Recent GK Bangladesh 2024 বাংলাদেশ বিষয়াবলির ৪র্থ অংশে আমরা বাংলাদেশের জনসংখ্যা, আদমশুমারি বাংলাদেশের আদিবাসী, ধর্ম ও সংস্কৃতি সম্পর্কে 47 BCS, Primary, NTRCA Job Preparation এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানব। ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশ বিষয়াবলি মনে রাখতে ১ম, ২য়, ও ৩য় রিটেন টিউটরিয়াল পড়ে আসতে পারেন।
বাংলাদেশের জনসংখ্যা Recent GK Bangladesh 2024
৩৫-তম BCS প্রিলি. প্রশ্নোত্তর ৪৪তম বিসিএস
- বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সংখ্যা ৪৮ [নোট : গেজেট অনুসারে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সংখ্যা ৫০টি]
- বাংলাদেশে প্রথম আদমশুমারি (জনগণনা) কবে অনুষ্ঠিত হয়? → ১৯৭৪ সালে
৪৩তম বিসিএস Recent GK Bangladesh 2023
- নিপোর্ট (NIPORT) কী ধরনের গবেষণা প্রতিষ্ঠান? → জনসংখ্যা গবেষণা
- ওঁরাও জনগোষ্ঠী কোন অঞ্চলে বসবাস করে? → রাজশাহী-দিনাজপুর
৪২তম বিসিএস
- প্রতিবছর কোন তারিখে বাংলাদেশ জাতীয় জনসংখ্যা দিবস পালন করা হয়? → ২ ফেব্রুয়ারি
৪১তম বিসিএস
- কোন উপজাতিটির আবাসস্থল ‘বিরিশিরি’ নেত্রকোনায়? → গারো
৪০তম বিসিএস
- বাংলাদেশে প্রথম আদমশুমারি অনুষ্ঠিত হয় → ১৯৭৪ সালে
- ‘গারো উপজাতি’ কোন জেলায় বাস করে? → ময়মনসিংহ
৩৮তম বিসিএস
- বাংলাদেশের প্রথম আদমশুমারি হয় → ১৯৭৪ সালে
- বাংলাদেশ ইকোনমিক রিভিউ ২০১৬ অনুসারে বাংলাদেশের শিশুমৃত্যু হার (প্রতি হাজার জীবিত জন্মে) → ৩০ জন [বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা-২০২২ অনুসারে ২১ জন] Recent GK Bangladesh 2023
৩৭তম বিসিএস
- ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বাংলাদেশের নারী-পুরুষের অনুপাত → ১০০:১০০.৩ সরকারি হিসাব মতে, বাংলাদেশিদের গড় আয়ু ৭০.৮ বছর [নোট : বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা-২০২২ অনুসারে মানুষের প্রত্যাশিত গড় আয়ুষ্কাল ৭২.৮ বছর]
- ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বাংলাদেশের Household প্রতি জনসংখ্যা → 8.8 জন
- যে বিভাগে সাক্ষরতার হার সর্বাধিক → বরিশাল
- যে জেলায় হাজংদের বসবাস নেই → সিলেট [নোট : হাজং উপজাতিদের বসবাস ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা জেলায়]।
৩৬তম বিসিএস
- বাংলাদেশে প্রথম আদমশুমারি অনুষ্ঠিত হয় → ১৯৭৪ সালে
- যে উপজাতি বা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ধর্ম ইসলাম → পাঙন
- বাংলাদেশে বয়স্কভাতা চালু হয় → ১৯৯৮ সালে
৩৫তম বিসিএস
- বিশ্ব জনসংখ্যা প্রতিবেদন ২০০৯ অনুযায়ী জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান → ৭ম [নোট : বর্তমানে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ৮ম
- খাসিয়া গ্রামগুলো যে নামে পরিচিত → পুঞ্জি
- বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৪ অনুযায়ী গড় সাক্ষরতার হার → ৫৭.৯% [বা.অ.স. 2022 অনুযায়ী ৭৫.২%।
বাংলাদেশের জনসংখ্যা ও আদমশুমারি Recent GK Bangladesh 2024
- ‘জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা’ → সংশ্লিষ্ট সংবিধানের অনুচ্ছেদ নম্বর ১৮
- জাতীয় জনসংখ্যা নীতি প্রণীত হয় → ১৯৭৬ সালে
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ Recent GK Bangladesh 2024
উন্নয়ন অগ্রযাত্রার গুরুত্বপূর্ণ লগ্নে উন্নত, সমৃদ্ধ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে অবদান রাখার অভিপ্রায়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) কর্তৃক প্রথমবারের মতো সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহারপূর্বক গত ১৫ হতে ২১ জুন ২০২২ সময়ে ৬ষ্ঠ ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ সম্পন্ন করা হয় ।
বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো নিজস্ব প্রযুক্তিতে এ শুমারি পরিচালনা করার কারণে বৈশ্বিক পরিসরে পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল পদ্ধতিতে জনশুমারি পরিচালনার একক অনন্য কৃতিত্ব অর্জন করেছে, যা বাঙালি জাতির জন্য একটি অত্যন্ত গর্বের বিষয় ।
শুমারির গুরুত্ব : একটি আধুনিক, উন্নত ও উচ্চ আয়ের বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন বাস্তবে রূপায়িত করতে পরিকল্পিত পরিকল্পনা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণে সঠিক, সময়োপযোগী, নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যানের চাহিদা অপরিসীম।
জনশুমারির মাধ্যমে দেশের মোট জনসংখ্যার হিসাব প্রণয়নের পাশাপাশি সকল জনগোষ্ঠীর জনমিতিক ও আর্থসামাজিক উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়। শুমারির তথ্যের উপর ভিত্তি করে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচনি সীমানা নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।
এবারের জনশুমারি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সারাদেশকে ৩ লক্ষ ৮-১ হাজার ৫৩টি গণনা এলাকায় বিভক্ত করা হয়। প্রতিটি গণনা এলাকার জন্য জিআইএসভিত্তিক ডিজিটাল ম্যাপ প্রস্তুত করা হয়। মাঠপর্যায়ে সাময়িকভাবে নিয়োগকৃত (স্থানীয় শিক্ষিত বেকার যুবক ও যুবা মহিলা) গণনাকারী কর্তৃক ট্যাবলেট ব্যবহারপূর্বক স্ব স্ব গণনা এলাকার সকল গৃহ, খানা ও খানা সদস্যের তথ্য নির্ধারিত প্রশ্নপত্রের আলোকে সংগ্রহ করা হয়। Recent GK Bangladesh 2023
জনশুমারির মতো বৃহৎ কার্যক্রম সার্বিক ব্যবস্থাপনা সমন্বিতকরণের লক্ষ্যে Integrated Census Management System (ICMS) এর আওতায় বিবিএস সদর দপ্তরে স্থাপিত Network Operations Centre (NOC) থেকে ডিজিটাল ডিসপ্লের মাধ্যমে তথ্যসংগ্রহসহ সকল স্তরের পর্যবেক্ষণে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। শুমারি হতে প্রাপ্ত প্রাথমিক ফলাফল পরিকল্পনাবিদ, পরিকল্পনাবিদ, নীতি-নির্ধারক, সরকারি/বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার নিকট অত্যন্ত সহায়ক উপাদান হিসেবে বিবেচিত হবে।
এই শুমারির কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য ছিল :Recent GK Bangladesh 2024
- নির্ধারিত সময়ে তথ্যসংগ্রহ
- Geographic Information System (GIS) ও Geocode সমন্বয় করে প্রস্তুতকৃত ডিজিটাল ম্যাপের মাধ্যমে সহজে ও সুনির্দিষ্টভাবে গণনা এলাকা চিহ্নিতকরণ
- ডিজিটাল ডিভাইস (ট্যাবলেট) ব্যবহার করে Computer Assisted Personal Interviewing (CAPI) পদ্ধতিতে তথ্যসংগ্রহ
- সংগৃহীত তথ্য সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে TIER IV Security সমৃদ্ধ ডাটা সেন্টার ব্যবহার
- শুমারির যাবতীয় কার্যক্রম ব্যবস্থাপনার জন্য ওয়েবভিত্তিক Integrated Census Management System (ICMS) প্রবর্তন ও সর্বক্ষেত্রে এর কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিতকরণ। Recent GK Bangladesh 2023
জাতিসংঘের জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর গণনা পদ্ধতি : গাইডলাইন অনুযায়ী জনশুমারি মূলত নিম্নবর্ণিত তিন ধরনের গণনা পদ্ধতি অনুসরণ করে পরিচালনা করা হয় :
- ডি-জুরি (de jure) পদ্ধতি : এই পদ্ধতিতে খানার সদস্যগণকে শুধু তাদের সচরাচর বাসস্থানে গণনাভুক্ত করা হয়।
- ডি-ফ্যাক্টো (de facto) পদ্ধতি : এই পদ্ধতিতে খানার সদস্যগণকে শুমারি মুহূর্তে তাদের অবস্থানে গণনাভুক্ত করা হয় ৷
- মোডিফাইড ডি-ফ্যাক্টো (modified de facto) পদ্ধতি : এই পদ্ধতিতে খানার সদস্যগণকে শুমারি মুহূর্তে তাদের অবস্থানে গণনাভুক্ত করার পাশাপাশি শুমারি মুহূর্তে যারা ভ্রমণরত, হাসপাতাল ও হোটেলে থাকবেন বা কর্মরত থাকবেন তাদেরকে স্ব স্ব খানায় গণনাভুক্ত করা হয় ।
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ মোডিফাইড ডি-ফ্যাক্টো (modified de facto) পদ্ধতি অনুসারে পরিচালনা করা হয়েছে।
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন Recent GK Bangladesh 2024
- বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রথম ডিজিটাল ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রাথমিক প্রতিবেদনে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬।
- এবারের জনশুমারির সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য হলো, পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেশি হওয়া। পুরুষের সংখ্যা ৮ কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ ও নারীর সংখ্যা ৮ কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬। এর আগের সব জনশুমারিতে পুরুষের পাল্লা ভারী ছিল। এর কারণ, নারীর আয়ু বেড়ে যাওয়া।
- জনশুমারির তথ্য অনুযায়ী দেশের ৫৫ দশমিক ৮৯ ভাগ মানুষ এখন মোবাইল ফোন আর ৩০ দশমিক ৬৮ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। দেশের সব জেলায় জনসংখ্যা বেড়েছে। অথচ উল্টো ঘটনা ঘটেছে ঝালকাঠি জেলায়। বিবিএস বলছে, দক্ষিণের জেলা ঝালকাঠিতে এখন মোট জনসংখ্যা ৬ লাখ ৬১ হাজার ১৬১ জন। ২০১১ সালের জনশুমারিতে এই জেলায় মানুষ ছিল ৬ লাখ ৮২ হাজার ৬৬ জন । মানে গত ১১ বছরে এ জেলায় ২১ হাজার ৫০৮ জন মানুষ কমেছে। এই জেলায় এখন প্রতি বর্গকিলোমিটারে বসবাস করছে ৯৩৫ জন । ২০১১ সালে ছিল ৯৬৬ জন। Recent GK Bangladesh 2023
- ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী জনসংখ্যা মোট জনসংখ্যার সর্বোচ্চ ১.০০% । পুরুষের ক্ষেত্রে এ হার ১.০১% এবং মহিলার ক্ষেত্রে ০.৯৯%। চট্টগ্রাম বিভাগের মোট জনসংখ্যার ২.৯৯% ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী যা সকল বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ এবং এ হার বরিশাল বিভাগে ০.০৫% যা সর্বনিম্ন। ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ছিল ৪৮৪ জন যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়ে ১৯৮১ সালে ৫৯০ জন, ১৯৯১ সালে ৭২০ জন, ২০০১ সালে ৮৪৩ জন, ২০১১ সালে ৯৭৬ জন এবং সর্বশেষ ২০২২ সালে ১,১১৯ জনে উপনীত হয়েছে।
- বিভাগভিত্তিক জনসংখ্যার ঘনত্ব লক্ষ করলে দেখা যায়, জনসংখ্যার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি ঢাকা বিভাগে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে (২,১৫৬ জন) এবং সবচেয়ে কম বরিশাল বিভাগে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে (৬৮৮ জন)।
- ২০২২ সালের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ১৫-১৯ বছর বয়সি জনসংখ্যার হার সর্বাধিক এবং ৯৫ ও তদূর্ধ্ব বয়সি জনসংখ্যার হার সর্বনিম্ন। এ থেকে আরও পরিলক্ষিত হয়, ২০১১ সালে তরুণ জনসংখ্যা (১৫-২৪ বছর বয়সি) ছিল ১৮.১৬% যা ২০২২ সালে ১৯.১১% হয়েছে।
- জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ অনুযায়ী, দেশের মোট জনসংখ্যার ০১.০৪% মুসলমান, ৭.৯৫% হিন্দু, ০.৬১%, বৌদ্ধ, ০.৩০% খ্রিষ্টান এবং ০.১২% অন্যান্য ধর্মাবলম্বী। পক্ষান্তরে ২০১১ সালে ধর্মভিত্তিক জনসংখ্যার এ হার ছিল যথাক্রমে ৯০.৩৯%, ৮.৫৪%, 0.62%, ০.৩১% ও ০.১৪%।
৬টি আদমশুমারির ফলাফলে প্রাপ্ত বাংলাদেশের জনসংখ্যা Recent GK Bangladesh 2024
- বাংলাদেশের ঢাকা জেলায় সবচেয়ে বেশি ও বান্দরবান জেলায় সবচেয়ে কম লোক বাস করে।
- বাংলাদেশের সাক্ষরতার হার সবচেয়ে বেশি → বরিশাল বিভাগে, সবচেয়ে কম → সিলেট বিভাগে
- বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি এবং বরিশার বিভাগে সবচেয়ে কম লোক বাস করে
- একটি দেশের জনসংখ্যাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গণনা করার পদ্ধতিকে বলা হয় → আদমশুমারি; বাংলাদেশে আদমশুমারি পরিচালনা করে → পরিসংখ্যান ব্যুরো
- ভারতবর্ষে প্রথম আদমশুমারি অনুষ্ঠিত হয় ১৮৭২ খ্রিষ্টাব্দে জনসংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান → অষ্টম; এশিয়ায় → পঞ্চম; মুসলিমবিশ্বে → চতুর্থ; সার্কভুক্ত দেশে → তৃতীয়
- বাংলাদেশি বলতে মূলত বাংলাদেশে বসবাসকারী জাতিকে কিংবা জন্মসূত্রে বাংলাদেশের বাসিন্দাকে নির্দেশ করে।
- বাঙালি জাতি হলো বঙ্গদেশ অর্থাৎ বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসাম ও আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বসবাসকারী মানব সম্প্রদায়, যাদের ইতিহাস অন্তত চার হাজার বছর পুরোনো। এদের মাতৃভাষা বাংলা।
- বাংলাদেশে জন্মগ্রহণকারী বাঙালি, অবাঙালি, এমনকি জন্মের পর বহির্দেশে গমনকারীও বাংলাদেশি হিসেবে বিবেচিত হতে পারেন । একজন বাংলাদেশি পুরুষ বৈবাহিক সূত্রে একজন বিদেশি নারীকে নাগরিকত্ব প্রদান করতে পারে; কিন্তু এক্ষেত্রে বাংলাদেশি নারী কোনো বিদেশি পুরুষকে বৈবাহিক সূত্রে নাগরিকত্ব দিতে পারে না।
- বাংলাদেশে বসবাসকারী অধিবাসীদের মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীগত পরিচয় পাওয়া যায়। যেমন → উপজাতিদের মধ্যে মঙ্গোলীয় ধারা পরিলক্ষিত হয় আবার কারো কারো মধ্যে নিগ্রো বা কৃষ্ণকায় ভাবধারা লক্ষ করা যায়। Recent GK Bangladesh 2023
- বাংলাদেশি হওয়ার জন্য বাংলাভাষী হওয়া শর্ত না হলেও অধিকাংশ বাংলাদেশি মূলত বাংলাভাষী ।
- বাংলাদেশের জনসংখ্যাবিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের নাম National Institute of Population Research & Training। প্রতিষ্ঠানটি অবস্থিত আজিমপুরে। প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৭ সালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন।
- বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু জনবসতি পাসিংপাড়া, কেওক্রাডং পর্বতে মুরং আদিবাসী অধ্যুষিত জনবসতি।
- বাংলাদেশে সন্তানের পরিচয়ের ক্ষেত্রে বাবার নামের পাশাপাশি মায়ের নাম লেখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় → ২৪ আগস্ট ২০০৪
- জাতীয় জন্ম নিবন্ধন দিবস পালিত হয় → ৩ জুলাই (২০০৭ সালে প্রথমবারের মতো পালিত হয়)
- ম্যালথাসের মতে, জনসংখ্যা বাড়ে যে হারে→ জ্যামিতিক হারে (১, ২,৪, ৮, ১৬, ৩২, ৬৪)
- ম্যালথাসের মতে, খাদ্যের উৎপাদন বাড়ে যে হারে → গাণিতিক হারে (১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬)
- বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু জনবসতি পাসিংপাড়ার উচ্চতা → ৩,০৬৪ ফুট
- পাসিংপাড়া কী → কেওক্রাডং পর্বতে মুরং আদিবাসী অধ্যুষিত জনবসতি
- বাংলাদেশের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ জেলা → ঢাকা। সবচেয়ে কম ঘনবসতিপূর্ণ জেলা → বান্দরবান
- বাংলাদেশের জনসংখ্যার শতকরা যতভাগ মুসলমান → ৯০.৪% বাংলাদেশে প্রথম হিমায়িত ভ্রূণ শিশু (অপ্সরা) জন্মগ্রহণ করে ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮.। Recent GK Bangladesh 2023
- বাংলাদেশের জাতীয় শিশুনীতি অনুযায়ী শিশুর বয়স ০-১৮ বছর কোনো দেশের জনসংখ্যা অতিক্ষিপ্রগতিতে বৃদ্ধি পেলে তাকে বলা হয় → জনসংখ্যা বিস্ফোরণ
- বাংলাদেশ কিশোর-কিশোরীদের উন্নয়ন বা সংশোধন কেন্দ্র → ৩টি (২টি কিশোরদের, ১টি কিশোরীদের)। বাংলাদেশে প্রথম জাতীয় কিশোর অপরাধ কেন্দ্র → টঙ্গী, গাজীপুর। প্রথম জাতীয় কিশোরী অপরাধ কেন্দ্র → কোনাবাড়ী, গাজীপুর। দ্বিতীয় জাতীয় কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র → পুলেরহাট, যশোর। বাংলাদেশে কিশোর অপরাধের বয়সসীমা → ৭-১৬ বছর
- ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বা জনসংখ্যার সোনালি ধাপ হলো ২০-৩০ বছরব্যাপী এমন একটি বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জনসংখ্যা, যেখানে শিশু ও কিশোরের মৃত্যুহার উল্লেখযোগ্য হারে কমার কারণে জন্মহার ও অতিবয়স্ক লোকের সংখ্যা হ্রাস পায় ৷
- HNPSP-এর পূর্ণ রূপ Health, Nutrition and Population Section Programme (স্বাস্থ্য, পুষ্টি এবং জনসংখ্যা খাত কর্মসূচি
- ‘NPC’এর পূর্ণ রূপ → National Population Council (জাতীয় জনসংখ্যা পরিষদ)
- মেগাসিটি হলো → এক কোটি বা ১০ মিলিয়নের অধিক জনসংখ্যা অধ্যুষিত মেট্রোপলিটন এলাকা। বিশ্বের মেগাসিটির তালিকায় বাংলাদেশ (ঢাকা) প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয় → ১৯৮০ সালে
- মেটাসিটি হলো ২ কোটি বা ২০ মিলিয়নের অধিক জনসংখ্যা অধ্যুষিত মেট্রোপলিটন এলাকা। বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ মেগাসিটি ও মেটাসিটি – টোকিও, জাপান। জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, বর্তমান বিশ্বে মেটাসিটির সংখ্যা ৩টি। যথা- ১. টোকিও (জাপান), ২. নয়াদিল্লি (ভারত) ও ৩. সাও পাওলো (ব্রাজিল)
একনজরে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোতর Recent GK Bangladesh 2023
- বাংলাদেশে প্রথম আদমশুমারি অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৪ সালে [৪০তম বিসিএস]
- ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বাংলাদেশের নারী-পুরুষের অনুপাত → ১০০:১০০.৩ (৩৭তম বিসিএস]
- ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বাংলাদেশের Household প্রতি জনসংখ্যা ৪.৪ জন [৩৭তম বিসিএস]
- যে বিভাগে সাক্ষরতার হার সর্বাধিক → বরিশাল [৩৭তম বিসিএস] বাংলাদেশে বয়স্ক ভাতা চালু হয় ১৯৯৮ সালে [৩৬তম বিসিএস] বর্তমানে বাংলাদেশের শহরে বসবাসকারী জনসংখ্যার হার → ৩৪% ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বাংলাদেশের জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১০১৫ জন
- মহানগরী হতে হলে ন্যূনতম যত মিলিয়ন জনসংখ্যা থাকা দরকার → ১০ মিলিয়ন
- বাংলাদেশে যে সাল থেকে পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয় → ১৯৭৬
- জনসংখ্যার বিবেচনায় বাংলাদেশের ছোট উপজেলা → থানচি
জাতি, গোষ্ঠী ও উপজাতি সংক্রান্ত বিষয়াদি Recent GK Bangladesh 2023
- বাংলাদেশ সংবিধানের ২৩ক নং অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে → উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃগোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি সম্পর্কিত আলোচনা ।
- উপজাতি বা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বিষয়টি সংবিধানের ১৫তম সংশোধনীর মাধ্যমে সন্নিবেশিত হয়েছে।
- সংবিধানের (২৩ক) অনুচ্ছেদটি হলো → রাষ্ট্র বিভিন্ন উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃগোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের অনন্য বৈশিষ্ট্যপূর্ণ আঞ্চলিক সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও বিকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।
- বর্তমানে আদিবাসী বা উপজাতি সম্প্রদায় → ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে
- মুক্তিযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত একমাত্র উপজাতি → ইউ কে চিং
- বাংলাদেশের বৃহত্তম উপজাতি → চাকমা
- বাংলাদেশের ২য় সংখ্যাগরিষ্ঠ উপজাতি → সাঁওতাল
- বাংলাদেশের উপজাতীয় ভাষার সংখ্যা → ৩২টি
- ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইনে যতটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও শ্রেণির জনগণের উল্লেখ আছে → ২৭টি
- সর্বাধিক উপজাতি বাস করে → পার্বত্য চট্টগ্রামে
- পার্বত্য চট্টগ্রামে মোট উপজাতি বাস করে → ১১টি
- পুরুষদের চেয়ে বেশি বয়স্ক মেয়ে বিয়ে করে যে উপজাতি → তঞ্চঙ্গ্যা
- আদিবাসী ও উপজাতীয়দের জীবনধারা নিয়ে সর্বাধিক বই লিখেছেন → আব্দুস সাত্তার (অরণ্য জনপদে, অরণ্য সংস্কৃতি) Recent GK Bangladesh 2023
- সবচেয়ে কম অধিবাসীর উপজাতি → খুমি ও চক
- বহুপতি গ্রহণকারী উপজাতি → টোডা
- ঢাকা শহরে তেজগাঁও এলাকায় এক সময় যে উপজাতি গোষ্ঠীর সংখ্যাধিক্য ছিল → মণিপুরী
- উপজাতীয়দের যত শতাংশ লোক শহরে বাস করে → প্রায় ৪০%
- প্রকৃতি পূজারি উপজাতি → মুণ্ডা ও রাজবংশী
- একমাত্র জড়োপাসক উপজাতি → ওঁরাও
- বৈষ্ণব ধর্ম বিশ্বাসী উপজাতি → ডালু ও মণিপুরী
- উপজাতীয় বর্ষবরণ উৎসবকে সামগ্রিকভাবে বলা হয় → বৈসাবী
- বৈসুক, সাংগ্রাই ও বিঝুর আদ্যক্ষর/সংক্ষিপ্ত রূপ → লিখিত বর্ণমালা নেই যে উপজাতির → সাঁওতাল মগ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সমতল এলাকায় → রাখাইন নামে পরিচিত
- মগ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী পাহাড়ি এলাকায় মারমা নামে পরিচিত
- যে উপজাতি বা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী মুসলমান পাঙন
- ফেবো কী? → চাকমা ভাষায় লিখিত প্রথম উপন্যাস [১৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৪ সালে প্রকাশিত হয়]
- যে উপজাতির মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ, বহুবিবাহ ও বিধবা বিবাহের প্রচলন রয়েছে → হাজং
- মগদের আদিনিবাস ছিল → আরাকান (মিয়ানমার)
- মঙ্গোলীয় উপজাতি বা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোক → মগরা ‘জলকেলি’-উৎসব পালন করে রাখাইনরা রাখাইনদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব → বুদ্ধপূর্ণিমা – Samwng (সামৌং) কী? → ত্রিপুরাদের ভোজানুষ্ঠান বাংলাদেশে যে উপজাতির লোকসংখ্যা সবচেয়ে বেশি ‘মণিপুরী নাচ’ যে অঞ্চলের → সিলেট
- বাংলাদেশের সমতলের আদিবাসী নয় → চাকমা
- গারোদের ঐতিহ্যবাহী চাষ পদ্ধতি → জুমচাষ → চাকমা
- গারোদের ভাষার স্থানীয় নাম → মান্দি (গারো উপজাতির প্রকৃত নাম)
- পাঙনরা যে ভাষায় কথা বলে → মৈতৈ মণিপুরীদের ভাষায় খিয়াংরা ঈশ্বরকে বলে → হৃাদাগা
- বাংলাদেশের মাতৃতান্ত্রিক উপজাতি → খাসিয়া এবং গারো
- বাংলাদেশের পিতৃপ্রধান উপজাতি → মারমা, হাজং, সাঁওতাল
- ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে প্রথম বিদ্রোহের পতাকা উত্তোলনকারী জুমিয়া নেতা → জুম্মা খান
- মুক্তিযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত একমাত্র উপজাতীয় বীর বিক্রম → ইউ কে চিং মারমা (দেশের একমাত্র আদিবাসী বা উপজাতি খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা)
- উপজাতীয়দের মোট সংখ্যার ৪৩% → বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী
- প্রধান উপজাতি গোষ্ঠী চাকমাদের অধিকাংশই → বৌদ্ধ (৪৩.৭%) বাংলাদেশে বাস নেই এমন উপজাতি → ককেসীয়, জুলু, নাগা, মুর, শেরপা, কুর্দী, মাত্তরি, পিগমী, নিগ্রো, টোডা, আফ্রিদি প্রভৃতি ই ‘শারি’ ভাষায় কথা বলে বাংলাদেশের →> ‘ওঁরাও’ উপজাতি/নৃগোষ্ঠীরা
- বাংলাদেশের যে জাতিসত্তার ভাষার নাম ‘মান্দি খুসিক’ ‘মগ’দের ধর্মীয় ভাষা → পালি
- উত্তরবঙ্গে বসবাসকারী আদিবাসীদের ভাষা → কুরুক গারোদের ভাষার নাম → মান্দি→ গারো
- বাংলাদেশে যে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষদের নিজস্ব বর্ণমালা নেই → সাঁওতাল
- ‘মুরং’ উপজাতিদের একটি অন্যতম উৎসব ‘ছিয়াছত’
- রাখাইন উপজাতিদের একটি অন্যতম উৎসব ‘জলকেলি’
- বিজু উৎসব পালন করা হয় ৩ দিন
- ‘কঠিন চীবরদান’ বৌদ্ধ ধর্মের একটি ধর্মীয় আচার এবং উৎসব। বান্দরবানের ‘রাজবন বিহারকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে এটি পালিত
- চাকমা, মারমা ও রাখাইন উপজাতিরা ‘কঠিন চীবরদান’ উৎসব পালন করে।
- ‘বাহা’ যাদের উৎসব → সাঁওতাল
- ‘ওয়ানগালা’ উৎসব যাদের → গারোদের
- ‘ঝুমুর গান’ যে সম্প্রদায়ের পার্বণ → সাঁওতাল
- ‘নির্বাণ’ ধারণাটি → বৌদ্ধ ধর্মের সাথে সংশ্লিষ্ট
- বাংলাদেশের মারমা উপজাতির বর্ষবরণ অনুষ্ঠান → সাংগ্রাই
- ‘ফাল্গুনী পূর্ণিমা’ যাদের ধর্মীয় উৎসব → চাকমাদের
- ‘বিষু’ উৎসবটি → তঞ্চঙ্গ্যা উপজাতি বা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর
- চাকমাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠান বিঝু
বাংলাদেশের ৫০ উপজাতির নাম Recent GK Bangladesh 2023
উপজাতিদের অঞ্চল ভিত্তিক অবস্থান Recent GK Bangladesh 2023
একনজরে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
- ‘গারো উপজাতি’ কোন জেলায় বাস করে? → ময়মনসিংহ
- যে নৃগোষ্ঠী বাংলাদেশে বসবাস করে না → নাগা
- ‘টিপরা’ উপজাতিরা যে অঞ্চলে বাস করে → খাগড়াছড়ি
- অধিকাংশ মণিপুরী নৃজাতিগোষ্ঠী বাংলাদেশের যে অঞ্চলে বাস করে → সিলেট
- বাংলাদেশের স্থানীয় জনগোষ্ঠী নয় → রোহিঙ্গা
- বাংলাদেশে বাস নেই, এমন উপজাতির নাম→ মাওরি
- পার্বত্য চট্টগ্রামে যতটি উপজাতি বাস করে→ ১১টি
- ‘খিয়াং সম্প্রদায়’ যেখানে বসবাস করে → পার্বত্য চট্টগ্রামে
- ‘মগরা’ বাংলাদেশের যেখানে বাস করে → বান্দরবান
- চাকমা সম্প্রদায় যে জেলার অধিবাসী → রাঙ্গামাটি
- ‘রাজবংশী’ নামক আদিবাসীদের অবস্থান বাংলাদেশের যে জেলায় → রংপুর
- যে জনগোষ্ঠীর মূল আবাস পার্বত্য চট্টগ্রামে নয় → খাসিয়া (সিলেট) যে আদিবাসী সম্প্রদায় পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের বাইরে বসবাস করে → হাজং
- সাঁওতালরা বসবাস করে না → চট্টগ্রামে
- সাঁওতালী ভাষা বাংলাদেশের যে অঞ্চলে ব্যবহৃত হয় → রাজশাহী & বাংলাদেশের সাঁওতালরা প্রধানত বাস করে → রাজশাহী ও দিনাজপুরে
- যে জেলায় রাখাইন জনগোষ্ঠীর বসবাস বেশি → কক্সবাজার [অপশন বিবেচনায়]
- ‘রাখাইন’ উপজাতিরা বাংলাদেশের যে জেলায় বাস করে- পটুয়াখালী
- ‘মারমা’ উপজাতিরা যে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করে → চিম্বুক পাহাড়
- ময়মনসিংহের গারো পাহাড়ের অধিবাসী গারো জাতিগোষ্ঠীর প্রকৃত নাম → মান্দি
- ‘খাসিয়া উপজাতি’ বাংলাদেশের যে জেলায় বাস করে → সিলেট
ক্র.নং | ধর্ম | ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী |
১ | বৌদ্ধ | চাকমা, চাক, মারমা, খিয়াং, খুমি, তঞ্চঙ্গ্যা, রাখাইন, ম্রো (নিজস্ব ধর্মের নাম ক্রামা, ঈশ্বরের নাম তোরাই এবং প্রবর্তকের নাম ক্রিংমিডি) |
২ | সনাতন | পাংখোয়া, নুনিয়া, পলিয়া, পাহান, ভূঁইমালী, মাহাতো, মুশহর, রবিদাস, রানা কর্মকার, লহরা, কুর্মি, কোচ, খাড়িয়া, নায়েক, পাত্র, বর্মণ, বীন, বোনাজ, শবর, হাজং, হালাম, ত্রিপুরা |
৩ | প্রকৃতি পূজারি | মুণ্ডা, রাজবংশী |
৪ | খ্রিষ্টান | বম, লুসাই, মাহালী, খাসিয়া, গারো |
৫ | ইসলাম | পাঙন |
৬ | জড়োপাসক | ওঁরাও |
৭ | বৈষ্ণব | ডালু, মণিপুরী |
একনজরে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
- যে উপজাতি বা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ধর্ম ইসলাম → পাঙন
- যে জনগোষ্ঠীর প্রধান ধর্মগ্রন্থ ত্রিপিটক → চাকমা
- চাকমা উপজাতিরা প্রধানত যে ধর্মাবলম্বী → বৌদ্ধধর্ম
- বাংলাদেশের ত্রিপুরা আদিবাসী গোষ্ঠী যে ধর্ম বিশ্বাসের অনুসারী – হিন্দু ধর্ম
- গারোদের উর্বরতার দেবতার নাম → সালজং
- বাংলাদেশের যে আদিবাসীদের ক্ষেত্রে সম্পত্তির উত্তরাধিকার নীতি মাতৃসূত্রীয় → গারো
- খাগড়াছড়ির আদিবাসী রাজা যে নামে পরিচিত → বোমাং রাজা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান Recent GK Bangladesh 2023
নাম | অবস্থান | প্রতিষ্ঠাকাল |
মণিপুরী ললিতকলা একাডেমি | কমলগঞ্জ, মৌলভীবাজার | ১৯৭৬ |
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি | বিরিশিরি, নেত্রকোনা | ১৯৭৭ |
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট | রাঙ্গামাটি | ১৯৭৮ |
রাজশাহী বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচালারাল একাডেমি | রাজশাহী | |
রাখাইন কালচারাল ইনস্টিটিউট | রামু, কক্সবাজার | |
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট | খাগড়াছড়ি | ২০০৩ |
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট | বান্দরবন | ১ জুলাই ১৯৮৮ |
কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র | কক্সবাজার | ৫ জানুয়ারি ১৯৯৪ |
- বাংলাদেশের প্রথম উপজাতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র →বিরিশিরি, নেত্রকোনা
- বাংলাদেশ উপজাতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র অবস্থিত → বৃহত্তর ময়মনসিংহে
- উপজাতীয় সাংস্কৃতিক একাডেমি অবস্থিত- নেত্রকোনায়
- বাংলাদেশে বর্তমানে উপজাতীয় প্রতিষ্ঠান → ৮টি
উপজাতীদের লিপি ও বর্ণমালা Recent GK Bangladesh 2023
ক্র. নং | উপজাতি/নৃগোষ্ঠী | লিপি |
১ | চাকমা | মনখেমের |
২ | মণিপুরি | অহমিয়া |
৩ | রাখাইন | বর্মি/মনখেমের |
- চাকমা, রাখাইন ও মণিপুরী নৃগোষ্ঠীর নিজস্ব বর্ণমালা আছে।
- সাঁওতাল নৃগোষ্ঠীর নিজস্ব কথ্য ভাষা আছে; কিন্তু নিজস্ব বর্ণমালা নেই ।
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি এবং শান্তিবাহিনী Recent GK Bangladesh 2023
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয় | ২ ডিসেম্বর ১৯৯৭ |
পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন | ২ ডিসেম্বর ১৯৯৭ |
পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ গঠন | ২৭ মে ১৯৯৮ |
পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যানের মর্যাদা | প্রতিমন্ত্রী মর্যাদাসম্পন্ন |
সরকারের পক্ষে স্বাক্ষর করেন | সাবেক চিফ হুইফ আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ |
পাহাড়ি জনগণের পক্ষে স্বাক্ষর করেন | জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) |
বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর Recent GK Bangladesh 2024
- পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি সম্পাদিত হয় → ২ ডিসেম্বর ১৯৯৭
- ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বরে আমাদের প্রধান স্মরণীয় ঘটনা পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি
- উপজাতিদের গেরিলা সংগঠন → শান্তি বাহিনী
- শান্তি বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা → মানবেন্দ্র নারায়ন লারমা
- শান্তি বাহিনীর বর্তমান চেয়ারম্যান → জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা)
- উপজাতীয় বিদ্রোহ সাঁওতাল বিদ্রোহ- উপজাতি বিদ্রোহ
- পার্বত্য চট্টগ্রামের বিজু উৎসবটি কখন পালিত হয়? → পহেলা বৈশাখে
- মারমা উপজাতির পারিবারিক কাঠামো → পিতৃতান্ত্রিক
- খাসিয়া উপজাতীয়রা কোন জেলায় অধিক সংখ্যায় বাস করে? → সিলেট
- কোন উপজাতি বা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ধর্ম ইসলাম? → পাঙন
Recent GK Bangladesh 2024 এর বাংলাদেশ বিষয়াবলির এই অংশ আজকে এখানেই শেষ করছি কিন্তু এটি শেষ নয়। পরবর্তি আর্টিকেল গুলো পড়ার জন্য আমন্ত্রণ রইলো।
চাকমাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান -কঠীন চীবর দান। সবচেয়ে বড় উৎসব বিজু।