কেট নজেল Rocket Science এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও জটিল অংশ। কম্বাশন চেম্বার থেকে গরম গ্যাস থ্রাস্ট আকারে নির্গত হওয়ার সময় নজেল 3200°C এর অধিক গরম হয়ে যায়। ফলে যেকোনো সময় নজেল ক্ষয় হয়ে যেতেপারে । এর সমাধান হিসেবে বিজ্ঞানীরা নজেলের দেয়ালের মাঝ অংশ ফাপা তৈরি করেন এবং এর এক প্রান্তে ঠান্ডা Liquid oxygen প্রবেশ করানো হয় এবং নজেলের তাপ শোষণ করে অপর প্রান্ত থেকে সরাসরি কম্বাশন চেম্বারে দহনের জন্য চলে যায়। Rocket Sciencce First Content
Fuel Injector Basic But Easy Rocket Science
রকেট নজেলের অভ্যন্তরীন উপর অংশের পিতলের তৈরী বাল্বের ন্যায় যন্ত্র টি হলো Fuel Injector বা, Fuel Jet এই Injector গুলো কম্বাশন চেম্বারে দ্রুত গতিতে জ্বালানী পাঠানোর কাজ করে। এটি শুধু মাত্র তরল জ্বালানী রকেটের ক্ষেত্রে Fuel ও Oxidizer স্প্রের কাজ করে।
COAXIAL INJECTORS
Gimbaled Nozzle Basic But Easy Rocket Science
রকেট এর দিক পরিবর্তন করতে রকেট নজেল কে বিভিন্ন দিকে ভাজ করার প্রয়োজন হয়। রকেট নজেল কে ভাজ করার জন্য Hydraulic Actuator ব্যবহার করা হয়। যা, একটি সিলিন্ডারের ন্যায় উচ্চচাপ শক্তি প্রদানকারী পিস্টন।
গিম্বেল নজেল পরিচালনার জন্য দরকার hydraulic actuator এবং hydraulic actuator পরিচালনার জন্য দরকার compressed air যা,
Air compressor pump যন্ত্র দিয়ে বাতাস কে ঘনীভূত করে compressed air তৈরী করা হয়। hydraulic actuator এক প্রকার বাতাস নিরোধক সিলিন্ডার যার ভিতরে actuator বা পিস্টন রড নামক লোহার দন্ড থাকে। এই সিলিন্ডারের এক প্রান্তে Air compressor pump দ্বারা উচ্চ চাপে বাতাস প্রবাহ করলে সিলিন্ডারের ভিতর থেকে পিস্টন রড বের হয়ে আসে যা উচ্চ পরিমান চাপ শক্তি প্রদান করতে পারে। একে Hydraulic push বলে এর একক [psi]। একটি hydraulic actuator এ Compressor pump দ্বারা যতটুকু Air pressure দেয়া হয় ঠিক ততটুকুই চাপ পিস্টন রড ফলাফল হিসেবে প্রদান করে। অর্থাৎ 3000 psi compressed air Pressure দিলে পিস্টন রড 3000 psi hydraulic push দিবে।
রকেটের স্থিতিশীলতা Rocket Science
Drag:- গতিশীল বাতাসের সাথে কোনো বস্তুর পৃষ্ঠতলীয় ঘর্ষন বা, কাঠামোগত কারনে বস্তুর উপর সৃষ্ট চাপ কে Drag বলে।
Drag Rocket Science দুই প্রকারঃ–
১) যদি বায়ুর ক্ষেত্রে হয় তাকে Aerodynamic force বলে। ২) যদি তরলের ক্ষেত্রে হয় তাকে Hydrodynamic force বলে। সহজ ভাষায় Drag বলতে বুঝায় কোনো গতিশীল বস্তুর পিছু টান। কিন্তু এই পিছু টান কিভাবে সৃষ্টি হয়?
মূলত ২ টি কারনে এই পিছু টান সৃষ্টি হয়।
★(Frictional force) যেকোনো কাঠামোর মাইক্রোসকপিক সার্ফেস বা, পৃষ্ঠতলের সাথে বাতাসের ঘর্ষনের ফলে।
★(Pressure stress) কাঠামোর নিচে কিংবা পাশে বাতাসের চাপে
Cp চাপ কেন্দ্ৰঃ- কোনো উড়ন্ত বস্তু/রকেটের যে, বিন্দুতে
অনাকাঙ্ক্ষিত বল সৃষ্টির ফলে।
Aerodynamic force ক্রিয়া করে তাকে cp বলে।
Pressure
CG অভিকর্ষের কেন্দ্রঃ- বস্তুর/রকেটের সমগ্র ওজনের মধ্যবিন্দু। COM (Center Of Mass) হিসেব করে
CG নির্ধারন করা হয়।
বিমান বা, রকেট উড়ার ৪ টি নীতি, Rocket Science
Lift, Thrust, Drag, Weight একে Four principles of flight বলে। প্লেন কিংবা রকেট Thrust সৃষ্টি করে যথাক্রমে সামনে কিংবা উপরে ওঠার সময় Aerodynamic Drag এর (Frictional force) এর ফলে পিছুটানের সৃষ্টি হয়। যখন Thrust = Drag হয় প্লেন কিংবা রকেট গতিশীল থাকে। বিমান বা, রকেট ইঞ্জিন দ্বারা সৃষ্ট থ্রাস্টের ফলে উর্দ্ধোমূখী অগ্রসর হয়। কোনো বস্তু উড়ার জন্য তার Weight = Lift
হতে হয়।
রকেট লঞ্চের পর উড্ডয়মান অবস্থায় হালকা বাতাস যথেষ্ট ক্ষমতা রাখে এত বড় রকেটের গতি ও দিক পরিবর্তন করে দেওয়ার। রকেট যখন বাতাস স্তরে
(Wind layer) পৌছে যায় তখন রকেটের ফিনের উপর বাতাস Aerodynamic force এর Pressure stress ক্রিয়া করে।
যার ফলে রকেটের yaw angle বৃদ্ধি পায় ও বাতাস প্রবাহের দিকে হেলতে শুরু করে। এবং রকেট Unstable হয়ে যায়। দ্রুত stable না করা গেলে Yaw angle বৃদ্ধি পেতে পেতে রকেট Nose ভূপৃষ্ঠমূখী হয়ে মাটিতে পতিত হবে। তাৎক্ষণিক রকেট কে Stable করার জন্য রকেট Fin ও Thrust vector control gimbaled nozzle ব্যবহার করা হয়। রকেট যেদিকে হেলে পরে তার বিপরীত দিকে Fin ও nozzle ঘুরে যায় ফলে রকেট আবার Stable হয়ে যায়। এই পুরো প্রক্রিয়া কম্পিউটার দ্বারা স্বনিয়ন্ত্রিত। কিন্তু কিভাবে কাজ হয় এই পক্রিয়া? এর উত্তর হলো রকেটের অভ্যন্তরে Gyroscope থাকে এই Gyro অতি ক্ষুদ্র ঘূর্ণন (rotational motion) ও কৌণিক বেগ (angular velocity) কে অতি দ্রুত পরিমাপ করতে পারে। যেমনঃ- Degree per second (/s) এই Gyro value কম্পিউটার বা রকেটের বিশেষ Flight controller বিশ্লেষণ করে Fin ও Gimbaled nozzle কে নির্দিষ্ট পরিমান বিপরীত Angle এ ঘুরতে নির্দেশ দেয়। মোটকথা Gyro এর কাজ রকেট কে 90° করার জন্য flight controller কে সাহায্য করা।
Cold Gas Thruster Rocket Science
Cold gas thruster খুবই সহজ একটি Propulsion system বা থ্রাস্ট সৃষ্টিকারী যন্ত্র যা, পরিচালনা করতে কেবলমাত্র জ্বালানী ট্যাঙ্ক, রেগুলেটর ও থ্রাস্ট নজেল প্রয়োজন হয়। রকেটের কক্ষপথ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এই থ্রাস্টার ব্যবহার করা হয় কারন এটি খুবই কম খরচে পরিচালনা করা যায় ও সেকেন্ডের মধ্যে থ্রাস্ট প্রদান ও বন্ধ করতে পারে তাও আবার, কোনো প্রকার ইগনিশন ব্যাতীত। কারন এই প্রক্রিয়ায় জ্বালানী কোনো প্রকার বিক্রিয়া করে
না। এই পদ্ধতিতে উচ্চচাপ সহনশীল ট্যাঙ্কে Pressurized Gas জ্বালানী হিসেবে সংরক্ষন করা হয় এবং ট্যাঙ্ক ও নজেলের মধ্যবর্তী স্থানে লাগানো রেগুলেটর ব্যবহার করে থ্রাস্ট চালু, বন্ধ ও প্রয়োজন মতো হালকা থ্রাস্ট দেয়া যায়।
Fuel Tank Rocket Science
Isp হলো Mass specific impulse বা, Thrust flow এর পরিমাপ। গাণিতিক ভাবে Isp হলো নির্দিষ্ট পরিমান জ্বালানী প্রবাহের ফলে প্রতি সেকেন্ডে সৃষ্ট থ্রাস্টের অনুপাত। বেশির ভাগ থ্রাস্টারে জ্বালানী হিসেবে Xenon ব্যবহার করা হয় যা, রাসায়নিকভাবে জড়, বর্ণহীন ও গন্ধহীন। এছাড়াও উপরোক্ত চার্টের মৌল গুলো ব্যবহার করার পাশাপাশি জড় গ্যাস Krypton (Kr), Argon (Ar) ব্যবহার করা যেতে পারে। SpaceX এর রকেট ভূপৃষ্ঠে আসার ক্ষেত্রে প্রথমে অভিকর্ষজ টানে ভূপতিত হতে থাকে। মুক্ত ভাবে
ভূপতিত হওয়ার সময় রকেটের কক্ষপথের পরিবর্তন ঘটে। যেহেতু রকেটের ইঞ্জিন বন্ধ থাকে তখন রকেট এর কক্ষ পথ ঠিক রাখার জন্য এই থ্রাস্টার বহুল ব্যবহৃত হচ্ছে।
রকেট লঞ্চ প্যাড Rocket Science
রকেট ইগনিশনের ফলে সৃষ্ট উচ্চ কম্পাংক বিশিষ্ট শব্দ ও অতিরিক্ত চাপ দমন করার জন্যই বিশেষ লঞ্চ প্যাড ব্যবহার করা হয়। যখন রকেট ইগনাইট করা হয় সাথে সাথেই তীব্র শক্তি বা, থ্রাস্ট নিচের দিকে ধাক্কা দিতে শুরু করে। যার ফলে নিচে থাকা যেকোনো কিছু ধ্বংস হয়ে যায়। পাশাপাশি উচ্চ কম্পাংক বিশিষ্ট Up-to 200db শব্দ সৃষ্টি হয়। বলতে গেলে একপ্রকার মানব সৃষ্ট দূর্যোগ যার ফলে জনগনের ক্ষতি না হলেও ও বিরাট আর্থিক ক্ষতি হয় রকেট গবেষনা কোম্পানী গুলোর। আর এই সমস্যা সমাধানের জন্য বিজ্ঞানীরা রকেট লঞ্চ প্যাড সিস্টেম উন্মোচন করেন। লঞ্চ প্যাডের প্রধান হলো বিশাল আকার জলের ট্যাঙ্ক যা, প্রায় ৪০০,০০০ গ্যালন জল ধারন করতে পারে। যখন রকেট ইগনাইট করা হয় তখন বিশাল পাম্পের সাহায্যে রকেট নজেলের কিছুটা নিচে মাত্র ৩০ সেকেন্ডে সব জল ফেলা হয়।
Launch Control Centre (LCC) Rocket Science
NASA এর LCC ৪তলা বিশিষ্ট
একটি ভবন যা Merrit Island, Florida
তে অবস্থিত। LCC মৌলিক ভাবে
Telemetry (রকেটের যন্ত্র, নভোচারী,
সিস্টেম কন্ডিশন, তাপমাত্রা, জ্বালানীর
পরিমান সহ সকল তথ্য পর্যবেক্ষন পদ্ধতি), Tracking (রকেট লঞ্চের পর এর অবস্থান চিহ্নিত করন) ও Rocket ignition পরিচালনা কেন্দ্ৰ ৷
Rocket Science LCC মোট ১৫ টি সেক্টরে বিভক্তঃ– এর মধ্যে রকেট লঞ্চের পূর্বে ৪ টি সেক্টর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
1) Launch director (LD):- এই সেক্টরের ইন্জিনিয়াররা রকেট ইগনিশনের প্রধান দ্বায়িত্ব পালন করে। preflight checkers engineer দের থেকে রকেটের সকল তথ্যাবলী অর্থাৎ ইন্জিন, সফটওয়্যার, নভোচারী, জ্বালানীর পরিমান, লঞ্চ প্যাডে পানি সরবরাহের পরিমান, তাপমাত্রা, ইলেক্ট্রনিক্স রেসপন্স ঠিক আছে সংকেত পেলে Control room এর ইন্জিনিয়ারদের রকেট ইগনিশন এর অনুমতি প্রদান করে।
2)Control room:- কন্ট্রল রুমের ইন্জিনিয়াররা LD এর ‘GO’ command পেলে রকেট ইগনিশন এর দ্বায়িত্ব পালন করে।
3)Flow director (FD):- একজন flow director হিসেবে মহাকাশযান বা, রকেট লঞ্চ এর সকল প্রস্তুতি পর্যবেক্ষন ও পরিচালনার দ্বায়িত্ব একক ব্যাক্তিকে গ্রহন করতে হয়। (অর্থাৎ রকেটের কোনো ক্ষতি হলে সর্বোপ্রথম তাকেই এর দোষ ঘাড়ে নিতে হবে এবং এর কারন বের করতে হবে) এছাড়াও তাকে LCC এর একজন পরামর্শক এর দ্বায়িত্ব পালন করতে হয়।
4)NASA Test Director (NTD):- এই সেক্টরের সকল কর্মকর্তারা preflight checkers engineer অর্থাৎ আবহাওয়া, পানির ট্যাঙ্ক, বিদ্যুৎ সরবারহ থেকে শুরু করে রকেট গবেষণা কেন্দ্রের সমস্ত খুটিনাটি যেমনঃ- নভোচারীর স্পেস সুট, স্পেস সাটল, রকেট বুস্টার, জ্বালানী ট্যাঙ্ক ও অনান্য সকল গ্রাউন্ড সাপোর্ট সরঞ্জাম পরীক্ষার জন্য দায়বদ্ধ। এছাড়াও রকেটে জ্বালানী পূর্ন করার পর লঞ্চ প্যাডে থাকা সমস্ত কর্মীদের নিরাপত্তার জন্য স্থান ত্যাগে সতর্ক করার দ্বায়িত্বও NTD পালন করে।
5) Orbiter Test Conductor (OTC)
6) Tank/Booster Test Conductor (TBC) 7) Payload Test Conductor (PTC)
8)Launch Processing System Coordinator (LPS) 9) Support Test Manager (STM)
10) Safety Console Coordinator (SAFETY) 11) Shuttle Project Engineer (SPE)
12) Landing and Recovery Director (LRD) 13) No Landing and Recovery Director (NLRD) 14) Superintendent of Range Operations (SRO) 15) Ground Launch Sequencer Engineer (CGLS)
NASA ২০২১ এর Artemis 1 প্রকল্পের জন্য তাদের LCC কে Space Launch System (SLS) হিসেবে সংস্করণ করেছে।
Rocket Science SLS তৈরীর উদ্দেশ্যঃ- অকল্পনীয় ভাড়ী রকেট লঞ্চ প্যাড
প্রকল্পের খরচঃ- $18.6 billion US dollar বা, ( 1,577,088,234,000) ১ লক্ষ ৫৭ হাজার ৭০৮ কোটি ৮২ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকা।
• পরিচর্চায় বার্ষিক খরচঃ- $2 billion US dollar বা, (169,579,380,000) ১৬ হাজার ৯৫৭ কোটি ৯৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা।
প্রতিবার রকেট লঞ্চের খরচঃ- $2.5 billion US dollar বা, (211,974,225,00০) ২১ হাজার ১৯৭ কোটি ৪২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা।
• উচ্চতাঃ- 111.25m ( 365 ft)
• উদ্বোধনঃ- ৪ নভেম্বর ২০২১
২) রকেট যে, দিকে লঞ্চ করা হয় সেদিকেই যেতে থাকে।
৩) রকেট বায়ুমন্ডল ও বায়ুশূন্য মহাকাশে চলতে সক্ষম।
৪) রকেটের Nose payload সেক্টরে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, স্যাটেলাইট, খাদ্য সামগ্ৰী, নভোচারী থাকে।
৫) রকেট ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে কাজ করতে পারে।
২) মিসাইল বিশেষ দিকনির্দেশক যন্ত্রের সাহায্যে লক্ষ্য বস্তুকে ধাওয়া করে।
৩) মিসাইল শুধুমাত্র বায়ুমন্ডলে চলতে সক্ষম।
৪) মিসাইলের Nose payload সেক্টরে বিষাক্ত / বিস্ফোরক রাসায়নিক দ্রব্য থাকে।
৫) কিন্তু মিসাইল মহাকাশযান হিসেবে কাজ করতে পারে না ।
জেনে রাখি Rocket Science
1. Thrust কী?
উত্তরঃ- ইন্জিন দ্বারা উৎপাদিত যে, শক্তি কোনো বস্তুকে সামনের দিকে অগ্রসর করে তাকে
Thrust বলে।
২. রকেট ইঞ্জিনে উৎপন্ন Thrust কিসের ভিত্তিতে পরিমাপ করা হয়?
উত্তর:- Pound
৩. Thrust এর বিপরীত কী?
উত্তরঃ- Nose dive (রকেট এর ক্ষেত্রে)
8. Propulsion system কী?
উত্তরঃ- যে যন্ত্র কোনো বস্তুকে গতিশীল করতে Thrust উৎপন্ন করে তাকে Propulsion system বলে।
৫. Propellant tank কী?
উত্তরঃ- জ্বালানী ব্যবহার করে শক্তি উৎপাদনকারী যন্ত্রের জ্বালানী পরিবাহক কে Propellant tank বলে।
৬. Payload কী?
উত্তরঃ- রকেটের বহন ক্ষমতা কে payload বলে
৭. Space Shuttle কী?
উত্তরঃ- রকেটের সাথে যুক্ত বিশেষ প্লেন যা, মানুষ ও বিভিন্ন পন্য সামগ্রী নিয়ে মহাকাশে যাত্রা করে ও পূনরায় ফিরে আসে।
৮. Space Suit কী? ও এর কাজ কী?
উত্তরঃ-মহাকাশচারীদের সাময়িক সুরক্ষা প্রদানকারী পোশাক যা, নভোচারীকে অক্সিজেন, ভেনডিলেশন ও পানি সরবারহ করে। একে Primary Life Support System (PLSS) ও
বলা হয়।
৯. ১ টি Space suit বানাতে কত খরচ হয়?
উত্তরঃ- $150 million US dollar বা, (12,688,68000) ১ হাজার ২৬৮ কোটি ৮৬ লক্ষ্য ৮ হাজার টাকা।
10. Thermal protection system কী?
উত্তরঃ- Space shuttle পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে প্রবেশের সময় বাতাসের ঘর্ষনের ফলে (3000°F) পর্যন্ত তাপমাত্রা সৃষ্টি হয়। এই অতিরিক্ত তাপমাত্রা থেকে Space shuttle কে রক্ষা করতে তাপ নিরোধক পদার্থ ব্যবহার করা হয় একে Thermal protection system বলে।
১১. TPS এর পুর্নরূপ কী?
উত্তরঃ- Thermal protection system
১২. TPS এর আদর্শ উপাদান কী?
উত্তরঃ- ক) Stainless Steel তাপ বাধাদানকারী উপাদান খ) Ceramic coating তাপ স্থানান্তরকারী উপাদান। ১৩. তরল জ্বালানী রকেটের জ্বালানী হিসেবে কি ব্যবহার করা হয়? উত্তরঃ- Ethanol অথবা Hydrogen অথবা Kerosene ১৪. তরল জ্বালানী রকেটের জারক হিসেবে কি ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ- Liquid Oxygen
১৫. সারাবিশ্বে মোট কতটি মহাকাশ গবেষনা কেন্দ্র আছে?
রয়েছে।
উত্তরঃ-বাংলাদেশের SPARRSO সহ সারাবিশ্বে প্রায় ১২০ টি মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্ৰ
১৬. TVC কী?
উত্তরঃ- Thrust vector control (গিম্বেল রকেট নজেল ব্যবহার করে দিক পরিবর্তন
১৭. NASA এর পূর্নরুপ কী?
উত্তরঃ- National Aeronautics & Space Administration.
১৮. NASA কখন প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তরঃ- ১, অক্টোবর ১৯৫৮
১৯. সর্বোপ্রথম কোন কোম্পানি পূনঃব্যবহার করা যায় এমন রকেট আবিষ্কার করে?
উত্তরঃ- SpaceX
২০. SpaceX এর মালিক কে?
উত্তরঃ- Elon Musk (বর্তমান বিশ্বের ১ম ধনী
২১. রকেট ইগনিশনের পর এর নজেল কত ডিগ্রি পর্যন্ত গরম হয়?
উত্তরঃ- 3200°C
২২. পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে মহাকাশ কত দূরে?
উত্তরঃ- (FAI) এর তথ্য মতে প্রায় ১০০ কিলোমিটার।
২৩. মহাকাশ কক্ষপথে প্রবেশের জন্য একটি রকেট কে কত বেগ অর্জন হয়?
উত্তরঃ- 28000kmph
২৪. একটি নতুন রকেট উন্মোচন এর ক্ষেত্রে প্রাথমিক ভাবে কয়টি ধাপে ডিজাইন শুরু করা হয়?
উত্তরঃ- ২ টি
ক) Structure system খ) Propulsion system
২৫. রকেট/মিসাইল Nose কয় প্রকার?
উত্তরঃ- ৩ প্রকার
ক) Cone খ) Parabolic cone গ) Elliptical cone
২০১৮-২০২০ BSRA কতৃক উন্নয়ন কৃত বুস্টার রকেট Tr57D
*নিচের রকেট টি অনেকটা মিসাইলের মতো দেখতে হলেও এটি হলো বুস্টার রকেট। কিন্তু তবুও মিসাইল এর মতো দেখতে কেনো সবার মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে।
তাদের জন্য উত্তর হলো বুস্টার রকেটে ফিন থাকে না কিন্তু এটাতে ফিন আছে কারন এটার থ্রাস্ট ভেক্টরিং নজেল নেই তাই স্টাবিলাইজেশনের জন্য ফিন ব্যবহার করতে হয়েছে ফলে এটি দেখতে মিসাইল এর মতো লাগছে।
*বুস্টার রকেট টির সাথে যোগাযোগ স্থাপন করার জন্য রকেটের অভ্যন্তরে Status Collecting House আছে। এই house এর প্রধান হলো একটি
Rocket Science Flight Controller Board. a board বিভিন্ন সেন্সর নিয়ে গঠিত যেমনঃ-
Gyroscope, Barometer, Compass,
Altitude meter যার মাধ্যমে flight controller রকেটের অক্ষ, বাতাসের চাপ, দিক ও উচ্চতা নির্ধারন করে সকল তথ্যাধী টেলিমেটরি (Air unit) ব্যবহার করে ভূপৃষ্ঠের ground station বা আমাদের ল্যাপটপ এ লাগানো টেলিমেটরি (Ground unit) এ পাঠাবে। এবং আমরা সব কিছু নিচ থেকেই মনিটরিং করতে পারবো।
*রকেট Nose এর একদম উপরের দিকে রয়েছে Flight controller 3 3.7v একটি ব্যাটারি এবং নিচের দিকে 5 Megapixel ক্যামেরা যা রকেট লঞ্চের ভিডিও ও সাউন্ড রেকর্ড করবে।
*বুস্টার রকেট টি স্টেবল রাখার জন্য ৩ টি ফিন যুক্ত করা হয়েছে। এবং পটাশিয়াম নাইট্রেট থেকে উৎপন্ন Thrust ত্বরান্বিত করতে আ্যালমুনিয়াম ও সিরামিক দ্বারা তৈরি নজেল ব্যবহার করে হয়েছে। বাংলাদেশে প্রথমবার তৈরি রকেটের কাঠামোগত জটিলতা এড়ানোর জন্য ” Gimbaled Nozzle Stabilization” ও “Landing & Recovery Parachute System” উপেক্ষা করা হয়েছে। সুতরাং উক্ত রকেট টি দ্বারা শুধু মাত্র Real time research করা সম্ভব। Future Plan:- ইতিমধ্যে Gimbaled Nozzle প্রস্তুত হয়ে গেছে এবং রকেট টি ২ টি স্টেজ নিয়ে গঠিত হবে। Parachute system থাকবে ফলে রকেট টি অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা
যাবে।