা মেধা দিয়ে সম্পাদন করে তখন তাদের কার্য উচ্চ স্তরের প্রশাসনিক এবং ব্যবস্থামূলক কার্যের দিক নির্দেশনা অনুসারে সম্পাদিত হচ্ছে কিনা তার তত্ত্বাবধান এবং প্রয়োজনে সঠিক দিক নির্দেশনা প্রদান করতে হয়; এই তত্ত্বাবধানই তদারকি কর্ম; এটিও এক ধরনের সাংগঠনিক কর্ম।

তদারকিমূলক কর্মের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের উচ্চ ও নিম্নস্তরের মধ্যে যোগ সূত্র বা বন্ধন সৃষ্টি করা হয়। তদারকি কাজের উল্লেখযোগ্য ক্ষেত্র হল কারখানা বা প্রতিষ্ঠানের কোন শাখার কোন কাজের বা সেবার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ, কাজের পরিধি নিয়ন্ত্রণ, বাস্তবায়ন কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ, কাজের মূল্যায়ন বা পর্যালোচনা, শ্রমিকদের দিক নির্দেশনা প্রদান বা তদারকি করা। আইনের ভাষায় এধরনের কাজ সম্পাদনকারী কর্মীকে তদারকি কর্মে নিযুক্ত কর্মী বলে।

গ) দক্ষ, অদক্ষ, কায়িক, কারিগরী, ব্যবসা উন্নয়নমূলক অথবা কেরানীগিরি কর্ম- (শ্রমিকপদে নিযুক্ত কর্মী)

বাংলাদেশ শ্রম আইনের ধারা ২ এর উপধারা ৬৫ অনুযায়ী, “শ্রমিক” অর্থ শিক্ষাধীনসহ কোন ব্যক্তি, তার চাকুরীর শর্তাবলী প্রকাশ্য বা উহ্য যে ভাবেই থাকুক না কেন, যিনি কোন প্রতিষ্ঠানে বা শিল্পে সরাসরিভাবে বা কোন ঠিকাদার যে নামেই অভিহিত হক না কেন এর মাধ্যমে মজুরী বা অর্থের বিনিময়ে কোন দক্ষ, অদক্ষ, কায়িক, কারিগরী, ব্যবসা উন্নয়নমূলক বা কেরাণীগিরির কাজ করার জন্য নিযুক্ত হন।

প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা ও কর্ম বিভাজন তত্ত্বের আলোকে চিন্তা করলে এধরনের কর্মকে প্রতিষ্ঠানের নিম্নস্তরের কর্ম বলে; এধরনের কর্মের মধ্যে সাধারনত দক্ষ, অদক্ষ, কায়িক, কারিগরী, ব্যবসা উন্নয়নমূলক অথবা কেরানীগিরি অন্তর্ভূক্ত।

এধরনের কার্য কর্মী নিজের শ্রম, মেধা, প্রজ্ঞা দিয়ে স্ব-স্ব কর্ম অন্যের তত্ত্বাবধান ও নির্দেশনায় নিজে সম্পাদন করেন এবং নিজের কর্ম ছাড়া অন্য কোন কর্মীর কর্ম তত্ত্বাবধান ও নির্দেশনা প্রদানের কোন প্রতিষ্ঠানিক ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের অধিকার এই ধরনের কর্মে অন্তর্ভূক্ত নয়।

এই ধরনের কর্মের মধ্যে সাংগঠনিক কোন কার্য অন্তর্ভূক্ত নয়, যেমন: প্রতিষ্ঠানের নীতি নির্ধারন ও কৌশলগত পরিকল্পনা প্রনয়ন এবং বাস্তবায়ন, শ্রমিক বা কর্মচারীদের নিয়োগ, বেতন ও ভাতাদি নির্ধারণ, চাকুরির অবসান বা চাকুরি হতে অপসারণ, চূড়ান্ত পাওনাদি পরিশোধ এবং প্রতিষ্ঠানের ব্যয় অনুমোদন বা কাজের নিয়ন্ত্রণ, কারখানা বা প্রতিষ্ঠানের কোন শাখার কোন কাজের বা সেবার ল্যমাত্রা নির্ধারণ, কাজের পরিধি নিয়ন্ত্রণ, বাস্তবায়ন কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ, কাজের মূল্যায়ন বা পর্যালোচনা, শ্রমিকদের দিক নির্দেশনা প্রদান বা তদারকি করা ইত্যাদি। আইনের ভাষায় এধরনের কার্য সম্পাদনকারী কর্মীকে শ্রমিক বলে ।

২) কাজের স্থায়ীত্ব ও প্রকৃতির ভিত্তিতে শ্রমিকের কাজের শ্রেণী বিভাগ; Workers Compensation Codes

Workers Compensation Code
Workers Compensation Codes

কাজের প্রকৃতি ও স্থায়ীত্বের উপর ভিত্তি করে শ্রমিকদের কাজকে ৪ ভাগে ভাগ করা হয়েছে, যথা :

ক) স্থায়ী কাজ :-

স্থায়ী কাজের সংগে নিম্নে উল্লেখিত ৫ ধরনের শ্রমিকের সম্পর্ক রয়েছে, যথা :-

অ) স্থায়ী শ্রমিক,

আ) শিক্ষানবিস শ্রমিক,

ই) বদলী শ্রমিক,

ঈ) শিক্ষাধীন শ্রমিক এবং

উ) চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক-(কেবল মাত্র বাংলাদেশ শ্রম আইনের ধারা ২৮(৪) অনুযায়ী চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক)

খ) অস্থায়ী কাজ ; Workers Compensation Codes

অস্থায়ী কাজের সংগে নিম্নে উল্লেখিত ২ ধরনের শ্রমিকের সম্পর্ক রয়েছে, যথা :- অ) অস্থায়ী শ্রমিক,

আ) চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক- (কেবল মাত্র বাংলাদেশ শ্রম আইনের ধারা ২৮(৪) অনুযায়ী চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক) গ) সাময়িক কাজ :-সাময়িক কাজের জন্য কেবল মাত্র সাময়িক শ্রমিকের সম্পর্ক রয়েছে। এবং

ঘ) মৌসুমি কাজ :- মৌসুমী কাজের জন্য কেবল মাত্র মৌসুমী শ্রমিকের সম্পর্ক রয়েছে।

৩) কাজের ধরন ও প্রকৃতির ভিত্তিতে শ্রমিকের শ্রেণী বিভাগ; Workers Compensation Codes

বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ধারা ৪ অনুযায়ী, কাজের ধরন ও প্রকৃতির ভিত্তিতে কোন প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত শ্রমিকগণকে নিম্নলিখিত শ্রেণীতে বিভক্ত করা যাবে, যথা :-

ক) শিক্ষাধীন :- কোন শ্রমিককে শিক্ষাধীন শ্রমিক বলা হবে যদি কোন প্রতিষ্ঠানে তার নিয়োগ প্রশিক্ষণার্থী হিসাবে হয়; এবং প্রশিক্ষণকালে তাকে ভাতা প্রদান করা হয়।

খ) বদলী :- কোন শ্রমিককে বদলী শ্রমিক বলা হবে যদি কোন প্রতিষ্ঠানে তাকে কোন স্থায়ী শ্রমিক বা শিক্ষানবিসের পদে তাদের সাময়িক অনুপস্থিতিকালীন সময়ের জন্য নিযুক্তি করা হয়।

গ) সাময়িক :- কোন শ্রমিককে সাময়িক শ্রমিক বলা হবে যদি কোন প্রতিষ্ঠানে সাময়িক ধরনের কাজে

সাময়িকভাবে তাকে নিয়োগ করা হয়।

ঘ) অস্থায়ী :- কোন শ্রমিককে অস্থায়ী শ্রমিক বলা হবে যদি কোন প্রতিষ্ঠানে তার নিয়োগ এমন কোন কাজের জন্য হয় যা একান্তভাবে অস্থায়ী ধরনের এবং যাহা সীমিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

ঙ) শিক্ষানবিস :- কোন শ্রমিককে শিক্ষানবিস শ্রমিক বলা হবে যদি কোন প্রতিষ্ঠানে কোন স্থায়ী পদে তাকে আপাততঃ নিয়োগ করা হয় এবং তাহার শিক্ষানবিশীকাল সমাপ্ত না হয়ে থাকে ।

চ) স্থায়ী :- কোন শ্রমিককে স্থায়ী শ্রমিক বলা হবে যদি কোন প্রতিষ্ঠানে তাকে স্থায়ীভাবে নিযুক্ত করা হয়, অথবা প্রতিষ্ঠানে তিনি তার শিক্ষানবিশীকাল সন্তোষজনকভাবে সমাপ্ত করে থাকেন ।

ছ) মৌসুমী শ্রমিক :– কোন শ্রমিককে মৌসুমী শ্রমিক বলা হবে যদি কোন প্রতিষ্ঠানে মৌসুমকালে কোন শ্রমিককে মৌসুমী কাজে নিয়োগ করা হয় এবং মৌসুম চলাকালীন পর্যন্ত কর্মরত থাকেন।

৪) বয়স এবং লিঙ্গের ভিত্তিতে শ্রমিকের শ্রেণীবিন্যাস; Workers Compensation Codes

বয়সভিত্তিক শ্রমিককে দুইভাগে ভাগ করা হয়, যথাঃ-

১) কিশোর শ্রমিক : চৌদ্দ বৎসর বয়স পূর্ণ করেছে কিন্তু আঠার বৎসর বয়স পূর্ণ করেন নাই এমন কোন ব্যক্তি। ২) প্রাপ্ত বয়স্ক শ্রমিক : আঠার বৎসর বয়স পূর্ণ করেছে এমন কোন ব্যক্তি।

খ) লিঙ্গের ভিত্তিতে শ্রমিককে দুইভাগে ভাগ করা হয়, যথাঃ-

১) পুরুষ শ্রমিক

২) নারী শ্রমিক

শ্রম আইন অনুসারে শ্রমিকের কাজের শ্রেণী বিন্যাস; Workers Compensation Codes

শ্রম আইনের অন্তর্নিহিত অর্থ এবং উচ্চ আদালতের রায়ের বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ অনুসারে প্রতিষ্ঠানের কর্মের প্রকৃতি ও স্থায়ীত্বের উপর ভিত্তি করে শ্রমিকদের কাজকে চার ভাগ করা হয়েছে। যেমন:

ক) স্থায়ী কাজ; খ) অস্থায়ী কাজ; গ) সাময়িক কাজ ; ঘ) মৌসুমি কাজ ।

কাজের এই ধরন সমূহের সাথে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৪ এর অধীন শ্রেণী বিন্যাসকৃত শ্রমিকদের নিয়োগের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। নিম্নে কাজের ধরন এবং শ্রমিক নিয়োগের সম্পর্ক আলোচনা করা হল:

ক) স্থায়ী কাজ :- সাধারণত কিছু ব্যতিক্রম ব্যতিত একটি ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠানের জীবন অনন্তকাল পর্যন্ত হয়ে থাকে। আইনের ভাষায় ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠান একটি কৃত্রিম ব্যক্তি স্বত্বা, ব্যক্তি মানুষের জীবনকাল নির্ধারিত হলেও কৃত্রিম ব্যক্তি স্বত্বার জীবনকাল নির্ধারিত নয়। একটি কৃত্রিম ব্যক্তি স্বত্বা আইনের শর্ত সাপেক্ষে অনন্তকাল বেঁচে থাকতে পারে। একই ভাবে ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠান ও কৃত্রিম ব্যক্তি স্বত্বা নিয়ে অনন্তকাল বেঁচে থাকতে পারে।

আইনের শর্ত সাপেক্ষে অনন্তকাল বেঁচে থাকা ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠানের স্থায়ী কাজ বলতে উক্ত প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসা যতদিন থাকবে সংশ্লিষ্ট কাজও উক্ত ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠানে ততদিন থাকবে; প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসার অস্তিত্বের সাথে এধরনের কাজের অস্তিত্ব জড়িত, এধরনের কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার নির্ধারিত কোন সময় নেই। প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসায় এধরনের স্থায়ী কাজ সম্পাদনে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর শর্ত সাপেক্ষে ৪ ধারার অধীন শ্রেণী বিন্যাসকৃত শ্রমিকদের মধ্যে হতে চার ধরনের শ্রমিক নিয়োগ দানের সুযোগ রয়েছে। উক্ত চার ধরনের শ্রমিক হল, যথাক্রমে-

১) স্থায়ী শ্রমিক;

২) শিক্ষানবিস শ্রমিক; ৩) বদলী শ্রমিক;

৪) শিক্ষাধীন শ্রমিক ।

এছাড়া বিশেষ অর্থে বাংলাদেশ শ্রম আইন Workers Compensation Codes ২০০৬ এর ধারা ২৮(৪) মতে সংজ্ঞায়িত চুক্তি ভিত্তিক শ্রমিকও এধরনের কার্য সম্পাদনে নিয়োগ প্রদান করা যায় ৷

খ) অস্থায়ী কাজ :- যে সব প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সৃষ্টি করা হয়, নির্দিষ্ট সময় পর উক্ত ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে; সে সব প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসায়ের কাজ অস্থায়ী কাজ। আবার অনেক সময় স্থায়ী প্রকৃতির প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসায় কিছু কার্য সম্পাদন করতে হয়, যে কার্য স্থায়ী প্রকৃতির নয় এবং এই ধরনের কাজের প্রকৃতি বা স্থায়ীত্ব সংশ্লিষ্ট ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠানের জীবন কালের সাথে সম্পৃক্ত নয় অর্থাৎ এধরনের কাজের স্থায়ীত্ব অনির্ধারিত সময় এবং প্রতিষ্ঠানের জীবন কাল পর্যন্ত অনন্ত সময় চলবে এই ধরনের নয়।

সাধারণত এই ধরনের কাজ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে সীমিত সময়ের জন্য বা সীমা নির্ধারিত সময়ের জন্য অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চলার পর শেষ হয়ে যাবে এমন; নির্দিষ্ট সময় পর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে উক্ত কাজের আর কোন অস্তিত্ব থাকবে না এই ধরনের কাজকে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অস্থায়ী কাজ বলে।

কোন কাজ শুরু হওয়ার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল কিন্তু কোন কারনে শেষ হয়নি অথবা কাজ শুরু হওয়ার পর দেখা যায় একই ধরনের অতিরিক্ত কিছু কাজ বৃদ্ধি পাওয়ায় উক্ত কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়নি; এই ধরনের কাজ যা সময় বৃদ্ধি সাপেক্ষে অতিরিক্ত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ হবে, তাও অস্থায়ী কাজের অর্ন্তভূক্ত হবে।

প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসায় বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Workers Compensation Codes এর শর্ত সাপেক্ষে ৪ ধারার অধীন শ্রেনী বিন্যাসকৃত শ্রমিকদের মধ্যে হতে অস্থায়ী কাজ সম্পাদনের জন্য এক ধরনের শ্রমিক নিয়োগের সুযোগ রয়েছে; এটি হল অস্থায়ী শ্রমিক। এছাড়া বিশেষ অর্থে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Workers Compensation Codes এর ধারা ২৮(৪) মতে সংজ্ঞায়িত চুক্তি ভিত্তিক শ্রমিকও এধরনের কার্য সম্পাদনে নিয়োগ প্রদান করা যায় ৷

গ) সাময়িক কাজ :- প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসায় অনেক সময় এমন কিছু কাজ হয়, যে সব কাজ ঘটনাচক্রে বা দৈবক্রমে অথবা আকস্মিকভাবে ঘটে, এধরনের ঘটে যাওয়া কাজকে সাময়িক কাজ বলে। সাময়িক ঘটনা ঘটে যখন এটা যে ঘটবে এই সম্পর্কে কেউ জানে না অথবা ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারে না। এটা মানব হিসাবনিকাশের বাইরে এবং ইহার আকষর্ণীয় বৈশিষ্ট হচ্ছে অনিশ্চয়তা।

এটা পূর্বাভাস বা অনুমানের সম্পূর্ণ বিপরীত। কোন কিছু যা প্রত্যাশা বা আগে থেকে জানা যায় তা সাময়িক বলা যাবে না। প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসায় সাময়িক কাজ পূর্ব থেকে অনুমান করা যায় না, এধরনের কাজ ঘটনাক্রমে ঘটে। এধরনের কাজের আগমন কখন হবে তা যেমন কেউ জানে না, তেমনি কেউ এধরনের কাজ সম্পর্কে পূর্ব অনুমানও করতে পারে না।

এধরনের কাজ মানুষের হিসাব বহির্ভূত এবং ভবিষ্যত অনিশ্চিত কোন ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট। প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসায় বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর শর্ত সাপেক্ষে ৪ ধারার অধীন শ্রেণী বিন্যাসকৃত শ্রমিকদের মধ্যে হতে সাময়িক কাজ সম্পাদনের জন্য এক ধরনের শ্রমিক নিয়োগের সুযোগ রয়েছে। শ্রমিকের এই ধরনটি হল সাময়িক শ্রমিক ।

ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্ট কাঁচা মালের মৌসুম চলাকালীন প্রতিষ্ঠানে কাজ থাকে, মৌসুম চলে যাওয়ার পর ঘ) মৌসুমী কাজ ঃ- যে সব প্রতিষ্ঠান মৌসুমের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায় জড়িত তাদের বৎসরের নির্দিষ্ট সময়ে প্রতিষ্ঠানে উক্ত কাজের কোন অস্তিত্ব থাকে না। উক্ত মৌসুমের সাথে সংশ্লিষ্ট কাজকে মৌসুমি কাজ বলে।

এখানে উল্লেখ্য যে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোন বৎসরে সাধারণতঃ একশত আশি কর্ম দিবসের অধিক কোন উৎপাদন প্রক্রিয়া চালু থাকে না এবং কেবল মাত্র কোন বিশেষ মৌসুম ছাড়া অন্য কোন সময় অথবা প্রাকৃতিক শক্তির অনিয়মিত ক্রিয়ার উপর নির্ভর করা ছাড়া চালু রাখা যায় না এরূপ কোন কারখানাকে মৌসুমী কারখানা বলিয়া ঘোষণা করতে পারবেন।

সরকার কর্তৃক ঘোষিত এই ধরনের মৌসুমী কারখানার কাজ মৌসুমী কাজ হিসেবে পরিগণিত। প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসায় বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ Workers Compensation Codes এর শর্ত সাপেক্ষে ৪ ধারার অধীন শ্রেণী বিন্যাসকৃত শ্রমিকদের মধ্যে হতে মৌসুমি কাজ সম্পাদনের জন্য এক ধরনের শ্রমিক নিয়োগের সুযোগ রয়েছে। এটি হল মৌসুমি শ্রমিক ।

চুক্তি ভিত্তিক শ্রমিক :- অবসর গ্রহণকারী কোন শ্রমিককে কর্তৃপক্ষ উপযুক্ত মনে করলে পরবর্তীতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিতে পারবেন। চুক্তি ভিত্তিক শ্রমিক বলতে যে সকল শ্রমিকের বয়স ৬০ বছর পূর্ণ হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠান হতে অবসর গ্রহণ করেছে; তাদের প্রতিষ্ঠানের ব্যাবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ইচ্ছা করলে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করতে পারবেন এবং এধরনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রাপ্ত শ্রমিক চুক্তি ভিত্তিক শ্রমিক হিসেবে পরিগনিত হয়।

শ্রম আইনের শর্ত সাপেক্ষে প্রতিষ্ঠানের যে কোন প্রকৃতি ও স্থায়ীত্বের কাজ সম্পাদনে অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানের স্থায়ী, অস্থায়ী, সাময়িক এবং মৌসুমি কাজ সম্পাদনে এই শ্রেণীর শ্রমিক নিয়োগ করা যায়। চুক্তি ভিত্তিক শ্রমিক কখনো স্থায়ী শ্রমিকের মত শ্রম আইনের শর্ত সাপেক্ষে চাকুরী পরিসমাপ্তির সময় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ হতে কোন দীর্ঘমেয়াদী সুযোগ-সুবিধা (চাকুরীর পরিসমাপ্তির পূর্বে নোটিশ বা নোটিশের পরিবর্তে পরিশোধ/ক্ষতিপূরণ/গ্র্যাচুইটি/ভবিষ্য তহবিল ইত্যাদি) দাবী করতে পারে না।

কোন চুক্তি ভিত্তিক শ্রমিককে যে পদে নিয়োগ দেয়া হবে উক্ত পদে সরকারের বা নূন্যতম মজুরী বোর্ডের কোন মজুরী নির্দেশনা না থাকলে প্রতিষ্ঠানের নীতি দ্বারা সংশ্লিষ্ট শ্রমিকের মজুরী নির্ধারণ করা যাবে। চুক্তি ভিত্তিক শ্রমিক চাকুরীতে নিরবিচ্ছিন্নভাবে এক বৎসর অতিবাহিত করলে উৎসব বোনাসের জন্য যোগ্য হবেন এবং শ্রম আইনের শর্ত অনুসারে বোনাস প্রাপ্য হবেন।

চুক্তি ভিত্তিক শ্রমিক ৬০ বছর পূর্ণ (আঠার বৎসর পূর্ণ করেছে এ ধরনের শ্রমিক প্রাপ্ত বয়স্ক শ্রমিক) বিধায় শ্রম আইন অনুসারে প্রাপ্ত বয়স্ক শ্রমিকের শ্রেণীৰ্ভূক্ত। তাই এই শ্রেণীর শ্রমিকের ক্ষেত্রে শ্রম আইন অনুসারে প্রাপ্ত বয়স্ক শ্রমিকের জন্য নির্ধারিত শর্ত ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা (যেমন: কর্মঘন্টা, ছুটি, মজুরী, নিরাপত্তা, কল্যাণমূলক ব্যবস্থা, দূর্ঘটনা কারণে ক্ষতিপূরণ ইত্যাদি;) প্রযোজ্য হবে। কোন ব্যক্তি শ্রমিক কিনা তা নির্ধারণ প্রক্রিয়া :-

শ্রমিক নিয়াগ (স্থায়ী আদেশ) আইন ১৯৬৫ এর ধারা ২(ফ) এ-শ্রমিক-

ক) একজন ব্যক্তিকে শুধুমাত্র তত্ত্বাবধায়ক হিসাবে নিযুক্ত করলে তাকে শ্রমিক হিসাবে গণ্য হবে না, এটা বলা যাবে না। যদি তিনি শ্রমিক নন বলে গন্য করতে হয় তবে তিনি যে কাজ করেন তা মূলত ব্যবস্থাপনা বা প্রশাসনিক প্রকৃতির তা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

খ) কোনো ব্যক্তি ‘শ্রমিক’ কিনা তা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ হল তার দ্বারা সম্পাদিত কাজের মূল প্রকৃতি, তার পদবি কি

এটা নয় ।

গ) কোনো ব্যক্তি শ্রমিক ছিল কিনা সেটি নির্ধারণের ক্ষেত্রে, প্রত্যেক ঘটনার প্রাপ্য স্বাক্ষ্য প্রমাণ বিশ্লেষণের ভিত্তিতে

সমাধান করতে হবে।

Check Also

প্রাচীন বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাস

প্রাচীন বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাস। ২য় পর্ব

প্রাচীন বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাস অত্যন্ত ব্যাপক এবং পৌরাণিক সংস্কৃতির অংশ। বাংলার প্রাচীন ইতিহাস প্রায় ২,৫০০ বছরের বেশির দীর্ঘকাল ধরে পর্যাপ্ত রূপে প্রকট হয়নি। তবে, কিছু ঐতিহাসিক উল্লেখ এবং প্রাচীন সংস্কৃতির উপস্থিতি অনুসারে বাংলার প্রাচীন ইতিহাস অনুশীলন করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *