বাংলাদেশ একটি উত্তর দক্ষিণ এশিয়ান দেশ যা তার ঐতিহ্যবাহি সংস্কৃতি, সুন্দর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, এবং বৈচিত্র্যময় ভূগোলের জন্য পরিচিত। এই দেশের উচ্চ জনসংখ্যা, সামরিক ঐতিহ্য, এবং বৃহত্তর সংস্কৃতি এটিকে একটি অভ্যুদয় স্থান করে। এই আর্টিকেলে, বাংলাদেশের কৃষি সম্পর্কিত সাধারণ জ্ঞান জানব।
বাংলাদেশ সম্পর্কিত ১৫০টি গুরুত্বপূর্ন সাধারণ জ্ঞান
সাধারণ অর্থে, সব ধরনের ফসলকেই শস্য বলে।
শস্য বা ফসল ২ প্রকার → ১. খাদ্যশস্য : (ক্যালরি চাহিদা মেটায়) বাংলাদেশে উৎপাদিত খাদ্যশস্যের মধ্যে ধান, আলু, গম, পাট, চা, ডাল, তেলবীজ এবং মসলা প্রধান। বাংলাদেশে শতকরা ৮০ ভাগ জমিতে খাদ্যশস্য উৎপাদিত হয়। ২. অর্থকরী শস্য বা ফসল : (সরাসরি বিক্রির জন্য উৎপাদন)। যেমন → রেশম, রবার, তামাক, তুলা ইত্যাদি অর্থকরী শস্য বা ফসলের উৎপাদন
পাহাড়ের ঢালে চাষাবাদ করার পদ্ধতিকে বলে জুম। জুম চাষের বিকল্প পদ্ধতি → সল্ট
ফসল উৎপাদনের ভিত্তিতে শস্য বা ফলন ২ প্রকার → ১ রবিশস্য ও ২. খরিপ শস্য
রবিশস্য : আশ্বিন থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত সময়কে রবি শস্য/মৌসুম বলে। এ সময়ের শস্যই রবি শস্য/শীতকালীন শস্য, যেমন → ফুল বা বাঁধাকপি, গাজর, মুলা, লাউ, শিম ইত্যাদি
> শীতকালীন শস্যকে বলা হয় → রবিশস্য
খরিপ শস্য : গ্রীষ্মকালীন শস্যকে খরিপ শস্য বলে। খরিপ শস্য বা মৌসুম ২ প্রকার → ১. খরিপ-১ : চৈত্রমাস থেকে জ্যৈষ্ঠ মাস পর্যন্ত সময়কে খরিপ-১ বলে। ফসলগুলো → করলা, পটোল, কাঁকরোল, পুঁইশাক, মিষ্টিকুমড়া ইত্যাদি। ২. খরিপ-২ : আষাঢ় থেকে ভাঁদ মাস পর্যন্ত সময়কে খরিপ-২ বলা হয়। ফসলগুলো → আমলকী, জলপাই, তাল ইত্যাদি
বাংলার শস্যভাণ্ডার বলা হয় → বরিশালকে
বাংলাদেশের রুটির ঝুড়ি বলা হয় → দিনাজপুরকে
সম্প্রতি বাংলাদেশ কৃষিজমি ইজারা নিয়েছে → সেনেগালের কাছ থেকে
বাংলাদেশে উৎপাদিত খাদ্যশস্য; বাংলাদেশ সম্পর্কিত ১৫০টি গুরুত্বপূর্ন সাধারণ জ্ঞান
শস্য/ফসল | উন্নত জাত |
আলু | ডায়মন্ড, কার্ডিনেল, কুফরী, সিন্দুরী, মিউজিকা নৈনিতাল |
কলা | অগ্নিশ্বর, কানাইবাসি, মোহনবাসি, বিটজবা, অমৃতসাগর, সিঙ্গাপুরি, সবরি |
ভুট্টা | বর্ণালি, শুভ্র, উত্তরণ (ব্র্যাক উদ্ভাবিত) মোহর, সুপার সুইট কর্ন |
গম | বলাকা, দোয়েল, শতাব্দী, অগ্রণী, সোনালিকা, আনন্দ, আকবর, কাঞ্চন, বরকত, জোপাটিকা, ইনিয়া-৬৬ |
ধান | হীরা, ময়না, হরি, সোনার বাংলা, ইরাটম, ব্রিশাইল, চান্দিনাম মালা, সুপার রাইস, মুক্তা, প্রগতি, আশা, বিপ্লব, দুলাভোগ, বাউ-১৬, আলোক-৬২১০, নারিকা-১, সোনার বাংলা-১ প্রভৃতি |
তুলা | রুপালি, ডেলফোজ, সি বি-১০ |
টমেটো | বাহার, মানিক মিন্টো (বাংলাদেশে উৎপাদিত প্রথম হাইব্রিড টমেটো) রতন, ঝুমকা, শ্রাবণী, সিঁদুর, অপূর্ব |
মরিচ | যমুনা, বাংলালঙ্কা |
পুঁইশাক | চিত্রা |
আম | মহানন্দা, মোহনভোগ, ল্যাংড়া, গোপালভোগ, গৌড়মতি (বারোমাসি আম) |
মিষ্টিকুমড়া | হাজি ও দানেশ |
তামাক | সুমাত্রা ও ম্যানিলা |
তরমুজ | পদ্মা, মধুবালা (হলদে জাতের তরমুজ) |
বেগুন | ইত্তরা, শুকতারা, তারাপুরি, সিংনাথ, দোহাজারী ও খটখটিয়া |
বাঁধাকপি | গোল্ডেন ক্রস, কে ওয়াই ক্রস, গ্রিন এক্সপ্রেস, অ্যাটনাম-৭০, ড্রাম হেড |
ফুলকপি | আর্লি স্নোবল, হোয়াইট ব্যারন, ট্রপিক্যাল, রাক্ষুসী, বারী |
সরিষা | সফল, অগ্রণী |
তেলবীজ | সফল, অগ্রণী কিরনী, ডিএস-১ |
সয়াবিন | ব্রাগ, ডেভিস, সোহাগ |
বাংলাদেশের কৃষিজ সম্পদ; বাংলাদেশ সম্পর্কিত ১৫০টি গুরুত্বপূর্ন সাধারণ জ্ঞান
বাংলাদেশের কৃষিজ সম্পদকে ৪টি সেক্টরে ভাগ করা যায়–
শস্য ও শাকসবজি : ধান, গম, আলু, ভুট্টা প্রভৃতি।
প্রাণিজ সম্পদ : পোলট্রি, ডেইরি ফার্ম প্রভৃতি ।
বনজ সম্পদ : হর্টিকালচার, পিসিকালচার, সেরিকালচার, সামাজিক বনায়ন প্রভৃতি ।
মৎস্য সম্পদ : অভ্যন্তরীণ উৎপাদিত মৎস্য এবং সামুদ্রিক মৎস্য।
ধান; বাংলাদেশ সম্পর্কিত ১৫০টি গুরুত্বপূর্ন সাধারণ জ্ঞান
বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যশস্য ধান চাষ করা হয় → আবাদি জমির প্রায় ৭০ ভাগ জমিতে
বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত ধান → বিনা-৮, যা লবণাক্ততা সহ্য করতে পারে।
বাংলাদেশের উৎকৃষ্টমানের ধান হিসেবে বরিশাল ও পটুয়াখালী অঞ্চলের বালাম, দিনাজপুরের কাটারিভোগ, ময়মনসিংহের বিরই এবং নোয়াখালী ও কুমিল্লা অঞ্চলের কালিজিরা ও চিনিগুঁড়া বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি চালকল আছে → নওগাঁ জেলায়
ধান উৎপাদনে পৃথিবীতে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ
আউশ ধান রোপণ করা হয় → জুলাই-আগস্ট মাসে
উত্তরাঞ্চলে ‘মঙ্গার ধান’ বলে পরিচিত → বি-৩৩
একটি দেশজ নতুন জাতের ধান → হরিধান (আবিষ্কারক ঝিনাইদহের হরিপদ কাপালী)
বরিশাল ও পটুয়াখালী অঞ্চলের উৎকৃষ্ট মানের ধান বালাম
যে ধানের চাল ভেজালেই ভাত পাওয়া যায় → অঘনিবোরা
কাটারিভোগ চাল উৎপাদনের বিখ্যাত জায়গা- দিনাজপুর
পাট; বাংলাদেশ সম্পর্কিত ১৫০টি গুরুত্বপূর্ন সাধারণ জ্ঞান
‘সোনালি আঁশ’ বলা হয় → পাটকে। পাটের জিন বিন্যাস আবিষ্কার করেন → ড. মাকসুদুল আলম। বাংলাদেশ পাটের যে কয়টি জেনোমের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে → ৩টি
পাট বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী ফসল। পাট উৎপাদনে ভারত বিশ্বের শীর্ষ দেশ এবং বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়।
শ্রেষ্ঠ পাট বলয় → ময়মনসিংহ-ঢাকা-কুমিল্লা। বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি পাট উৎপন্ন হয় → ফরিদপুর জেলায়।
একটি কাঁচাপাটের গাঁইটের ওজন সাড়ে তিন মণ (৩.৫ মণ)। পাট পচানোর পদ্ধতি → রিবন রেটিং
পাটকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায় ১. সাদা ২. তোষা ও ৩. মেস্তা।
পাট থেকে জুট পলিমার তৈরির পদ্ধতি আবিষ্কারের পথিকৃৎ – বাংলাদেশের বিজ্ঞানী মোবারক আহমদ খান
জুটন (পাট ও তুলার মিশ্রণে তৈরি কাপড়) → ৭০% পাট + ৩০% তুলা [আবিষ্কারক : ড. মোহাম্মদ সিদ্দিকুল্লাহ]
এশিয়ার সবচেয়ে বড় পাটকল ‘আদমজী পাটকল’ বন্ধ হয় → ৩০ জুন ২০০২।
বাংলাদেশে যতটি পণ্যের সংরক্ষণ ও পরিবহণে পাটের ব্যাগ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে → ১৯টি।
(GK) General Knowledge International Affairs; Last Edition 2023
গম; বাংলাদেশ সম্পর্কিত ১৫০টি গুরুত্বপূর্ন সাধারণ জ্ঞান
বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রধান খাদ্যশস্য গম, যা শীতকালে চাষ করা হয়। রংপুর, কুমিল্লা, যশোর, দিনাজপুর, রাজশাহী ও পাবনায় গম বেশি চাষ হয়। দেশের বেশি গম উৎপাদিত হওয়ায় বাংলাদেশের রুটির ঝুড়ি বলা হয় ঠাকুরগাঁও জেলাকে।
ভুট্টা : ব্র্যাক উদ্ভাবিত হাইব্রিড ভুট্টার নাম → উত্তরণ। উত্তরণ, বর্ণালি ও শুভ্র → উন্নত জাতের ভুট্টার নাম। ভুট্টা উৎপাদনে শীর্ষ জেলা → রংপুর।
চা; Recent GK Bangladesh 2023
চা-এর আদি নিবাস চীন। চা বাংলাদেশের দ্বিতীয় অর্থকরী ফসল। বাংলাদেশে ১৮৪০ সালে চট্টগ্রাম শহরের বর্তমান চট্টগ্রাম ক্লাব-সংলগ্ন এলাকায় সর্বপ্রথম একটি চা বাগান প্রতিষ্ঠা করা হয়, যা কুণ্ডদের বাগান নামে পরিচিত। এরপর সর্বপ্রথম বাণিজ্যিকভাবে প্রথম চা চাষ শুরু হয় ১৮৫৭ সালে সিলেটের মালনীছড়ায়, যা বাংলাদেশের প্রথম বাণিজ্যিক চা বাগান হিসেবে গণ্য হয়।
সিলেট অঞ্চলে চা ভালো জন্মানোর কারণ পাহাড় ও প্রচুর বৃষ্টি। দেশ স্বাধীনের পূর্বে সিলেটের সুরমা ভ্যালী ও চট্টগ্রামের হালদা ভ্যালী এই দুইটি স্থানে চা চাষ করা হতো। পঞ্চগড় থেকে ‘অর্গানিক মিনা চা’ সর্বপ্রথম বাজারজাত শুরু করে কাজী অ্যান্ড কাজী টি এস্টেট।
বাংলাদেশের চা সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয় পাকিস্তানে। বাংলাদেশের উৎপাদিত চায়ের রপ্তানি করা হয় ৬৫%। বাংলাদেশে অর্গানিক চা উৎপাদন শুরু হয়েছে পঞ্চগড়ে। বাংলাদেশে প্রথম অর্গানিক চা-এর নাম মীনা চা। বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি চা উৎপন্ন হয় মৌলভীবাজার। বাংলাদেশে উৎপাদিত চা ২ প্রকার। যথা : ১. কালো চা, ২. সবুজ চা। বর্তমানে দেশে চা বাগান ১৬৭টি। চা উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান ১০ম। বিশ্বে চা উৎপাদনে বাংলাদেশ (১৫তম। দেশে চা বাজারজাতকরণের একমাত্র নিলাম বাজার অবস্থিত চট্টগ্রামে । চা পাতায় থাকে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স । বাংলাদেশের চা বোর্ড চট্টগ্রাম ।
আলু; বাংলাদেশ সম্পর্কিত ১৫০টি গুরুত্বপূর্ন সাধারণ জ্ঞান
‘Potato’ এসেছে স্প্যানিশ ‘Patata’ থেকে। বাংলার আলু চাষের পথিকৃৎ → ওয়ারেন হেস্টিংস। আলু বিশ্বের কন্দালজাতীয় ফসল । বাংলাদেশের অতিপরিচিত খাদ্য গোল আলু দেশে আনা হয়েছে → ইউরোপের হল্যান্ড থেকে।
রাবার, আখ, তামাক, তুলা, রেশম, আম; বাংলাদেশ সম্পর্কিত ১৫০টি গুরুত্বপূর্ন সাধারণ জ্ঞান
বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন করপোরেশনের আওতাধীন রবার বাগান ১৬টি। ১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশের প্রথম রবার বাগান করা হয় → কক্সবাজারের রামুতে।
বাংলাদেশে তামাক উৎপন্ন হয় → রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা ও কুষ্টিয়া অঞ্চলে। সবচেয়ে বেশি তামাক উৎপন্ন হয় → রংপুর জেলায়।
বাংলাদেশে তুলা উৎপাদিত হয় → যশোর, দিনাজপুর, রংপুর ও কুষ্টিয়া অঞ্চলে; তবে সবচেয়ে বেশি তুলা উৎপাদিত হয় → যশোর অঞ্চলে । রুপালি ও ডেল ফোজ → উন্নত জাতের তুলা রেশম চাষকে বলা হয় → সেরিকালচার। বাংলাদেশে রেশম উৎপাদিত হয় → রাজশাহী ও বগুড়া অঞ্চলে।
বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম, রংপুর, দিনাজপুর ও রাজশাহী অঞ্চলে ভুট্টার চাষ হয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলে আনারসের চাষ এবং বৃহত্তর ঢাকা অঞ্চলে আলু চাষ হয় সবচেয়ে বেশি।
বাংলাদেশে আখ চাষ বেশি হয় → রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা, ঢাকা ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে।
বাংলাদেশে উৎপাদিত খাদ্যশস্যের মধ্যে ডাল জাতীয় শস্য অন্যতম । ডাল জাতীয় শস্যের মধ্যে মুগ, মসুর, ছোলা, খেসারি ইত্যাদি অন্যতম ৷
বাংলাদেশে উৎপন্ন তৈলবীজের মধ্যে সরিষা, তিল, তিসি, রেড়ি ইত্যাদি প্রধান। সফল, অগ্রণী উন্নত জাতের সরিষা ।মিন্টু বাংলাদেশে উদ্ভাবিত প্রথম হাইব্রিড টমেটো ।
উত্তরা, শুকতারা ও তারাপুরি → উন্নত জাতের বেগুন। ফসল হিসেবে ‘মধুমালা’ বিখ্যাত → হলদে জাতের তরমুজ হিসেবে। সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট → ঈশ্বরদী, পাবনা।
IRDP বলতে বোঝায় → সমন্বিত পল্লী উন্নয়ন কর্মসূচি। বারোমাসি সবজি → লালশাক, বেগুন, ঢ্যাঁড়স। বাংলাদেশে ফসল তোলার ঋতু → ৩টি । যথা : ১. ভাদোই, ২. হৈমন্তিক, ৩. রবি।
‘খনার বচন’ কী? → কৃষি ও আবহাওয়া বিষয়ক উপদেশ ও শ্লোক বাংলাদেশে এ পর্যন্ত কৃষিশুমারি হয় ৫টি। প্রথমটি → ১৯৭৭, দ্বিতীয়টি → ১৯৮৬, তৃতীয়টি ২০০৮, চতুর্থটি→ ১৯৯৭ এবং পঞ্চমটি → ২০১৯।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কারের পূর্বনাম → রাষ্ট্রপতি কৃষি পুরস্কার ভূমিহীন কৃষক/চাষি বলা হয় → যে সকল কৃষকের/চাষির জমির পরিমাণ ১ একরের নিচে। বাংলাদেশের একমাত্র আঞ্চলিক বীজ পরীক্ষাগার অবস্থিত → ঈশ্বরদী, পাবনা
BADC-এর কাজ → কৃষি উন্নয়ন। এটি গাজীপুরের জয়দেবপুরে অবস্থিত। মাটির উর্বরতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে → বায়ুর নাইট্রোজেন । বাতাসের নাইট্রোজেন মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে → পানিতে মিশে মাটিতে শোষিত হওয়ার ফলে।
ইউরিয়া সার উৎপাদন করার প্রধান কাঁচামাল → প্রাকৃতিক গ্যাস উদ্ভিদের বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য → নাইট্রোজেন সার। ফসলের মূল বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য → ফসফরাস সার
স্বর্ণা এক ধরনের জৈব সার, যার বৈজ্ঞানিক নাম ফাইটা হরমোন ইনডিউসার, এটি আবিষ্কার করেন → ড. সৈয়দ আব্দুল খালেক। জাতীয় বীজ পরীক্ষাগার অবস্থিত → গাজীপুর। আর আঞ্চলিক বীজ পরীক্ষাগার অবস্থিত → ঈশ্বরদী, পাবনা
দেশের প্রধান বীজ উৎপাদনকারী সরকারি প্রতিষ্ঠান → BADC (Bangladesh Agricultural Development Corporation.)। বাংলাদেশে গো-চারণের জন্য বাথান আছে → সিরাজগঞ্জ; কেন্দ্রীয় গো-প্ৰজনন খামার অবস্থিত → সাভার। গবাদি পশুতে প্রথম ভ্রূণ বদল হয় → ৫ মে ১৯৯৫ বাংলাদেশ সম্পর্কিত ১৫০টি গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ জ্ঞান
কাটারি ভোগ চাল উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত → দিনাজপুর, দুগ্ধজাত সামগ্রীর জন্য বিখ্যাত লাহিড়ীহাট অবস্থিত → পাবনায়। বাংলাদেশের বিখ্যাত ছাগলের জাত → ব্ল্যাক বেঙ্গল। বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের চামড়ার পরিচিতি → কুষ্টিয়া গ্রেড নামে। বাংলাদেশের একটি জীবন্ত জীবাশ্মের নাম → রাজকাঁকড়া। যে সকল কৃষকের নিজেদের জমির পরিমাণ এক একরের নিচে তাদের বলা হয় → ভূমিহীন চাষি
পানি সম্পদ; বাংলাদেশ সম্পর্কিত ১৫০টি গুরুত্বপূর্ন সাধারণ জ্ঞান
সবচেয়ে বড় পানি শোধনাগার → সায়দাবাদ, ঢাকা। বাংলাদেশে মোট পানি শোধনাগারের সংখ্যা- ৪টি। বাংলাদেশের প্রথম পানি শোধনাগার → চাঁদনিঘাট, ঢাকা । বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড → ১৯৫৯ সালে গঠিত হয় । UNCLOS অনুযায়ী মহাসমুদ্রগুলো ও তাদের সম্পদের টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করা, যা ‘The Future We want এর ১৪ তম গোল’স অনুযায়ী সামুদ্রিক সম্পদ ও টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করা।
BFDC-এর পূর্ণরূপ -> Bangladesh Fisheries Development Corporation। বাংলাদেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র → হালদা নদী। সরকার ঘোষিত দেশের প্রথম মৎস্য অভয়াশ্রম → হাইল হাওর (শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার)। বাংলাদেশের প্রধান জলজসম্পদ → মাছ ও পানি। পিসিকালচার হলো → মৎস্যচাষ। Thurst Sector হলো → হিমায়িত খাদ্য।বাংলাদেশ সম্পর্কিত ১৫০টি গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ জ্ঞান
মাছ আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যে প্রাণিজ আমিষের জোগান দেয় → ৬০%। দেশে দৈনিক মাথাপিছু মাছ সরবরাহের পরিমাণ → প্রায় ২৮ গ্রাম। কুয়েত সিটি হিসেবে পরিচিত → খুলনা অঞ্চল (চিংড়ি চাষের জন্য)। তিস্তা বাঁধ অবস্থিত → লালমনিরহাটে। ডিএনডি (DND) প্রকল্প → ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, ডেমরা প্রকল্প।
ফারাক্কা বাঁধ চালু হয় → ১৯৭৫ সালে। ফারাক্কা বাঁধ বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে → ১৬.৫ কি.মি. দূরে অবস্থিত বাংলাদেশের মানুষের জন্য আর্সেনিকের গ্রহণযোগ্য মাত্রা → ০.০৫ মিলিগ্রাম/লিটার। World Health Organization (WHO)-এর মতে, আর্সেনিকের গ্রহণযোগ্য মাত্রা → ০.০১ মিলিগ্রাম/লিটার।বাংলাদেশ সম্পর্কিত ১৫০টি গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ জ্ঞান
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট : প্রধান কার্যালয় ময়মনসিংহে অবস্থিত। প্রশাসনিকভাবে এটি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। পরিবেশ এবং মৎস্য সম্পদের প্রকৃতি অনুযায়ী দেশের ১০টি এলাকায় ইনস্টিটিউটের ৫টি গবেষণা কেন্দ্ৰ ও ৫টি উপকেন্দ্র রয়েছে। অবস্থানসহ ৫টি গবেষণা কেন্দ্রের নাম-
বাংলাদেশের মৎস্য সম্পদ; বাংলাদেশ সম্পর্কিত ১৫০টি গুরুত্বপূর্ন সাধারণ জ্ঞান
BFDC-এর পূর্ণরূপ Bangladesh Fisheries Development Corporation। দেশে দৈনিক মাথাপিছু মাছ সরবরাহের পরিমাণ → প্রায় ২৮ গ্রাম। ‘পিসিকালচার’ হলো → মৎস্য চাষ। বর্তমানে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের সদর দপ্তর → দিঘারকান্দা, ময়মনসিংহে অবস্থিত।বাংলাদেশ সম্পর্কিত ১৫০টি গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ জ্ঞান
মাছ আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যে প্রাণিজ আমিষের জোগান দেয় ৬০% & পিরানহা → এক ধরনের রাক্ষুসে মাছ। White Gold (সাদা সোনা) বাংলাদেশের চিংড়ি সম্পদ ‘Thurst Sector’ হলো হিমায়িত খাদ্য। মুখে ডিম রেখে বাচ্চা ফুটায় → তেলাপিয়া মাছ চিংড়ি ২ প্রকার । যথা : ১. বাগদা ও ২. গলদা। বাগদা চিংড়ির চাষ হয় → লোনা পানিতে
বাগদা চিংড়ির বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ শুরু হয় ১৯৭৬ সাল থেকে বাগদা চিংড়ি রপ্তানি পণ্য হিসেবে তালিকাভুক্ত হয় → আশির দশক থেকে। গলদা চিংড়ির চাষ হয় → স্বাদু পানিতে। ‘দুবলার চর’ বিখ্যাত → মাছ ও শুঁটকির জন্য। ‘কুয়েত সিটি’ হিসেবে পরিচিত → খুলনা অঞ্চল (চিংড়ি চাষের জন্য)। Fisheries Training Institute’ অবস্থিত- চাঁদপুরে
‘Bangladesh Fisheries Research Institute’ অবস্থিত ময়মনসিংহ [প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৪ সালে]। বাংলাদেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী সরকার ঘোষিত দেশের প্রথম মৎস্য অভয়াশ্রম → হাইল হাওর (শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার) । পুকুরে যে মাছ বাঁচে না → ইলিশ। বাংলাদেশের মৎস্য আইনে রুই জাতীয় মাছের পোনা মারা নিষেধ → ২৩ সেন্টিমিটারের কম দৈর্ঘ্যের
বাংলাদেশের পানি শোধনাগার : বাংলাদেশে মোট পানি শোধনাগারের সংখ্যা ৪টি। সবচেয়ে বড় পানি শোধনাগার সায়দাবাদ, ঢাকা। বাংলাদেশের প্রথম পানি শোধনাগার চাঁদনীঘাট, ঢাকা। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ১৯৫৯ সালে গঠিত হয়।
পানি শোধনাগার | নির্মাণকাল | অন্যান্য তথ্য |
চাঁদনীঘাট, ঢাকা | ১৮৭৪ খ্রি. | বাংলাদেশের প্রথম পানি শোধনাগার |
সোনাকান্দা, নারায়ণগঞ্জ | ১৯২৯ খ্রি. | |
গোদানাইল, নারায়ণগঞ্জ | ১৯৮৯ খ্রি. | |
সায়েদাবাদ, ঢাকা | ২০০২ খ্রি. | বাংলাদেশের বৃহত্তম পানি শোধনাগার |
সেচ প্রকল্প, বাঁধ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ
বাংলাদেশের প্রথম সেচ প্রকল্প | ১৯৫৪ সালে স্থাপিত গঙ্গা-কপোতাক্ষ |
তিস্তা বাঁধ অবস্থিত | লালমনিরহাট জেলায় |
বাংলাদেশ সম্পর্কে জানা আমাদের জাতীয়তাবোধকে আরও শক্তিশালী করে। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশ সম্পর্কিত ১৫০টি গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ জ্ঞান সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনেছি। এই জ্ঞান আমাদের দেশকে আরও ভালভাবে বুঝতে এবং এর উন্নয়নে অংশগ্রহণ করতে সাহায্য করবে। আশা করি এই আর্টিকেল পাঠকদের বাংলাদেশ সম্পর্কে আরও জানতে উৎসাহিত করবে এবং তাদের জ্ঞানের ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করবে।
Hot Deals at Aliexpress https://s.click.aliexpress.com/e/_DldnjaJ
https://resheniezadachmarketing.ru/